প্রিয়জন মাদক গ্রহণ করলেও তা গোপন করবেন না

প্রথম আলো ট্রাস্ট আয়োজিত মাদকবিরোধী পরামর্শ সভায় (বঁা থেকে) সৈয়দ ফাহীম সামস, িজল্লুর রহমান খান, মো. জোবায়ের মিয়া, মোহিত কামাল, ব্রাদার রোনাল্ড ড্রাহোজাল, িসফাত ই সাইদ ও ফারজানা রহমান l ছবি: জাহিদুল করিম
প্রথম আলো ট্রাস্ট আয়োজিত মাদকবিরোধী পরামর্শ সভায় (বঁা থেকে) সৈয়দ ফাহীম সামস, িজল্লুর রহমান খান, মো. জোবায়ের মিয়া, মোহিত কামাল, ব্রাদার রোনাল্ড ড্রাহোজাল, িসফাত ই সাইদ ও ফারজানা রহমান l ছবি: জাহিদুল করিম
প্রথম আলো ট্রাস্ট মাদকবিরোধী আন্দোলন প্রতি মাসে মাদকবিরোধী পরামর্শ–সহায়তার আয়োজন করে থাকে। দেশের বিশিষ্ট মনোরোগ চিকিৎসক ও কাউন্সেলর ব্যক্তিগতভাবে সমস্যার ধরন অনুযায়ী পরামর্শ দিয়ে থাকেন। বিনা মূলে্য এই সেবা গ্রহণ করতে ০১৭১৬২৪২২১৫ নম্বরে কল করে নাম অন্তর্ভুক্ত করতে হয় অথবা অনুষ্ঠানে সরাসরি হাজির হওয়া যায়। যাঁরা পরামর্শ-সহায়তা নিতে আসেন, তাঁদের সামাজিক পরিচয় সম্পূর্ণ গোপন রাখা হয়। ৪ এপ্রিল রাজধানীর ধানমন্ডি ২৭ নম্বর সড়কে ডব্লিউভিএ মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয় ৮১তম পর্ব। এখানে মাদকাসক্ত রোগী ও তাঁদের পরিবারের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। পরামর্শ-সহায়তা অনুষ্ঠানের আলোচিত বিষয়গুলো তুলে ধরা হলো

প্রশ্ন: আমার ছেলে প্রায় অনেক বছর ধরে ফেনসিডিল খায়। ফেনসিডিল খেলে কী কী সমস্যা হতে পারে?

পরামর্শ :  ফেনসিডিল খেলে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা হতে পারে। এ সমস্যাগুলোকে চার ভাগে ভাগ করা যায়। এক, শারীরিক সমস্যা, দুই, মানসিক সমস্যা, তিন, সামাজিক সমস্যা,  চার, মূল্যবোধের সমস্যা।

ফেনসিডিলের মধ্যে যে বিশেষ ধরনের রাসায়নিক পদার্থ  থাকে, তা  শরীরকে অসাড় করে দেয় এবং স্নায়ুতন্ত্রের ওপর চাপ তৈরি করে। রক্তের চাপকে ক্ষতিগ্রস্ত করে। কিশোরদের ওপর ফেনসিডিলের চরম নেতিবাচক প্রভাব পড়ে। তাদের প্রজননক্ষমতার বিকাশকে ভীষণভাবে বাধাগ্রস্ত করে। যৌন দুর্বলতা দেখা দেয়। শরীরের বিভিন্ন হরমোনের স্বাভাবিক কার্যক্রমকে ব্যাহত করে। নারীদের সন্তান উৎপাদন ক্ষমতা কমে যায়। গর্ভবতী মায়েদের বাচ্চার ক্ষতি হয়। নারীদের অন্যান্য স্বাভাবিক শারীরিক প্রক্রিয়াকে দুর্বল করে দেয়। ফেনসিডিল খেলে কিডনির ক্ষতি হয়। যারা ফেনসিডিল খায়, তাদের মধ্যে উদ্বেগ, হতাশা তৈরি হয়। সন্দেহপ্রবণতা বাড়ে। সন্দেহের জন্য নারী-পুরুষের মধ্যে বিচ্ছেদের ঘটনা ঘটে। চিন্তাশক্তি নষ্ট হয়। পারিবারিক ও সামাজিক বন্ধন নষ্ট হয়।  ঘুমের সমস্যা হয়। খাবারের রুচি নষ্ট হয়। দিন দিন শরীর দুর্বল হতে থাকে। এদের কোনো নীতি নৈতিকতা থাকে না। সামাজিক মূল্যবোধ থাকে না। মায়া মমতা, স্নেহ, ভালোবাসা নষ্ট হয়। তাই কোনো অবস্থাতেই ফেনসিডিল বা অন্য কোনো মাদক গ্রহণ করা যাবে না।

