পোশাক খাতে নারী শ্রমিকের সংখ্যা কমছেই

করোনাকালে সরকার প্রণোদনা ঘোষণা করলেও অধিকাংশ কারখানা ব্যাপক হারে কর্মী ছাঁটাই করে। তখন চাকরি হারানো কর্মীদের বড় অংশ ছিলেন নারী।

কারখানায় কাজ করছেন পোশাকশ্রমিকেরা
ফাইল ছবি

নদীভাঙনে ভিটা হারিয়ে স্বামীর সঙ্গে ৯ বছর আগে কুড়িগ্রাম থেকে রাজধানীতে আসেন সোহাগী (৩০)। বছর দুয়েক পর কচুক্ষেত এলাকায় এক পোশাক কারখানায় হেলপার (সহকারী) পদে কাজ নেন। ২০২০ সালে করোনার প্রথম ধাক্কায় পোশাকশিল্পে ব্যাপক ছাঁটাইয়ের সময় অনেকের সঙ্গে তিনিও কাজ হারান। অন্য কারখানায় চাকরির আশায় এক বছর বেকার কাটিয়ে দেন। রিকশাচালক স্বামীর আয়েই সংসার চলত। গত বছর তাঁর স্বামী মারা যান। বাধ্য হয়ে খণ্ডকালীন গৃহকর্মীর কাজ নেন।

পোশাক কারখানার কাজ হারিয়ে গৃহকর্মী হয়েছেন সাভারের লতাও (৩২)। তিনি বলেন, ‘অপারেটর ছিলাম। মাসে ৯ হাজার ৩০০ টাকা বেতন পাইতাম। এখন বাসাবাড়িতে কাজ করি। এ কাজে আয় কম। কোনো সম্মানও নাই।’ তাঁর পরিবারে মা-বাবা, ভাইবোন আছেন। সাভারে একাই থাকেন। ছাঁটাইয়ের শিকার হওয়ার পর অন্য পোশাক কারখানায় চাকরির চেষ্টা করেছেন কি না জানতে চাইলে বললেন, কারখানাগুলোর হিসাবে পোশাক সেলাইয়ের জন্য তাঁর ‘বয়স হয়ে গেছে’। এ জন্য কেউ নিতে চাইছে না।

রপ্তানিমুখী তৈরি পোশাকশিল্পে নারী কর্মীর সংখ্যা ধারাবাহিকভাবে কমে যাওয়ার তালিকায় যুক্ত হয়েছে এই দুই নারীর নামও। করোনাকালে কাজ হারানো ১১ জন নারী পোশাকশ্রমিকের সঙ্গে গত মাসে এই প্রতিবেদক কথা বলেছেন। তাঁদের মধ্যে সাতজন দেড় বছর বেকার থাকার পর আবার পোশাক কারখানায় কাজ পেয়েছেন। আর চারজন এখনো বেকার।

তৈরি পোশাকশিল্প কারখানার মালিক ও শ্রমিকনেতারা বলছেন, দুই বছর আগে করোনার শুরুতে বিদেশি ক্রেতা প্রতিষ্ঠান ও ব্র্যান্ড ব্যাপক হারে তৈরি পোশাকের ক্রয়াদেশ বাতিল ও স্থগিত করলে কারখানার মালিকেরা ঘাবড়ে যান। সরকার প্রণোদনা ঘোষণা করলেও অধিকাংশ কারখানাই ব্যাপক হারে কর্মী ছাঁটাই করে। তখন চাকরি হারানো কর্মীদের বড় অংশ ছিলেন নারী। গত বছরের মাঝামাঝি সময়ে ক্রয়াদেশ বাড়লে আবার নিয়োগ দিতে শুরু করে কারখানাগুলো। তবে অনেকেই কাজে ফিরতে পারেননি। যাঁরা ফিরেছেন, তাঁদের জীবনেও
ছন্দপতন ঘটেছে। দীর্ঘ সময় বেকার থাকায় আর্থিক সংকট কাটিয়ে উঠতে পারেননি অনেকে।

করোনার ধাক্কা মোকাবিলায় ২০২০ সালের ২৫ মার্চ তৈরি পোশাকশিল্পসহ রপ্তানিমুখী খাতের শ্রমিকের বেতন-ভাতা দিতে সরকার পাঁচ হাজার কোটি টাকার প্রণোদনা তহবিল ঘোষণা করে। তারপরও ক্রয়াদেশ বাতিল ও স্থগিত হওয়ার জেরে এপ্রিল থেকে পোশাকশিল্পে কর্মী ছাঁটাই শুরু হয়। শ্রম মন্ত্রণালয় তখন শ্রমিক ছাঁটাই না করতে অনুরোধও করেছিল। পোশাকশিল্পের মালিকেরা প্রতিশ্রুতি দেন যে শ্রমিক ছাঁটাই হবে না। এমনকি ছাঁটাই হওয়া শ্রমিকদের পুনর্নিয়োগ দেওয়ার আশ্বাস দেন তাঁরা। তাতে খুব একটা কাজ হয়নি। ছাঁটাই হওয়া শ্রমিকদের মধ্যে অল্পসংখ্যককে পুনর্বহাল করা হয়।

