প্রিয়জন মাদক গ্রহণ করলেও ধৈর্য হারাবেন না

প্রথম আলো ট্রাস্ট আয়োজিত মাদকবিরোধী পরামর্শ সভায় (বঁা থেকে) মো. জোবায়ের মিয়া, িজল্লুর রহমান খান, মোহিত কামাল, ব্রাদার রোনাল্ড ড্রাহোজাল, ফারজানা রাবিন ও ফারজানা রহমান l ছবি: সাবিনা ইয়াসমিন
প্রথম আলো ট্রাস্ট আয়োজিত মাদকবিরোধী পরামর্শ সভায় (বঁা থেকে) মো. জোবায়ের মিয়া, িজল্লুর রহমান খান, মোহিত কামাল, ব্রাদার রোনাল্ড ড্রাহোজাল, ফারজানা রাবিন ও ফারজানা রহমান l ছবি: সাবিনা ইয়াসমিন

প্রথম আলো ট্রাস্ট মাদকবিরোধী আন্দোলন প্রতি মাসে মাদকবিরোধী পরামর্শ–সহায়তার আয়োজন করে থাকে। দেশের বিশিষ্ট মনোরোগ চিকিৎসক ও কাউন্সেলর ব্যক্তিগতভাবে সমস্যার ধরন অনুযায়ী পরামর্শ দিয়ে থাকেন। বিনা মূলে্য এই সেবা গ্রহণ করতে ০১৭১৬২৪২২১৫ নম্বরে কল করে নাম অন্তর্ভুক্ত করতে হয় অথবা অনুষ্ঠানে সরাসরি হাজির হওয়া যায়। যঁারা পরামর্শ-সহায়তা নিতে আসেন, তঁাদের সামাজিক পরিচয় সম্পূর্ণ গোপন রাখা হয়। ৩ মে রাজধানীর ধানমন্ডি ২৭ নম্বর সড়কে ডব্লিউভিএ মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয় ৮২তম পর্ব। এখানে মাদকাসক্ত রোগী ও তঁাদের পরিবারের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। পরামর্শ-সহায়তা অনুষ্ঠানের আলোচিত বিষয়গুলো তুলে ধরা হলো

প্রশ্ন: আমি ফেন্সিডিল ইয়াবা খাই। মায়ের কাছে শপথ করেছি। আর কোনোদিন মাদক নিব না। এখন  কিছু মনে রাখতে পারি না। আরও কিছু  সমস্যা হচ্ছে। কী করতে পারি

পরামর্শ: আপনাকে আমদের সবার পক্ষ থেকে অভিনন্দন। আপনি মাদক গ্রহণের জন্য অনুতপ্ত।  মায়ের কাছে শপথ করেছেন। কখনো মাদক নেবেন না। মাদকাসক্ত রোগীদের এই ইচ্ছে শক্তিকে খুব মূল্য দিই। কেউ যদি সত্যিকারভাবে নিজ থেকে মাদক মুক্ত থাকতে চান। তা হলে সে দ্রুত মাদক থেকে ফিরে আসতে পারে। আপনি পুরোনো বন্ধু, মাদক গ্রহণের জায়গা, মোবাইল, সব কিছু থেকে দুরে থাকুন। ধর্মীয় ও সৃজনশীল কাজের সঙ্গে যুক্ত থাকুন। ভাবুন, আপনার মধ্যে অনেক সম্ভাবনা আছে। পরিবার ও নিজের জন্য আপনার জন্য অনেক কিছু করতে হবে। এই গ্রহের আপনি শ্রেষ্ঠ প্রাণী। মাদকের মত তুচ্ছ বস্তু গ্রহণ করে শেষ হয়ে যাওয়ার জন্য আপনার জন্ম হয়নি। আপনি দ্রুত কোনো চিকিত্সকের সঙ্গে যোগাযোগ করুন। প্রয়োজনে জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটে এসে প্রয়োজনীয় চিকিত্সা গ্রহণ করতে পারেন।