প্রশ্ন: আমার ছেলের বয়স ২৩ বছর। প্রায় সাত বছর ধরে ফেনসিডিল খায়। কীভাবে এ নেশা থেকে মুক্ত থাকতে পারবে?

পরামর্শ : আপনার ছেলে দীর্ঘদিন ধরে ফেনসিডিল খাচ্ছে। সে এখন ফেনসিডিলের ওপর নির্ভরশীল। বিষয়টিকে গোপন রাখার দরকার নেই। সে কোনো সিদ্ধান্ত নিতে পারবে না। তার সঙ্গে ভালো আচরণ করতে হবে। পরিবারের দায়িত্বশীল সবাইকে তার সঙ্গে খোলামেলা আলোচনা করতে হবে। সবভাবে বোঝানোর পর যদি সে ভালো না হতে পারে, তাহলে অবশ্যই কোনো চিকিৎসকের সঙ্গে যোগাযোগ করতে হবে। এখন সে একা আর এটি ছাড়তে পারবে না। কেউ দীর্ঘদিন কোনো মাদক নিতে থাকলে নিজে নিজে ছাড়তে সমস্যা হয়। এ জন্য যত দ্রুত সম্ভব তাকে কোনো বিশেষজ্ঞের কাছে নিতে হবে। তার শরীরের কিছু পরীক্ষা–নিরীক্ষা করে ওষুধ দেবেন।অবস্থা বেশি খারাপ হলে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করতে হবে। চিকিৎসকের নির্দেশমতো চললে সে দ্রুত ভালো হবে। বিভিন্ন সরকারি হাসপাতালে যেতে পারেন। জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউট, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় বা কেন্দ্রীয় মাদকাসক্তি নিরাময় কেন্দ্র, তেজগঁাওসহ বেশ কিছু সরকারি প্রতিষ্ঠানে স্বল্প খরচে এর চিকিৎসা ও পরামর্শ দেওয়া হয়।

প্রশ্ন: আমার ছেলে বেশ কিছুদিন ধরে মাদক পুনর্বাসন কেন্দ্রে (রিহ্যাবে) আছে। সে বলছে, তাকে নিয়ে এলে ভালো হবে, তা না হলে ভালো হবে না। এ ক্ষেত্রে কী করব?

পরামর্শ :  নেশা ছাড়ার পর অনেক দিন পর্যন্ত শরীরে নেশার কিছু প্রতিক্রিয়া থাকে। তার  ইচ্ছা বা মতামতকে গুরুত্ব দেওয়া যাবে না। রিহ্যাবের কিছু নিয়মকানুন আছে, এগুলো মাদকাসক্ত রোগীদের মেনে চলতে হয়। কেউ না মানলে তার সঠিক চিকিৎসা হবে না। চিকিৎসা শেষে চিকিৎসক নিজেই যখন রোগীকে বাসায় আসার অনুমতি দেবেন, কেবল তখন বাসায় আনা যাবে। তা ছাড়া আনা যাবে না। তার কথায় মনে হচ্ছে, সে এখনো মাদকের নেশা থেকে মুক্ত হতে পারেনি। মাদকের নেশা চাপলেই বিভিন্ন অজুহাতে নিরাময়কেন্দ্র থেকে চলে আসতে চায়। আপনার ছেলের চলে আসার অর্থই হচ্ছে তার মাদকের নেশা হচ্ছে। সে এখনো সম্পূর্ণ সুস্থ হয়নি। তাই চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া কোনো অবস্থাতেই তাকে আনা যাবে না। শর্ত দিয়ে আসার অর্থই তার নেশা চেপেছে। যেকোনো মূল্যে নিরাময় কেন্দ্রের বাইরে আসতে চায়। তার জন্য চিকিৎসকের পরামর্শ মোতাবেক কাজ করতে হবে। তার মানসিক সমস্যা আছে কি না, জানি না। মানসিক  সমস্যা থাকলে তিন থেকে চার মাস বা আরও বেশি সময় চিকিৎসা নিতে হতে পারে। তার মাদকের চিকিৎসার পাশাপাশি মানসিক রোগের চিকিৎসাও করতে হবে।

