প্রশাসনের ১৩ কর্মকর্তার পদ শূন্য

শরীয়তপুর জেলা প্রশাসনের ১৩ কর্মকর্তার পদ শূন্য রয়েছে। এতে জনসাধারণ প্রয়োজনীয় সেবা পাচ্ছেন না। আর বাড়তি কাজের চাপ সামলাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে কর্মকর্তাদের।
শরীয়তপুরের জেলা প্রশাসকের কার্যালয় সূত্র জানায়, তিনজন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও), দুজন সহকারী কমিশনার (ভূমি), চারজন জ্যেষ্ঠ সহকারী কমিশনার, চারজন সহকারী কমিশনারের পদ শূন্য রয়েছে।
২০০৯ সালের ১৪ আগস্ট গোসাইরহাট উপজেলা ভূমি কার্যালয়ের সহকারী কমিশনার বদলি হয়ে চলে যান। এরপর আর ওই স্থানে কাউকে পদায়ন করা হয়নি। ইউএনওকে অতিরিক্ত দায়িত্ব হিসেবে সহকারী কমিশনারের কাজটি করতে হচ্ছে।
ডামুড্যার ইউএনও আসাদুজ্জামান ৯ মে, জাজিরার ইউএনও আবদুল কাদের ২৫ সেপ্টেম্বর, নড়িয়ার ইউএনও শামছুল হক ১ নভেম্বর বদলি হয়ে কর্মস্থল ত্যাগ করেন। এরপর থেকেই ওই উপজেলাগুলোতে নির্বাহী কর্মকর্তার দায়িত্ব পালন করে আসছেন সহকারী কমিশনাররা (ভূমি)। তাঁদের ভূমি কার্যালয়ের কাজ ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার দপ্তরের কাজ একসঙ্গে চালাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে।
জাজিরার সহকারী কমিশনার (ভূমি) মুকুল মৈত্র বলেন, ‘ইউএনও স্যার না থাকার কারণে দুই দপ্তরের কাজ একা সামলাতে হচ্ছে। কষ্ট হলেও চালিয়ে নিচ্ছি। দ্রুত পদায়ন করলে ভালো হয়।’
জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের এনডিসি, আরডিসি, এলএও, জেনারেল সার্টিফিকেট কর্মকর্তার চারটি পদ প্রায় এক বছর ধরে শূন্য রয়েছে। এ ছাড়া ছয়টি সহকারী কমিশনারের পদের মধ্যে দুজন কর্মরত আছেন। বাকি চারটি পদ ছয় মাস ধরে শূন্য। সহকারী কমিশনার যে দুজন কর্মরত আছেন, তাঁরাও প্রায়ই প্রশিক্ষণে ঢাকায় থাকেন। শরীয়তপুর সদর উপজেলা ভূমি কার্যালয়ের সহকারী কমিশনার সায়েদুর আরেফিনকে ২০ নভেম্বর চার মাসের জন্য প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে প্রেষণে সংযুক্ত করা হয়েছে।
জেলা প্রশাসক মাহমুদুল হোসাইন খান বলেন, জেলা প্রশাসনে কর্মকর্তাদের অনেকগুলো পদ শূন্য রয়েছে। এতে জনসাধারণের দ্রুত সেবা নিশ্চিত করতে হিমশিম খেতে হচ্ছে। শূন্যপদে কর্মকর্তাদের পদায়ন করার জন্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের চিঠি দেওয়া হয়েছে।