প্ররোচনাকারীদের বিচারের দাবিতে মানববন্ধন

যমুনা ব্যাংকের সিলেটের বিয়ানীবাজার উপজেলা শাখার ব্যবস্থাপক সজল কান্তি দাসকে আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগে গ্রেপ্তার হওয়া দম্পতির দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন হয়েছে। গতকাল শনিবার সিলেট নগরে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের সামনে এই কর্মসূচি পালিত হয়।

সিলেটের সচেতন নাগরিকবৃন্দেরব্যানারে বেলা ১১টা থেকে ঘণ্টাব্যাপী ওই মানববন্ধন হয়। এতে সজলের দুই সন্তানসহ স্বজনেরা ছিলেন। এ ছাড়া সামাজিক-সাংস্কৃতিক অঙ্গনের প্রতিনিধিদের পাশাপাশি বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ উপস্থিত ছিলেন।

গত ৩১ জুলাই রাতে বিয়ানীবাজারের ভাড়া বাসা থেকে ব্যাংক কর্মকর্তা সজল কান্তি দাসের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এ সময় কক্ষ থেকে চার পৃষ্ঠার লিখিত কাগজ উদ্ধার করে পুলিশ। এর সূত্র ধরে রাতেই সিলেট নগরের হাউজিং এস্টেট এলাকা থেকে ব্যবসায়ী আলী আহমদ (৫০) ও তাঁর স্ত্রী যমুনা ব্যাংকের বন্দরবাজার শাখার কর্মকর্তা কামরুন নাহারকে (৪৫) পুলিশ আটক করে। পরে তাঁদের আসামি করে সজলের ছোট ভাই সুজিত দাস থানায় মামলা করেন। বর্তমানে ওই দম্পতি কারাগারে রয়েছেন।

বিয়ানীবাজার থানার ওসি চন্দন কুমার চক্রবর্তী বলেন, সজলকে আত্মহত্যা করতে এক দম্পতি প্ররোচনা দিয়েছেন বলে পুলিশ প্রাথমিকভাবে জানতে পেরেছে। এই তথ্যের সূত্র ধরে তদন্ত চলছে।

সম্মিলিত নাট্যপরিষদ সিলেটের সাধারণ সম্পাদক রজতকান্তি গুপ্ত সমাবেশটি সঞ্চালনা করেন। এতে অন্যদের মধ্যে মুক্তিযোদ্ধা আবদুল খালিক, জেলা কর আইনজীবী সমিতির সভাপতি মৃত্যুঞ্জয় ধর, সিলেট বৌদ্ধ সমিতির সভাপতি রামেন্দ্র বড়ুয়া, চিকিৎসক মাহমুদুল মজিদ চৌধুরী, সিটি করপোরেশনের কাউন্সিলর রফিকুল ইসলাম প্রমুখ।