করোনাকালে কত শ্রমিক ছাঁটাইয়ের শিকার হয়েছেন, তার সুনির্দিষ্ট কোনো পরিসংখ্যান নেই। তবে ২০২০ সালের অক্টোবরে তৈরি পোশাকশিল্পের মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএর তৎকালীন সভাপতি রুবানা হক ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের সেন্টার ফর এন্ট্রাপ্রেনিউরশিপ ডেভেলপমেন্টের (সিইডি) আয়োজনে এক ভার্চ্যুয়াল সভায় জানান, ১০৬ কারখানার ৭০ হাজার পোশাকশ্রমিক ছাঁটাইয়ের শিকার হয়েছেন।

অবশ্য এর আগেই দেশের শীর্ষ রপ্তানি আয়ের এই খাতে নানাবিধ কারণে নারী শ্রমিকের সংখ্যা কমছিল। অন্যদিকে পুরুষ শ্রমিকের সংখ্যা বাড়ছিল।

গবেষণা প্রতিষ্ঠান এশিয়ান সেন্টার ফর ডেভেলপমেন্টের (এসিডি) এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০১৫ সালের আগে পোশাক খাতে প্রায় ৪০ লাখ মানুষ কাজ করতেন। তার মধ্যে ৬৫ শতাংশ ছিলেন নারী। ২০২০ সালে নারী ও পুরুষ কর্মীর হার দাঁড়ায় যথাক্রমে ৬০ ও ৪০ শতাংশ। ২০১৫ থেকে ২০২০ পর্যন্ত প্রতিবছর পোশাক খাতের কর্মী বেড়েছে ১ শতাংশ হারে। এ সময়ে পুরুষ কর্মী ৪ শতাংশ হারে বাড়লেও নারী কর্মী কমেছে শূন্য দশমিক ৭ শতাংশ হারে।

নারী শ্রমিক কমছে কেন

আশুলিয়ার নিশ্চিন্তপুরের একটি কারখানায় কোয়ালিটি বিভাগের কর্মী জাকিয়া (৩৫) করোনাকালের শুরুর দিকে ছাঁটাইয়ের শিকার হোন। দেড় বছর ধরে কারখানাটিতে কাজ করছিলেন তিনি। মাসিক বেতন ১৫ হাজার টাকা। তিনি বলেন, গত মাসে পোশাক কারখানায় লোক লাগবে জানিয়ে এলাকায় মাইকিং হয়েছে। কিন্তু তিনি আর যেতে চান না। কারখানার কাজে মন উঠে গেছে। সংসারে স্বামী ও এক শিশুসন্তান আছে। জানালেন, করোনার শুরুতে বিধিনিষেধে বাড়ি চলে গিয়েছিলেন। কাজ যোগ দিতে দুই দিন দেরি হওয়ায় তাঁর চাকরি চলে যায়।

অবশ্য নানা কারণে চাকরি চলে যাওয়া কিংবা ‘মন উঠে যাওয়া’ পোশাকশিল্পে নারী কর্মী কমার একমাত্র কারণ নয়। পোশাক খাত–সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, কয়েক বছরে পোশাক কারখানায় অত্যাধুনিক যন্ত্রপাতির ব্যবহার বেড়েছে। এসব যন্ত্রপাতি ব্যবহারে সক্ষমতার বিষয় রয়েছে। এ ছাড়া আগের তুলনায় পোশাক খাতে বেতন–ভাতা কিছুটা বৃদ্ধি পাওয়ায় সেখানে কাজ করতে পুরুষদের আগ্রহ বেড়েছে।

ব্র্যাক ইউনিভার্সিটির সেন্টার ফর এন্ট্রাপ্রেনিউরশিপ ডেভেলপমেন্ট সেন্টার ২০১৭ সাল থেকে ম্যাপড ইন বাংলাদেশ (এমআইবি) প্রকল্পের অধীনে ডিজিটাল মানচিত্রের মাধ্যমে রপ্তানিমুখী তৈরি পোশাক কারখানার অবস্থান, শ্রমিকের সংখ্যা ইত্যাদি তথ্য নথিভুক্ত করছে। তাদের তথ্যানুযায়ী, গত ৩০ মার্চ পর্যন্ত ডিজিটাল মানচিত্রে ৩ হাজার ৭২৩টি কারখানা যুক্ত হয়েছে। এসব কারখানার ৫৮ শতাংশ নারী। আর ৪২ শতাংশ পুরুষ।

