পেসমেকার ও হার্ট ভালভের দাম নির্ধারণ
হৃদ্রোগ চিকিৎসায় ব্যবহৃত ‘হার্ট ভালভ’ এবং পেসমেকারের খুচরা মূল্য নির্ধারণ করেছে সরকার। এর ফলে এখন থেকে সব হাসপাতালে বিভিন্ন ব্র্যান্ডের এই দুটি চিকিৎসাসামগ্রী একই দামে বিক্রি করা হবে।
গতকাল মঙ্গলবার ঔষধ প্রশাসনের প্রধান কার্যালয়ের সম্মেলনকক্ষে এক সভায় দাম নির্ধারণ করা হয়েছে। সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, হাসপাতালগুলোতে বিভিন্ন ব্র্যান্ডের মেকানিক্যাল হার্ট ভালভের দাম পড়বে ৫৫ হাজার থেকে ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা। আর উচ্চপ্রযুক্তির টিস্যু ভালভের সর্বোচ্চ দাম ২ লাখ ৫০ হাজার টাকা।
পেসমেকার কেনার ক্ষেত্রে দামের সীমা ৬৫ হাজার থেকে ১০ লাখ টাকা। তবে পেসমেকার স্থাপনে ‘থিন লিড’-এর পরিবর্তে ‘স্ক্রু ইন লিড’ ব্যবহার করা হলে অতিরিক্ত ৫ হাজার টাকা দিতে হবে।
এত দিন মূল্য নির্ধারিত না থাকায় হৃদ্রোগীদের কাছে পেসমেকার ও হার্ট ভালভ বিভিন্ন মূল্যে হাসপাতালগুলোতে বিক্রি করা হতো। এমন অভিযোগের পর মূল্য ঠিক করতে ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর উদ্যোগ নেয়। অধিদপ্তরের পরিচালক (চলতি দায়িত্ব) নায়ার সুলতানা প্রথম আলোকে বলেন, ‘এই দুটি ডিভাইস কিনতে আগে একেক হাসপাতালের একেক ব্র্যান্ডে অতিরিক্ত টাকা নেওয়া হতো। এতে আমাদের কোনো নিয়ন্ত্রণ ছিল না। ২০১৫ সালে নীতিমালা হওয়ার পর থেকে এই দাম নির্ধারণ হলো। এতে মূল্যের সমতা হলো। সবাই এখন একই দামে বিক্রি করতে বাধ্য থাকবে।’
গতকালের সভায় সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালের কার্ডিয়াক সার্জন, কার্ডিওলজিস্ট, মেডিকেল ডিভাইস ইমপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের প্রতিনিধি, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের প্রতিনিধি, বাংলাদেশ ঔষধ শিল্প সমিতির প্রতিনিধিদের মত নিয়ে এই মূল্য নির্ধারণ করা হয়। সভা থেকে বিভিন্ন ব্র্যান্ডের হার্ট ভালভের মূল্য ৪ হাজার ৮০০ থেকে ২৬ হাজার টাকা কমানো হয়েছে। এ ছাড়া পেসমেকারের মূল্য ৫ হাজার থেকে ৪ লাখ ৭ হাজার টাকা কমানো হয়েছে। সভায় সভাপতিত্ব করেন ঔষধ প্রশাসনের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মো. মোস্তাফিজুর রহমান।