প্রশ্ন:  আমি দীর্ঘদিন যাবত্ মাদক নিই।  এটা ছাড়ার প্রতিজ্ঞা করি। যেদিন সম্পূর্ণ মাদক ছাড়তে পারব সেদিনই আপনাদের অনুষ্ঠানে আসব বলে ঠিক করি। এখন সম্পূর্ণ মাদক মুক্ত হয়ে আপনাদের অনুষ্ঠানে এসেছি। আমি কী মাদক মুক্ত থাকতে পারব?

পরামর্শ: আপনাকে অভিনন্দন জানাই। মাদক ছাড়ার জন্য আপনাকে সংগ্রাম করতে হয়েছে। সেখানে আপনি জয়ী। বাকি জীবনেও জয়ী হবেন। আপনার মত তরুণ চাই যারা ইচ্ছে শক্তি দিয়ে সব করতে পারে। আমাদের অনুষ্ঠানে নিয়মিত আসতে থাকেন। আমরা ধরে নিচ্ছি আপনি আর কোনো দিন মাদক  নেবেন না। কিন্তু কখনো যদি নিতে ইচ্ছে করে। আপনি ব্যায়াম করবেন,গোসল করবেন, গান শুনবেন, কারো সঙ্গে গল্প করবেন, খেলাধুলা করবেন। এসবের  মাধ্যমে নিজেকে ব্যস্ত রাখবেন। দেখবেন মাদকের নেশা আর  থাকবে না।

প্রশ্ন:  মাদক থেকে দূরে থাকার জন্য পরিবারের কি কোনো ভূমিকা আছে?

পরামর্শ : পারিবারিক, সামাজিক ও রাজনৈতিক  পরিবেশে আমাদের সন্তানেরা বেড়ে ওঠে। একজন সন্তান কতটুকু ভালো থাকবে সেটা অনেকাংশে নির্ভর করে তার পারিবারিক পরিবেশের ওপর। আমরা বিভিন্নভাবে তরুণদের মাদক থেকে দূরে থাকার কথা বলি। এটা আমাদের  সাংগঠনিক কাজ। কিন্তু পারিবারিক ভূমিকার বিকল্প কোন কিছু নয়। পরিবার থেকে সন্তানেরা আত্মবিশ্বাসী হয়। আত্মপ্রত্যয়ী হয়। এটি আবার নির্ভর করে মা-বাবা, বড় ভাই-বোন পরস্পর পরস্পরের প্রতি আচার আচরণের ওপর। অনেকের  বাড়িতে বা বাসায় বাইরের মানুষ কাজ করে। এদের আচরণের প্রভাবও ছেলেময়েদের ওপর পড়ে। সে দিকটিও খেয়াল রাখতে হবে। সত্যিকার অর্থে ঘর থেকেই সন্তানের মননশীল হওয়ার শিক্ষা নিতে হয়।   আত্মবিশ্বাসী ও আত্মপ্রত্যয়ী হওয়ার শিক্ষা নিতে হয়। পরিবার থেকেই ব্যক্তিত্বের বৈশিষ্ট্য গড়ে ওঠে। যে সন্তান পরিবার থেকে আত্মবিশ্বাসী, আত্মপ্রত্যয়ী ও ব্যক্তিত্ব সম্পন্ন হয় সে বন্ধুদের মাদক গ্রহণসহ অন্যান্য খারাপ প্রস্তাব সরাসরি প্রত্যাখ্যান করতে পারে না বলতে পারে। এ জন্য মাদক থেকে দূরে থাকার জন্য পরিবারই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে।

প্রশ্ন:  আমি বন্ধুদের সঙ্গে মিশে মাদক নিই। আমার মতো অনেকেই বন্ধুর প্রস্তাবকে না করতে পারে না? এ ক্ষেত্রে কী করণীয়?

