পেকুয়ায় ১০ দিনেও খোঁজ মিলছে না মা-ছেলের
কক্সবাজারের পেকুয়া উপজেলার সদর ইউনিয়নের নন্দীর পাড়া এলাকা থেকে গত ৩০ এপ্রিল অপহৃত হন বিউটি কর্মকার (২৫) ও তার ছেলে অর্কিত কর্মকার (৪)। ১০ দিন পেরিয়ে গেলেও তাঁদের কোনো খোঁজ দিতে পারেনি আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
তবে পেকুয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. হাবিবুর রহমান বলেন, গত ৭ মে রাতে তিন অপহরণকারীর বিরুদ্ধে মামলা নেওয়া হয়েছে। পুলিশ তাঁদের উদ্ধারে ও অপহরণকারীদের গ্রেপ্তাের অভিযান অব্যাহত রেখেছে।
জানা গেছে, বিউটি কর্মকারের স্বামী সঞ্জিত কর্মকার পেকুয়া সদর ইউনিয়নের গুরা মিয়া চৌধুরী বাজারে তিন বছর ধরে কর্মকারের কাজ করছেন। তাঁর গ্রামের বাড়ি বাঁশখালী উপজেলার পুঁইছড়ি ইউনিয়নের বহদ্দারহাট গ্রামে।
সঞ্জিত কর্মকার অভিযোগ করেন, ৩০ এপ্রিল সন্ধ্যায় তাঁর স্ত্রী বিউটি কর্মকার ও ছেলে অর্কিত কর্মকার গ্রামের বাড়ি থেকে তাঁর কর্মস্থলের বাসায় ফিরছিলেন। পথিমধ্যে নন্দীর পাড়া এলাকায় তাঁর স্ত্রীকে বহনকারী সিএনজি অটোরিকশাটি ব্যারিকেড দিয়ে পেকুয়া সদর ইউনিয়নের বাঘগুজারা বাজার পাড়ার হেলাল উদ্দিন, রিদওয়ান ও বদরুজোদ্দা নামে তিন যুবক তাঁদের অপহরণ করেন। এ ঘটনায় পেকুয়া থানায় মামলা করলেও পুলিশ এখনো তাঁদের কোনো সন্ধান দিতে পারেনি। ‘আমার মা-ভাইকে যেন মেরে ফেলা না হয়। আমি মায়ের বুকে ঘুমাতে চাই, আমার ঘুম আসছে না।’
এমনকি অপহরণকারীদেরও গ্রেপ্তার করতে পারেনি।
সঞ্জিত কর্মকার আরও বলেন, ‘অপহরণকারীরা তাঁর কাছ থেকে কোনো মুক্তিপণও দাবি করছেন না। তবে কেন আমার বউ-ছেলেকে অপহরণ করা হলো? আমি তাঁদের জীবিত সন্ধান চাই।’
বিউটি কর্মকারের ছেলে সেতু কর্মকার (৮) আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে আকুতি জানিয়েছে, ‘আমার মা-ভাইকে যেন মেরে ফেলা না হয়। আমি মায়ের বুকে ঘুমাতে চাই, আমার ঘুম আসছে না।’
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও পেকুয়া থানার উপপরিদর্শক আবদুল কাইয়ুম বলেন, ‘অপহরণকারীদের গ্রেপ্তারে পুলিশ কয়েকটি জায়গায় অভিযান চালিয়েছে। আমরা আশা করছি, শিগিগরই অপহরণকারীরা পুলিশের হাতে ধরা পড়বেন।’