প্রশ্ন: আমার বয়স ৩৭ বছর। হেরোইনসহ সব ধরনের মাদক নিই। মাদক ছাড়তে গেলে বমি বমি ভাব হয়। মাথা ঘুরায়। হাত-পা জ্বালাপোড়া করে। এখন কী করতে পারি?

পরামর্শ : কেউ দীর্ঘদিন মাদক নিলে সে মাদকের ওপর  নির্ভরশীল হয়ে পড়ে। নিজের ওপর নিয়ন্ত্রণ থাকে না মস্তিষ্ক ও শারীরিক প্রক্রিয়াগুলো মাদক দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয়। এ জন্য কেউ হঠাৎ করে মাদক ছাড়তে চাইলে কিছু শারীরিক সমস্যা দেখা দেয়। আপনারও তেমন হচ্ছে। এতে বিচলিত হওয়ার কিছু নেই। আপনাকে কোনো চিকিৎসাকেন্দ্রে এসে ভালো চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। এ ক্ষেত্রে রক্ত, প্রস্রাবসহ কিছু পরীক্ষার হয়তো প্রয়োজন পড়বে। চিকিৎসকের পরামর্শমতো চললে ও নিয়মিত ওষুধ খেলে ধীরে ধীরে সমস্যাগুলো কেটে যাবে। আপনি যেহেতু দীর্ঘদিন মাদকের ওপর নির্ভরশীল, তাই সম্পূর্ণ মাদকমুক্ত হতে চাইলে কিছুটা লম্বা সময় হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে হতে পারে। আপনি আমদের এখানে এসেছেন, অর্থাৎ নিজ থেকেই ভালো হওয়ার তাগিদ অনুভব করছেন। আপনার পক্ষে দ্রুত সেরে ওঠা সহজ হবে। আর দেরি না করে ভালো একটি চিকিৎসাকেন্দ্রে যোগাযোগ করুন।

প্রশ্ন: আমি ১৯৯৮ সালে মাদক গ্রহণ শুরু করি। ২০০৪ সালে চিকিৎসা করে ভালো হই। আবার মাদক নিই। এখনো মাদকাসক্ত। মা সঙ্গে এসেছেন। মায়ের জন্য ভালো থাকতে চাই। সেটা কী করে সম্ভব?