যদিও এক দশক আগে পোশাকশিল্পে নারী শ্রমিকের হার ছিল ৮০ শতাংশ। তখন বিজিএমইএর নেতারা গর্ব করে বলতেন, দেশে নারীর ক্ষমতায়নে বড় ভূমিকা রাখছে তৈরি পোশাকশিল্প।

বাংলাদেশ জাতীয় গার্মেন্টস শ্রমিক কর্মচারী লীগের সভাপতি সিরাজুল ইসলাম বলেন, কারখানাগুলোতে আগে দুজন অপারেটরের বিপরীতে কমপক্ষে একজন সহযোগী বা হেলপার থাকতেন। বড় কারখানাগুলোতে এখন আধুনিক যন্ত্রপাতি চলে এসেছে। ফলে সহযোগী পদের প্রয়োজনীয়তাই ফুরাচ্ছে। আবার চাকরি চলে গেলে মালিকপক্ষ সহজে পাওনা পরিশোধ করতে চায় না। অনেক ক্ষেত্রে মামলা করে পাওনা আদায় করতে হয়। এ কারণে অনেক নারী চাকরি নিয়ে হতাশায় ভোগেন। অনেকেই পেশা পরিবর্তন করেন।

করোনাকালেও নারী শ্রমিক কমেছে বলে মনে করেন নারায়ণগঞ্জের প্লামি ফ্যাশনসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো.ফজলুল হক। তিনি বলেন, বিধিনিষেধের সময় চাকরি হারিয়ে অনেকে গ্রামে ফিরে গেছেন। এ ক্ষেত্রে পুরুষের চেয়ে নারীর সংখ্যাই বেশি। গ্রামে ফিরে যাওয়া অনেক কর্মী গত দুই বছরে নিজস্ব আয়ের ব্যবস্থা করেছেন। তাঁরা শহরে ফিরে আসার চেয়ে গ্রামে থাকাকেই ভালো মনে করছেন।

ফজলুল হক জানান, প্লামি ফ্যাশনসে বর্তমানে নারী কর্মী ৫২ শতাংশ। আর পুরুষ কর্মী ৪৮ শতাংশ। করোনার আগে নারী ও পুরুষ শ্রমিকের হার ছিল যথাক্রমে ৫৬ ও ৪৪ শতাংশ।

কাটছাঁটের জীবন

করোনায় চাকরি হারানো আশুলিয়ার নারী শ্রমিক নিলুফার (২৭) জানালেন, করোনাকালের শুরুর দিকে কিডনি সমস্যার কারণে কয়েক দিন ছুটি নিতে হয়েছিল। কাজে ফেরার কয়েক দিনের মধ্যেই তাঁকে চাকরি ছাড়তে বলে কারখানা কর্তৃপক্ষ। চাকরি ছাড়লেও কোনো ক্ষতিপূরণ পাননি। অপারেটর পদে কাজ করে মাসে বেতন পেতেন সাড়ে ৯ হাজার টাকা। বললেন, সংসারে পাঁচ বছরের ছেলে রয়েছে। স্বামী মাছের খামারে কাজ করেন। সংসারে এত টানাটানি যে শিগগিরই তাঁকে কোনো কাজে যুক্ত হতে হবে।

গার্মেন্টস শ্রমিক সংহতির সভাপ্রধান তাসলিমা আখতার প্রথম আলোকে বলেন, করোনাকালে অনেক কারখানা বন্ধ হয়ে যায়। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলেও কিছু পোশাক কারখানা আর খোলেনি। সেখানে যাঁরা কাজ করতেন, তাঁদের অনেকেই কাজ ফিরে পাননি।

করোনাকালে চাকরি হারানো শ্রমিকদের মধ্যে যাঁরা কাজে ফেরেননি, তাঁরা স্বেচ্ছায় ফিরছেন না বলে মনে করেন তৈরি পোশাকশিল্পের মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএর সহসভাপতি মো. শহিদউল্লাহ আজিম। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, তাঁরা হয়তো গ্রামেই ভালো আয় করছেন। বর্তমানে পোশাকশিল্পের দুই থেকে আড়াই লাখ শ্রমিকের ঘাটতি রয়েছে। প্রতিটি কারখানায় নিয়োগ বিজ্ঞপ্তির সাইনবোর্ড ঝোলানো আছে।

পোশাক খাতে প্রযুক্তিগত পরিবর্তন হচ্ছে। বিভিন্ন ধরনের যন্ত্র চালাতে সক্ষম কর্মীর চাহিদা বাড়ছে। তবে আধুনিক এসব যন্ত্র ব্যবহারের নারীদের সীমাবদ্ধতা থাকায় অনেকে পিছিয়ে পড়ছেন। আবার অনেক ক্ষেত্রে নারীরা পুরুষের মতো প্রশিক্ষণের সুযোগ পান না।
খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম, সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) গবেষণা পরিচালক

