পুনঃ তদন্তের দাবি

কল্পনা চাকমা অপহরণ মামলার পুনঃ তদন্ত ও অপহরণকারীদের বিচারের আওতায় আনার দাবিতে গতকাল রাঙামাটি জেলা প্রশাসকের কার্যালয় এলাকায় মানববন্ধন করা হয় l প্রথম আলো
কল্পনা চাকমা অপহরণ মামলার পুনঃ তদন্ত ও অপহরণকারীদের বিচারের আওতায় আনার দাবিতে গতকাল রাঙামাটি জেলা প্রশাসকের কার্যালয় এলাকায় মানববন্ধন করা হয় l প্রথম আলো

কল্পনা চাকমার অপহরণ মামলায় পুলিশের দেওয়া সর্বশেষ চূড়ান্ত প্রতিবেদন প্রত্যাখ্যান করে গতকাল রোববার রাঙামাটি জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সামনে মানববন্ধন ও সমাবেশ হয়েছে। পার্বত্য চট্টগ্রাম মহিলা সমিতি, হিল উইমেন্স ফেডারেশন ও পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের উদ্যোগে আয়োজিত এ কর্মসূচিতে কল্পনা চাকমা অপহরণ মামলার পুনঃ তদন্তের দাবি করা হয়।
সকাল ১০টা থেকে শুরু হওয়া ঘণ্টাব্যাপী এ মানববন্ধন ও সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন পার্বত্য চট্টগ্রাম মহিলা সমিতির সহসভাপতি সোনা রানী চাকমা। বক্তব্য দেন পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির কেন্দ্রীয় সহতথ্য প্রচার সম্পাদক সজীব চাকমা, আইনজীবী সুস্মিতা চাকমা, পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের রাঙামাটি জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক রিন্টু চাকমা, আদিবাসী ফোরাম পার্বত্য অঞ্চলের সাধারণ সম্পাদক ইন্টুমনি তালুকদার, হিল উইমেনস ফেডারেশনের রাঙামাটি কলেজ শাখার সভাপতি আশিকা চাকমা প্রমুখ।
বক্তারা অভিযোগ করেন, ২০ বছরে এ মামলার প্রকৃত অপরাধীদের চিহ্নিত করা যায়নি। ঘটনার সঙ্গে জড়িত লেফটেন্যান্ট ফেরদৌস, ভিডিপি কমান্ডার মো. নুরুল হক, মো. সালেহ আহমদের নাম বাদ দিয়ে আদালতে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দেওয়া হচ্ছে।
১৯৯৬ সালের ১১ জুন সপ্তম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগের রাতে রাঙামাটির বাঘাইছড়ি উপজেলার লাল্যাঘোনা গ্রামের নিজ বাড়ি থেকে অপহৃত হন হিল উইমেনস ফেডারেশনের সাংগঠনিক সম্পাদক কল্পনা চাকমা। কল্পনার বড় ভাই ও অপহরণ মামলার বাদী কালিন্দী চাকমা এর আগে বিভিন্ন সময় প্রথম আলোকে বলেন, ওই রাতে ১০ থেকে ১২ জনের একটি সশস্ত্র দল কল্পনা চাকমাকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে যায়। ওই সশস্ত্র দলের সঙ্গে থাকা তিনজনকে কল্পনার দুই ভাই কালিন্দী ও লাল বিহারী চাকমা চিনতে পারেন। এ তিনজন হলেন তাঁদের ওই সময় কজইছড়ি সেনাক্যাম্পের দায়িত্বে থাকা তৎকালীন লেফটেন্যান্ট ফেরদৌস, গ্রাম প্রতিরক্ষা দলের (ভিডিপি) প্লাটুন কমান্ডার নুরুল হক ও পিসি সালেহ আহমদ।
গতকালের মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, গত ৭ সেপ্টেম্বর কল্পনা চাকমা অপহরণ মামলার চূড়ান্ত প্রতিবেদন আদালতে জমা দেন মামলার ৩৯তম তদন্ত কর্মকর্তা রাঙামাটি পুলিশ সুপার সাঈদ তারিকুল হাসান।