পরামর্শ : যে কোনো উপায়ে মাদককে না বলতেই হবে। কীভাবে বলবে এ কৌশলও তাকে রপ্ত করতে হবে। না বলতে না শিখলে সে কখনও নিজেকে রক্ষা করতে পারবে না।  না বলার শক্তি অর্জন করতে হবে। যে সমস্ত  ছেলেময়ে মাদকে জড়িয়ে পড়ে তারা বন্ধুদের না বলতে পারে না। অনেক মনে করে, না বললে বন্ধুরা কী মনে করবে। বন্ধুত্ব নষ্ট হয়ে যেতে পারে। এখানে একটা বিষয় বুঝতে হবে, যে বন্ধু  মাদক গ্রহণের প্রস্তাব দেয়  সে ধ্বংসের দিকে ঠেলে দিচ্ছে। মৃত্যুর দিকে ঠেলে দিচ্ছে। বন্ধুর পস্তাবে মাদক গ্রহণ করলে ধীরে ধীরে  মা-বাবা, ভাই-বোন, আত্মীয়-স্বজন সবার থেকে দূরে চলে যেতে হয়। সবাই ঘৃণা করবে।  এক সময় নিজেকে দ্বীপ মনে হবে। কেউ তোমার পাশে থাকবে না। আমাদের এখানে এমন বাবা এসেছেন  মাদক নিতে নিতে যার সন্তানের মৃত্যু হয়েছে। আর যে বন্ধু মাদকের প্রস্তাব দেয় সে তোমার টাকায় মাদক নিবে। টাকা শেষ, তোমাকে ছুঁড়ে ফেলবে। অতএব, তুমি যে ভাবছো, বন্ধুকে কী ভাবে না বলি, না বললে বন্ধুত্ব নষ্ট হয়ে যাবে। আসলে সেতো তোমার বন্ধু।  সে কী মনে করলো আর না করল তাতে কিছুই যায় আসে না। তবে তাকে আঘাত না করে সহজভাবেই বলাই ভালো। মনে করবে জীবনের সবচেয়ে বড় শত্রুও মাদক গ্রহণকারী বন্ধুর থেকে ভালো।

প্রশ্ন:  কী ভাবে বুঝব সন্তান মাদক নিচ্ছে?

পরামর্শ: সন্তান কোথায় যাচ্ছে? কখন যাচ্ছে? কার সঙ্গে যাচ্ছে? কার কাছে যাচ্ছে। কখন ফিরছে? কী ভাবে ফিরছে? তার আচরণের কী কী পরিবর্তন লক্ষ করছেন? সবকিছু  খেয়াল করতে হবে। অনেক মা আমাদের কাছে বলেন, ‘আমার সন্তান বদলে গেছে। তার আচরণ বদলে গেছে। আমি তাকে চিনতে পারছি না। খাওয়া বদলে গেছে। চেহারা পরিবর্তন হয়ে গেছে। তার অনেক নতুন বন্ধু হচ্ছে। নতুন বন্ধুদের সঙ্গে ঘুরছে।’ এগুলো দেখে বুঝতে পারবেন সে খারাপ বন্ধুদের সঙ্গে মিশছে। মাদকের সঙ্গে জড়িয়েছে। আরও অনেক বৈশিষ্ট্য আছে যেগুলো দেখে বোঝা যাবে সন্তান মাদক নিচ্ছে।

প্রশ্ন: মাদক ব্যবসায়ীরা কীভাবে তরুণদের ধ্বংস করছে? এদের কী প্রতিহত করা যায় না?