পরামর্শ : আপনাকে আমাদের পক্ষ থেকে অভিনন্দন; আরও অভিনন্দন মায়ের জন্য ভালো হতে চান। কেউ যদি নিজ থেকে ভালো হতে চায়, তাহলে সে ৫০ ভাগ ভালো হয়ে যায়। মাদকাসক্ত রোগীরা ভালো হওয়ার পর আবাও মাদকাসক্ত হতে পারে। চিকিৎসার পর হাসপাতাল থেকে কতগুলো নিয়মনীতি বলে দেওয়া হয়। বাড়িতে ফিরে এ নিয়মনীতিগুলো কঠোরভাবে মেনে চলতে হয়। হাসপাতালে ভালো থাকা মানে চিকিৎসা শেষ হওয়া নয়।  হাসপাতালে মাদক দেওয়া হয় না। নিয়মনীতি মেনে চলতে হয়। সঙ্গে কিছু ওষুধ খেতে হয়। ফলে হাসপাতালে যে কেউ  ভালো থাকে। হাসপাতাল একজন রোগীকে সারা জীবন ভালো থাকার জন্য প্রস্তুত করে। হাসপাতালে চিকিৎসা মানে জীবনভর মাদকমুক্ত থাকার নিশ্চয়তা না। মাদকমুক্ত থাকার আসল যুদ্ধটা শুরু হয় হাসপাতাল থেকে ঘরে ফিরে এলে। মাদকের সঙ্গে জড়িত বন্ধুদের থেকে দূরে থাকতে হয়। মাদক গ্রহণ করার জায়গাগুলো থেকে দূরে থাকতে হয়। দুই–তিন বছর মুঠোফোন ব্যবহার বন্ধ রাখতে হয়। মাদকজাতীয় দ্রব্য দেখা থেকে দূরে থাকতে হয়। নিয়মিত চিকিৎসকের সঙ্গে যোগাযোগ রাখতে হয়, ওষুধ খেতে হয়। এ কাজগুলো ঠিকমতো করলেই সে ভালো থাকতে পারবে। তা না হলে যত চিকিৎসা করা হোক না কেন, যত দিন হাসপাতালে থাকুক না কেন, খুব বেশি লাভ হবে না।

প্রশ্ন: আমার বোনের ছেলেটা বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন ছাত্রের কাছে পড়ে। ছাত্রটি মাদকাসক্ত। এটা জানার পর বোন ছেলেটিকে দিয়ে পড়াতে চায় না। কিন্তু ছাত্রটি পড়ানো বাদ দিতে চায় না। আবার বোনের ছেলেটাও তাকে পছন্দ করে। এখন আমার বোন কী করতে পারে?

পরামর্শ: মাদকাসক্ত রোগীরা মাদক গ্রহণের টাকা না পেলে উত্তেজিত হয়। এমনিতে এরা খুব ভদ্র আচরণ করে। শিক্ষককে সরাসরি না বলার দরকার নেই। বলতে পারেন আপনাদের টাকা–পয়সার সমস্যা, আর পড়াতে পারছেন না। অথবা একটা সময় তাকে দিতে পারেন—দুই মাস পর থেকে আর পড়াতে চান না। অথবা কয়েক মাসের জন্য কোথাও বেড়াতে যাবেন। অথবা বাসা ছেড়ে কিছু দূরে চলে যাবেন যেখানে শিক্ষকের পক্ষে যাওয়া সম্ভব নয়। এ রকম বিভিন্ন কৌশলের মাধ্যমে শিক্ষককে বাদ দিতে হবে। মনে কষ্ট পান, এমন কোনো কথা বলে বাদ দেওয়াটা উচিত হবে না। যেহেতু শিক্ষার্থী তাকে পছন্দ করে, তাই তার মনের অবস্থাসহ সবকিছু বিবেচনা করে শিক্ষককে বাদ দেওয়ার বিষয়টি ভাবতে হবে।

প্রশ্ন:  আমার ছেলে বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ে। ওর কিছু মাদকাসক্ত বন্ধু আছে। তাদের কাছ থেকে মাদক নেয়। কীভাবে এদের থেকে দূরে থাকবে?

পরামর্শ : আমাদের সন্তানেরা একটি অস্থির সময় ও অসুস্থ পরিবেশে বেড়ে উঠছে। তাদের  ভালো থাকা অনেকখানি নির্ভর করে তার পারিবারিক পরিবেশের ওপর। মাদকের বিরুদ্ধে বিভিন্ন আলোচনা হয়। কর্মশালা হয়। শোভাযাত্রা হয়। কিন্তু সবকিছুর ওপর পরিবারের ভূমিকার কোনো বিকল্প নেই। পরিবার থেকেই সন্তানেরা ব্যক্তিত্বসম্পন্ন হয়। আত্মবিশ্বাসী হয়। আত্মমর্যাদাশীল হয়। এরা বন্ধুদের মাদক গ্রহণসহ যেকোনো খারাপ প্রস্তাব সঙ্গে সঙ্গে প্রত্যাখ্যান করতে পারে। না বলতে পারে। না বলতে না শিখলে সে কখনো নিজেকে রক্ষা করতে পারবে না। না বলার শক্তি অর্জন করতে হবে। যারা মাদকে জড়িয়ে পড়ে, তারা বন্ধুদের না বলতে পারে না। অনেকে মনে করে, না বললে বন্ধুত্ব নষ্ট হয়ে যাবে। যে বন্ধু মাদক গ্রহণের প্রস্তাব  দেয়, সে ধ্বংসের দিকে ডাকছে। মৃত্যুর দিকে ঠেলে দিচ্ছে। তাই এরা কোনো বন্ধুর পর্যায়ে পড়ে না। এরা শত্রু। এদের সব সময় এড়িয়ে চলতে হবে।