আবার শূন্য থেকে শুরু

রাজধানীর মিরপুরের একটি কারখানায় বসে সম্প্রতি তিন নারী শ্রমিকের সঙ্গে কথা হচ্ছিল। তাঁরা করোনাকালে ছাঁটাইয়ের শিকার হন। পরে আবার চাকরি ফিরে পান। তাঁদের একজন বলেন, দেড় বছর আগে চাকরি হারানোর পর কারখানা থেকে ৪০ হাজার টাকা পান। তখন চাঁদপুরে মায়ের কাছে চলে যান। আয় না থাকায় ওই টাকা খরচ করতে থাকেন। গত মার্চে আবার যখন চাকরিতে যোগ দেন, তখন প্রায় শূন্য হাতেই ঢাকায় ফেরেন।

আরেকজন নারী শ্রমিক বলেন, চাকরি চলে যাওয়ার পর নতুন চাকরি পাচ্ছিলেন না। স্বামীর উপার্জন আসে ভাঙারির কাজ থেকে। কিন্তু সেই কাজেও মন্দাভাব ছিল। এ অবস্থায় তিনি দ্বিতীয় গর্ভধারণ করেন। চাকরি হারানোর পর কারখানা থেকে যে টাকা পেয়েছিলেন, তা সংসারেই খরচ হয়ে যায়।

আশুলিয়ায় পোশাক কারখানায় কাজ করতেন এক দম্পতি। করোনাকালে তাঁরা ছাঁটাইয়ের শিকার হন। তখন সংসারের খরচ জোগাতে স্বামী রিকশা চালানো শুরু করেন। আর স্ত্রী বেকার ছিলেন। এক বছর পর আগের তুলনায় তিনি কম মজুরিতে একটি কারখানায় যোগ দিতে বাধ্য হন।

শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব মো. হুমায়ুন কবীর প্রথম আলোকে বলেন, কাজ হারানো কতজন কারখানায় ফিরেছেন, সে ব্যাপারে সুনির্দিষ্ট কোনো গবেষণা নেই। তবে তৈরি পোশাক রপ্তানি প্রায় স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে এসেছে। বেশির ভাগ কর্মী কাজে ফিরেছেন। তিনি বলেন, চাকরি হারানো পোশাকশ্রমিকদের জন্য ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) সহায়তায় অর্থ সহায়তা দেওয়া হয়েছে। তিন কিস্তিতে তিন হাজার করে টাকা পেয়েছেন ৯ হাজার শ্রমিক।

ব্র্যাক ইউনিভার্সিটির সেন্টার ফর পিস অ্যান্ড জাস্টিস (সিপিজে) গত বছরের জুনে নিম্ন আয়ের মানুষের ওপর করোনার প্রভাব ও চ্যালেঞ্জ নিয়ে একটি জরিপ প্রতিবেদন প্রকাশ করে। জরিপে ১ হাজার ৬৪ জন নারী ও পুরুষ অংশ নেন। এর মধ্যে পোশাকশিল্পের ছিলেন ৪২৫ জন, যার ৭৬ শতাংশ নারী। জরিপে অংশ নেওয়া পোশাককর্মীরা জানিয়েছিলেন, তাঁদের মাসিক আয় কমেছে ২১ শতাংশ। এ পরিস্থিতিতে সংসার চালাতে গিয়ে তাঁদের সঞ্চয়ে হাত দিতে হয়েছে। ঋণ করতে হয়েছে। ৩৮ শতাংশ জানান, খরচ কমাতে আগের তুলনায় খাবারের পরিমাণ কমিয়ে দিয়েছেন।

জানতে চাইলে সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) গবেষণা পরিচালক খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম প্রথম আলোকে বলেন, পোশাক খাতে প্রযুক্তিগত পরিবর্তন হচ্ছে। বিভিন্ন ধরনের যন্ত্র চালাতে সক্ষম কর্মীর চাহিদা বাড়ছে। তবে আধুনিক এসব যন্ত্র ব্যবহারের নারীদের সীমাবদ্ধতা থাকায় অনেকে পিছিয়ে পড়ছেন। আবার অনেক ক্ষেত্রে নারীরা পুরুষের মতো প্রশিক্ষণের সুযোগ পান না। তাই পোশাকশিল্পের নারীর অংশগ্রহণ বড় আকারে ধরে রাখতে হলে তাঁদের প্রশিক্ষণে জোর দিতে হবে। কারণ, নারীর অর্থনৈতিক ক্ষমতায়নে পোশাকশিল্পের ভূমিকা রয়েছে। ধরে রাখতে হলে নারীশ্রমিকদের প্রশিক্ষণে জোর দিতে হবে।