পোশাককর্মীদের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় বিমা জরুরি

ফাইল ছবি

পোশাক খাতের ব্যাপকতা বিবেচনায় কর্মীর স্বাস্থ্য সুরক্ষায় স্বাস্থ্যবিমা চালু করা প্রয়োজন। পোশাককর্মীদের বেশির ভাগই নারী হওয়ায় বিমার আওতায় প্রজননস্বাস্থ্যকে সবচেয়ে গুরুত্ব দিতে হবে।

গতকাল বুধবার ‘প্রজনন খাতে স্বাস্থ্যসেবা: স্বাস্থ্যবিমা’ শিরোনামে এসএনভি-প্রথম আলোর ভার্চ্যুয়াল আলোচনা সভায় বক্তারা এসব কথা বলেন। তাঁরা বলেন, ধাপে ধাপে হলেও স্বাস্থ্যবিমার প্রক্রিয়া শুরু করা প্রয়োজন। বিমার কিস্তি পরিশোধে কর্মীর দেওয়া অর্থের সঙ্গে সরকার, মালিকপক্ষ ও শ্রমিক সংগঠনগুলো একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ দিলে তা কর্মীর স্বাস্থ্যসেবায় কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারবে।

নেদারল্যান্ডস দূতাবাসের সহযোগিতায় পরিচালিত এসএনভি বাংলাদেশের ওয়ার্কিং উইথ ওমেন প্রকল্প-২ এবং প্রথম আলোর যৌথ উদ্যোগে ‘পোশাকশিল্পে প্রজনন স্বাস্থ্যসেবা’ শিরোনামের ছয় পর্বের ভার্চ্যুয়াল আলোচনা সভার তৃতীয় পর্ব অনুষ্ঠিত হয় গতকাল। এ পর্বে বক্তারা কথা বলেন কর্মীর স্বাস্থ্যবিমা চালুর পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নের প্রক্রিয়া নিয়ে। সংলাপে অংশ নিয়ে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের মহাপরিচালক (কেন্দ্রীয় তহবিল) মো. আমির হোসেন বলেন, আগের তুলনায় এখন পোশাককর্মীদের মধ্যে সচেতনতা বাড়ছে। একজন কর্মী ও মালিকপক্ষের কাছ থেকে প্রতিদিন ১ টাকা করে নিয়ে বছরে একটি কার্যকর বিমা চালু করা সম্ভব।

স্বাস্থ্য অর্থনীতি ইউনিটের মহাপরিচালক মো. শাহাদৎ হোসেন মাহমুদ বলেন, স্বাস্থ্যবিমা চালুর আগে কোন কোন রোগের ক্ষেত্রে চিকিৎসা সুবিধা দেওয়া হবে, কিস্তি কত হবে, সরকারি-বেসরকারি নাকি যৌথভাবে কিস্তি পরিশোধ হবে, পরিবারসহ সুবিধা পাবে কি না প্রভৃতি নির্ধারণ করতে হবে।

বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ) স্বাস্থ্যবিষয়ক কমিটির চেয়ারম্যান হানিফুর রহমান বলেন, স্বল্প আয়ে সংসার চালাতে হিমশিম খান পোশাককর্মীরা। স্বাস্থ্যবিমা চালু হলে কর্মীরা অন্তত নিজের স্বাস্থ্য নিয়ে দুশ্চিন্তায় ভুগবেন না এবং মানসিকভাবে চাঙা থাকবেন।

বিমা চালুর চ্যালেঞ্জগুলো মোকাবিলা করার ওপর জোর দিয়েছেন এসএনভি বাংলাদেশের ইনক্লুসিভ বিজনেস অ্যাডভাইজার জামাল উদ্দিন। তিনি বলেন, বিমা নিয়ে সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে কর্মী এমনকি মালিকপক্ষেরও নেতিবাচক মনোভাব রয়েছে। বিমা চালু করার ক্ষেত্রে এটা একটি বড় চ্যালেঞ্জ।