প্রথমবারের মতো অনলাইনে সনদ বিতরণ ডিপিএস এসটিএস স্কুল ঢাকার

কোভিড-১৯ বৈশ্বিক মহামারির কারণে ডিপিএস এসটিএস স্কুল ঢাকা ২০২০ শিক্ষা বর্ষের গ্র্যাজুয়েটদের সনদ বিতরণ অনুষ্ঠান ভার্চ্যুয়ালি আয়োজন করেছে। অনলাইন প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে সনদ বিতরণ অনুষ্ঠানে স্কুলের অধ্যক্ষ মধু ওয়াল এবং বিদায়ী প্রতিষ্ঠাতা অধ্যক্ষ হর্ষ ওয়াল উপস্থিত ছিলেন। এ ছাড়া অনুষ্ঠানে এসটিএস গ্রুপের বোর্ডের সদস্য, শিক্ষক, শিক্ষাবিদ এবং ২০২০ ব্যাচের ৮১ জন গ্র্যাজুয়েট শিক্ষার্থী উপস্থিত ছিলেন।

বিশ্বের নানা প্রান্তের স্বনামধন্য শিক্ষাবিদেরা এ বিশেষ দিনে ডিপিএস এসটিএস স্কুল ঢাকার গ্র্যাজুয়েটদের শুভেচ্ছা জানান। এ অনলাইন সনদ বিতরণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন এমআইটি মিডিয়া ল্যাবের কমিউনিটি বায়োলজি ইনিশিয়েটিভ মারিয়া শ্যাভেজ; হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্র্যাজুয়েট স্কুল অব ডিজাইনের ডিন সারাহ এম হোয়াইটিং ও স্থাপত্যবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক জোসেফ লুইস সার্ত; এমআইটি মিডিয়া ল্যাবের কমিউনিটি বায়োলজি ইনিশিয়েটিভের বায়োহ্যাকার ক্যারোলিন অ্যাঙ্গলেটন; কানাডার কুইবেক সিটির ইউনিভার্সিটি লাভেলের গবেষক এবং আফ্রিকা ওপেন সায়েন্স ও হার্ডওয়্যার লিডার টমাস হার্ভে এমবোয়া এনকৌদু; মালয়েশিয়া সরকারের শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের প্রশিক্ষক, কোচ ও বক্তা ফেইথ এ ওয়াং; ভার্জিনিয়ার নরফোক বায়োলজিক ল্যাবের জাভিয়ের পালমার; মালয়েশিয়ার সেগি কলেজের প্রভাষক ফ্লোরেন্স ট্যান, মালয়েশিয়ার এফওবির (ব্যবসা অনুষদ) সাবেক প্রোগ্রাম লিডার আইভন লিম; ইকুয়েডরের বিজ্ঞানী লিন্ডা গুয়াম্যান, ডিকিন বিশ্ববিদ্যালয়ের স্কুল অব আর্কিটেকচার অ্যান্ড বিল্ট এনভায়রনমেন্টের কনস্ট্রাকশন ম্যানেজমেন্টের (পোস্ট–গ্র্যাজুয়েট) কোর্স ডিরেক্টর কনস্ট্রাকশন ম্যানেজমেন্টের জ্যেষ্ঠ প্রভাষক লিন্ডা টিভেনডাল এবং মালয়েশিয়ার সেগি কলেজের বিজনেস অনুষদের জ্যেষ্ঠ প্রভাষক শ্যারন আলভিনা।
স্কুলের ইংরেজি বিভাগের প্রধানের স্বাগত বক্তব্যের মধ্য দিয়ে ভার্চ্যুয়াল সনদ বিতরণ অনুষ্ঠান শুরু হয়। এরপর অধ্যক্ষ মধু ওয়াল শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে বক্তব্য দেন। তিনি বলেন, ‘আজ আমাদের জন্য বিশেষ একটি দিন এবং প্রতিবছর দিনটি আমরা আনন্দযোগে উদ্‌যাপন করি। পরিতাপের বিষয় হচ্ছে, চলমান বৈশ্বিক মহামারির কারণে চলতি বছর আমরা দিনটি অনলাইন প্ল্যাটফর্মে আয়োজন করেছি। এ প্রতিকূলতা সত্ত্বেও গ্র্যাজুয়েট শিক্ষার্থীদের বিদায় জানাতে পেরে আমরা অত্যন্ত আনন্দিত, বিশেষ করে বিশ্বখ্যাত শিক্ষাবিদদের উপস্থিতি আজকের অনুষ্ঠানে ভিন্ন মাত্রা যোগ করেছে। প্রথমবারের মতো অনলাইনে সনদ বিতরণ অনুষ্ঠানটি আমাদের স্কুলের জন্য নিঃসন্দেহে একটি ঐতিহাসিক দিন হিসেবে গণ্য হবে। আমি শিক্ষার্থীদের শুভ কামনা জানাচ্ছি এবং আশা করছি এ সব গ্র্যাজুয়েট শিক্ষার্থী আমাদের প্রতিষ্ঠানকে আগামী দিনেও প্রতিনিধিত্ব করবে।’

গ্রেড ১১-১২–তে সর্বোচ্চ সিজিপিএ এবং কেমব্রিজ এএস লেভেল বোর্ড পরীক্ষায় ডিপিএস স্কুলের শিক্ষার্থীদের মধ্যে ৯৪ শতাংশ একাডেমিক পারফরম্যান্স গড় নিয়ে ১ নম্বর র‌্যাঙ্কিং অর্জন করায় গ্রেড-১২–এর শিক্ষার্থী দিহান মাশরুর নিলয়কে ‘ভ্যালেডিকটরিয়ান অব দ্য ব্যাচ’–এ ভূষিত করা হয়।
অনুষ্ঠানে অতিথিদের বক্তব্য প্রদানের পর গ্র্যাজুয়েশন অনুষ্ঠান শুরু হয়। এ অনুষ্ঠানে ১৯-২০ ব্যাচের ৮১ জন গ্র্যাজুয়েটের মধ্যে ৬৮ জন গ্র্যাজুয়েশন সার্টিফিকেট এবং ১৩ জন স্কুল কমপ্লিটিশন সার্টিফিকেট লাভ করেন। এদিন স্কুলটির সংগীত ও নৃত্যকলা বিভাগের শিক্ষকদের পরিচালনায় একটি অনলাইন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানেরও আয়োজন করা হয়।
এ ছাড়া অনুষ্ঠানে ডিপিএস এসটিএস স্কুল ঢাকার শিক্ষকেরা শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে অনুপ্রেরণামূলক বক্তব্য দেন। গ্রেড ১২ শিক্ষার্থীদের তৈরি করা ব্যাচ ভিডিও প্রদর্শনের পর স্কুলটির বিদায়ী প্রতিষ্ঠাতা অধ্যক্ষ হর্ষ ওয়ালের গ্র্যাজুয়েশন ঘোষণার মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানটি শেষ হয়। বিজ্ঞপ্তি