সিলেট-৩ (দক্ষিণ সুরমা, ফেঞ্চুগঞ্জ ও বালাগঞ্জের একাংশ) আসনে উপনির্বাচনে ২৫ জুন প্রতীক বরাদ্দের পরই প্রার্থীদের প্রচারণা চালানোর কথা। তবে মনোনয়নপত্র বৈধ হওয়ার পর থেকেই প্রার্থীরা এরই মধ্যে প্রচার-প্রচারণা ও মতবিনিময়ে অংশ নিচ্ছেন। আজ রোববারও দিনভর প্রার্থীরা বিভিন্ন স্থানে গণসংযোগ করেন।
আজ বিকেলে দক্ষিণ সুরমার চণ্ডীপুল এলাকার একটি কমিউনিটি সেন্টারে উপজেলা যুবলীগের বর্ধিত সভা হয়। সেখানে সিলেট-৩ আসনে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী হাবিবুর রহমান অতিথির বক্তব্য দেন। এর আগে তিনি উপজেলার মোগলাবাজার এলাকায় প্রয়াত কয়েকজন মুরব্বির কবর জিয়ারতের পাশাপাশি গণসংযোগও করেন। এ সময় হাবিবুর সবার কাছে দোয়া চান।
দুপুরে দক্ষিণ সুরমা উপজেলার লালাবাজারে গণসংযোগ করেন স্বতন্ত্র প্রার্থী ও বিএনপির কার্যনির্বাহী কমিটির সদ্য বহিষ্কৃত সদস্য শফি আহমদ চৌধুরী। এ সময় তিনি বলেন, ‘আমার কোনো চাওয়া-পাওয়া নেই। এখানকার মানুষের মুখে হাসি ফোটানোই একমাত্র লক্ষ্য।’ এ সময় তিনি অবাধ, নিরপেক্ষ ও সুষ্ঠু নির্বাচন উপহার দেওয়ার জন্য সরকার ও নির্বাচন কমিশনের প্রতি আহ্বান জানান।
রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, ছয়জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছিলেন। এর মধ্যে চারজনের মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণা করা হয়েছে। তাঁরা হলেন আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী হাবিবুর রহমান, জাতীয় পার্টির মনোনীত প্রার্থী আতিকুর রহমান, বাংলাদেশ কংগ্রেসের মনোনীত প্রার্থী জুনায়েদ মুহাম্মদ মিয়া ও স্বতন্ত্র প্রার্থী শফি আহমদ চৌধুরী।
রিটানিং কর্মকর্তা মুহা. ইসরাইল হোসেন প্রথম আলোকে জানান, আগামী ২৮ জুলাই ইভিএম পদ্ধতিতে ভোট গ্রহণ হবে। এ আসনে মোট ভোটার ৩ লাখ ৫২ হাজার। ভোটকেন্দ্র ১৪৯টি। ২৪ জুন মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ দিন এবং প্রতীক বরাদ্দ ২৫ জুন। প্রতীক বরাদ্দের পরই কেবল প্রার্থীরা প্রচারণা শুরু করতে পারবেন। নির্দিষ্ট সময়ের আগে কেউ প্রচারণায় অংশ নিলে সেটা হবে নির্বাচনী আচরণবিধির লঙ্ঘন।
গত ১১ মার্চ করোনায় সংক্রমিত হয়ে সিলেট-৩ আসনের আওয়ামী লীগ দলীয় সাংসদ মাহমুদ উস সামাদ চৌধুরী মারা যান। ১৫ মার্চ আসনটি শূন্য ঘোষণা করা হয়।