পূজামণ্ডপ, মন্দিরে হামলার ঘটনায় বিচারিক তদন্তের নির্দেশ
কুমিল্লার একটি পূজামণ্ডপে পবিত্র কোরআন রাখার ঘটনার জের ধরে দেশের ছয়টি জেলায় ১৩ থেকে ১৮ অক্টোবর পর্যন্ত হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজন, তাঁদের সম্পত্তি ও উপাসনালয়ে সহিংস হামলার ঘটনায় বিচারিক তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
সংশ্লিষ্ট জেলাগুলোর চিফ মেট্রোপলিটন বা জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটদের ঘটনা তদন্ত করে ৬০ দিনের মধ্যে আদালতে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।
বিচারপতি মো. মজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি মো. কামরুল হোসেন মোল্লার সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এক রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে আজ বৃহস্পতিবার রুলসহ এ আদেশ দেন। ওই ছয় জেলা হচ্ছে কুমিল্লা, চাঁদপুর, নোয়াখালী, ফেনী, চট্টগ্রাম ও রংপুর।
শারদীয় দুর্গাপূজার উৎসব চলাকালে ছয় জেলাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে পূজামণ্ডপ ও মন্দিরে হামলা, প্রতিমা ভাঙচুর, হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষ ও তাঁদের বাড়িঘরে হামলার ঘটনা রোধে স্থানীয় কর্তৃপক্ষের নিষ্ক্রিয়তা চ্যালেঞ্জ করে ২১ অক্টোবর ওই রিট হয়। রিট করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী অনুপ কুমার সাহা ও মিন্টু চন্দ্র দাস। রিটে হামলার ঘটনা–সংশ্লিষ্ট চিফ মেট্রোপলিটন বা জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটদের তদন্ত করে আদালতে প্রতিবেদন দিতে নির্দেশনা চাওয়া হয়।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী জ্যোর্তিময় বড়ুয়া। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানিতে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন, অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল শেখ মো. মোরশেদ ও ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল নওরোজ মো. রাসেল চৌধুরী।
রুলে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় হিন্দু সম্প্রদায়ের দুর্গাপূজার প্যান্ডেল, প্রতিমা, বাড়িঘর, মানুষের জীবন ও সম্পত্তি রক্ষায় স্থানীয় প্রশাসনের নিষ্ক্রিয়তা–ব্যর্থতা কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চাওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষের জীবন, সম্পত্তি ও উপাসনালয়ের সুরক্ষায় যথাযথ পদক্ষেপ নিতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, সে বিষয়ে জানতে চাওয়া হয়েছে।
স্বরাষ্ট্রসচিব, আইনসচিব, ধর্মসচিব, ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি (আইসিটি) বিভাগের সচিব, নারী ও শিশুবিষয়ক সচিব, সমাজকল্যাণসচিব, পুলিশ মহাপরিদর্শক এবং কুমিল্লা, চাঁদপুর, নোয়াখালী, ফেনী, চট্টগ্রাম ও রংপুরের জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারসহ বিবাদীদের রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।