বাংলাদেশের সব মানুষের জন্য সারা বছর পর্যাপ্ত ও পুষ্টিসমৃদ্ধ খাদ্যের নিশ্চয়তা থাকতে হবে। আর নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত করতে যথাযথ আইন প্রণয়ন ও প্রয়োগ জরুরি। খসড়া জাতীয় পুষ্টিনীতি, ২০১৩-তে এ কথা বলা হয়েছে। পুষ্টিনীতি প্রণয়নে গঠিত কারিগরি কমিটি সম্প্রতি পুষ্টিনীতির খসড়া স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়সহ দেশের কয়েকজন পুষ্টিবিদের কাছে পাঠিয়েছে। পুষ্টিনীতির মূল উদ্দেশ্য অপুষ্টি প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণ এবং মানুষের, বিশেষ করে শিশু ও নারীর পুষ্টি পরিস্থিতির উন্নতি ঘটানো। সরকারের জাতীয় পুষ্টিপ্রতিষ্ঠান ছাড়াও আন্তর্জাতিক উদরাময় গবেষণা কেন্দ্র, বাংলাদেশ (আইসিডিডিআরবি), বাংলাদেশ ব্রেস্ট ফিডিং ফাউন্ডেশন, ইউনিসেফসহ বেশ কয়েকটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান এই খসড়া তৈরির সঙ্গে যুক্ত ছিল। জানতে চাইলে জাতীয় পুষ্টিপ্রতিষ্ঠানের পরিচালক মো. এখলাসুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, ‘খসড়াটি এখনো প্রাথমিক পর্যায়ে। এ নিয়ে এখন আমরা কারও সঙ্গে কথা বলতে চাই না।’ খসড়া পুষ্টিনীতির বিশেষত্ব সম্পর্কে জানতে চাইলে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সংশ্লিষ্ট একজন পুষ্টিবিদ বলেন, অপুষ্টি ও অতিপুষ্টি দুটি বিষয়কেই নীতিতে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি খাদ্যবৈচিত্র্য অপুষ্টি প্রতিরোধের উপায়—এই বিষয়টি স্পষ্ট করে নীতিতে তুলে ধরা হয়েছে। তিনি আরও বলেন, অপুষ্টি দূর করা স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের একার কাজ নয়। তাই খাদ্য, কৃষি, মৎস্য, পরিবেশ ও বন, শিক্ষা, শিল্প ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয়কে কর্মকাণ্ড জড়িত করার কথা খসড়া নীতিতে জোর দিয়ে বলা হয়েছে। খসড়া পুষ্টিনীতিতে চারটি লক্ষ্যের কথা বলা হয়েছে। এর মধ্যে আছে শিশু, কিশোরী, গর্ববতী ও স্তন্যদায়ী মায়ের পুষ্টির উন্নতি; বৈচিত্র্যময় খাদ্য বৃদ্ধি; পুষ্টিকেন্দ্রিক (প্রত্যক্ষ) ও পুষ্টিসম্পর্কিত (পরোক্ষ) কর্মকাণ্ডের বিস্তার এবং বিভিন্ন পক্ষের কাজের সমন্বয় বৃদ্ধি। এই চারটি লক্ষ্য অর্জনের পৃথক কৌশল বিস্তারিতভাবে ব্যাখ্যা করা হয়েছে।
পুষ্টি নিয়ে কাজ করে এমন বিদেশি একটি প্রতিষ্ঠানের এক পুষ্টিবিদ বলেছেন, বিভিন্ন খাত বা মন্ত্রণালয়কে পুষ্টির কাজে সম্পৃক্ত করার কথা বলা হয়েছে ঠিকই; কিন্তু কীভাবে সম্পৃক্ত করা হবে, তা বলা হয়নি।
খসড়া নীতিতে ২০২১ সাল নাগাদ কিছু লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এর মধ্যে আছে জন্মের প্রথম ঘণ্টায় বুকের দুধ খাওয়ানোর হার ৬০ শতাংশে উন্নীত করা। কম ওজন নিয়ে জন্মানো শিশু ও খর্বকায় শিশুর হার যথাক্রমে ২০ ও ৩০ শতাংশের নিচে নামানো। অপুষ্টির শিকার কিশোরীদের হার ২০