প্রতিকূলতার মধ্যেও রোজিনা ইসলামের এগিয়ে যাওয়া ‘অসংখ্য নারীকে অনুপ্রেরণা জোগাবে’

রোজিনা ইসলাম

‘সেরা অদম্য সাংবাদিক’ হিসেবে প্রথম আলোর জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক রোজিনা ইসলামের আন্তর্জাতিক স্বীকৃতিতে তাঁকে অভিনন্দন জানিয়েছে আরও কয়েকটি সংগঠন। আজ রোববার বাংলাদেশ মহিলা পরিষদসহ কয়েকটি সংগঠন তাঁকে অভিনন্দন জানায়।
নেদারল্যান্ডসের আমস্টারডামভিত্তিক সংস্থা ফ্রি প্রেস আনলিমিটেড এ বছরের ‘ফ্রি প্রেস অ্যাওয়ার্ড-২০২১’ দিয়েছে রোজিনা ইসলামকে। তিনি পুরস্কারটি পেয়েছেন ‘সেরা অদম্য সাংবাদিক’ বা মোস্ট রেজিলিয়েন্ট জার্নালিস্ট শ্রেণিতে। গত বছর এই পুরস্কার পেয়েছিলেন এবার শান্তিতে নোবেল পুরস্কার বিজয়ী ফিলিপাইনের সাংবাদিক মারিয়া রেসা।

বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের পক্ষ থেকে আজ রোজিনা ইসলামকে অভিনন্দন জানান সংগঠনটির সভাপতি ফাওজিয়া মোসলেম ও সাধারণ সম্পাদক মালেকা বানু।

প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে এই পুরস্কার পেলেন রোজিনা ইসলাম
ছবি: ফ্রি প্রেস আনলিমিটেডের টুইট থেকে নেওয়া

এক অভিনন্দনপত্রে তাঁরা বলেন, দেশের বিভিন্ন খাতের দুর্নীতিসহ বিভিন্ন বিষয়ে প্রতিবেদনের জন্য রোজিনা ইসলামের দেশীয় ও আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি এক বিরল অর্জন। কাজের ক্ষেত্রে নানামুখী প্রতিবন্ধকতা, হয়রানি ও চ্যালেঞ্জ এলেও তিনি কখনো দায়িত্ব থেকে সরে দাঁড়াননি। নানামুখী প্রতিকূলতার মাঝেও মনোবল অটুট রেখে তাঁর এই এগিয়ে যাওয়া অসংখ্য নারীকে তাঁদের জীবনের প্রতিকূলতা মোকাবিলায় অনুপ্রেরণা ও সাহস জোগাবে।

রিডিং ক্লাব ট্রাস্টের পক্ষ থেকে অভিনন্দন জানিয়ে সংগঠনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা জুলফিকার ইসলাম বলেন, দেশে সাহসী ও অনুসন্ধানী সাংবাদিকতার জন্য যাঁরা সুপরিচিত, তাঁদের মধ্যে রোজিনা ইসলাম অন্যতম। করোনা মহামারিতে তিনি স্বাস্থ্য খাতের অনিয়ম তুলে ধরে জবাবদিহি নিশ্চিতে ভূমিকা রেখেছেন। পেশাগত দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে নিগ্রহ ও মামলার শিকার হয়েছেন। কিন্তু দমে যাননি।

এ স্বীকৃতি স্বাধীন সাংবাদিকতার পরিসর সংকুচিতকরণের নীতির বিরুদ্ধে একটি উজ্জ্বল প্রতিবাদ।

রোজিনা ইসলামকে আরও অভিনন্দন জানান উইমেন এন্ট্রাপ্রেনিউর অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি নাসরিন ফাতেমা আউয়াল।