 যাঁরা পরামর্শ দিয়েছেন

*  ডা. মোহিত কামাল, অধ্যাপক, জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউট, ঢাকা

*  ডা. ফারজানা রহমান,সহকারী অধ্যাপক, জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউট, ঢাকা

*  ডা. জিল্লুর রহমান খান,সহকারী অধ্যাপক, জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউট, ঢাকা

*  ডা. সিফাত ই সাইদ, সহকারী অধ্যাপক, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল িবশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা

*  ডা. মো. জোবায়ের মিয়া, সহকারী

   অধ্যাপক, শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ

   মেডিকেল কলেজ, গাজীপুর

*  ডা. সৈয়দ ফাহীম সামস, সহকারী অধ্যাপক, উত্তরা আধুনিক মেডিকেল কলেজ, ঢাকা

*  ব্রাদার রোনাল্ড ড্রাহোজাল, নির্বাহী

    পরিচালক, আপন, আসক্তি পুনর্বাসননিবাস

সঞ্চালনা ও গ্রন্থনা: ফেরদৌস ফয়সাল

কর্মসূচি ব্যবস্থাপক, প্রথম আলো ট্রাস্ট

 তিনটি পরামর্শ

গোপন করবেন না 

কারও সন্তান বা প্রিয়জন মাদক নিলে সেটা গোপন করা যা​বে না। মনে করতে হবে, অন্য রোগের মতো মাদকাস​িক্তও একটা রোগ। সবাই মিলে রোগীর পাশে দঁাড়াতে হবে।

ঘৃণা করবেন না

কোনো অবস্থায় মাদকাসক্ত ব্যক্তিকে ঘৃণা করা যাবে না। সব সময় বন্ধুর মতো আচরণ করার চেষ্টা করতে হবে। ​মনে করতে হবে, সে একটা বিপদে পড়েছে। এ বিপদ থকে তাকে রক্ষা করা সবার দায়িত্ব।

ধৈর্য হারাবেন না

দ্রুত আরোগ্য লাভের সুযোগ নেই। দেশ–বিদেশে কোথাও দ্রুত কোনো চিকিত্সার পদ্ধতি নেই। সুস্থ হয়ে আবার সে মাদক নেবে না, এই নিশ্চয়তা কেউ দিতে পারবে না।

টেলিফোনে পরামর্শ–সহায়তা 

প্রতি মাসে একজন মনোরোগ বিশেষজ্ঞ প্রথম আলো কার্যালয়ে বসে ৯১২১২২৩ নম্বরে টেলিফোনে পরামর্শ–সহায়তা দেন। ২০ এপ্রিল বৃহস্পিতবার ৩৪তম আয়োজনে ২১ জন মাদকাসক্ত ব্যক্তি ডা. ফারজানা রাবিনের কাছ থেকে পরামর্শ নেন।

পরবর্তী আয়োজন

তারিখ    : ৩ মে,বুধবার

সময়        :  বিকেল ৪টা                            

স্থান         :  ডব্লিউভিএ মিলনায়তন, বাড়ি–২০

সড়ক  ২৭ (পু​রানো), ধানমন্ডি, ঢাকা।

যোগাযোগ    :           ০১৭১৬২৪২২১৫

বেলা ১১ টা থেকে বিকেল ৫টার মধ্যে ফোন করবেন