পরামর্শ: কোনো সন্দেহ নেই মাদক ব্যবসায়ীরা তরুণ-তরুণীদের ধ্বংস করছে। প্রথমে  তারা  কৌশলে এদের মাদকাসক্ত করে। এখানেই শেষ নয়।  তারপর তাদের মাদক বাজারজাত করার কাজে ব্যবহার করে। তাদের দিয়ে মাদকের ব্যবসা করেন। এরা স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ছাত্রীদের প্রথমে বিনা পয়সায় মাদক দিয়ে আসক্ত করে। তারপর তাদের  কাছে মাদক বিক্রি করে সর্বশান্ত করে। এ ভাবে তারা সমাজের প্রত্যেকটি জায়গায় মাদকের প্রসার ঘটাচ্ছে। আমাদের অসংখ্য মেধাবী ছেলেমেয়ে অর্থলোভী মাদক ব্যবসায়ীর এজেন্ট হিসেবে কাজ করে। এভাবে এ চক্র থেকে আর বেরিয়ে আসতে পারে না। আমিও নিজেকে প্রশ্ন করি। কী করব? এদের কি ঘৃণা করব? এই বিষয়গুলো আমাদেরকে ভাবিয়ে তুলছে। তবে সবাই মিলে এদের ঘৃণা  করতে হবে। প্রশাসনকে আরও তত্পর হতে হবে।  সবাই চেষ্টা করলে নিশ্চয়ই এ সমস্যা থেকে মুক্ত থাকব।

প্রশ্ন: আমরা সব সময় সন্তানদের দোষ দিই। তাদের ভালো রাখার ব্যাপারে মা-বাবার কি কোনো ভূমিকা নেই?

পরামর্শ: আমরা শুধু সন্তানদের দোষ দিই। মা-বাবারও উদাসীনতা, গাফিলতি আছে। আমাদের কাছে অনেক সন্তান এসে বলে, ‘না চাইতে জীবনে অনেক কিছু পেয়েছি। কিন্তু যা চেয়েছি তা তেমন পায়নি। কলেজ থেকে ফিরে দেখেছি শূন্য বাসা। মা-বাবা কেউ বাসায় নেই। দুজনই কাজে ব্যস্ত। তাদের জন্য অপেক্ষা করি। অনেক ভালো লাগা খারাপ লাগা তাদের জানাতে চাই কিন্তু পারি না। টাকা-পয়সা, কাপড়-চোপড় সবই দিয়েছেন। কিন্তু বাবা-মায়ের কাছ থেকে ভালোবাসা  কখনও পায়নি। আমার কাছে পৃথিবীকে নিরর্থক মনে হয়েছে। হতাশায় ভুগতে ভুগতে  এক সময় মাদক নিয়েছি। আসলে আমাদের ঘরকে সুন্দর করতে হবেমা-বাবার আচরণ ভালো হবে। তাদের মধ্যে মধুর সম্পর্ক থাকবে। সন্তানদের আত্মবিশ্বাসী আত্মপ্রত্যয়ী করতে হবে। বাইরের প্রতিকূল পরিবেশ সম্পর্কে তাকে ধারণা দিতে হবে। তার পিছনে আমরা লেগে থাকব না। তাকে সন্দেহ করব না। তাকে মায়া মমতা দিয়ে কাছে রাখতে হবে। মা-বাবাকে অবশ্যই তাদের সময় দিতে হবে।

বাবা-ময়ের আচার-আচরণ,তাদের নিজেদের ভালো সম্পর্ক, তাদের নৈতিকতা, মূল্যবোধ সবকিছু সন্তানদের প্রভাবিত করে। বাবা মা যদি তাদের সময় না দেন, তাহলে তারা মূল্যবোধ সম্পন্ন মানুষ তৈরি হতে পারে না। যদি প্রশ্ন করি কয়জন বাবা-মা বলতেপারবেন, শেষ কবে আপনি আপনারসন্তানকে নিয়ে খেলার মাঠে গেছেন? কোন বিকেলে তাকেনিয়ে গল্প করেছেন?আমাদের ভাষা ও স্বাধীনতার ইতিহাস তাকে বলেছেন? তাকে বলেছেন এই দেশকে গড়ার দায়িত্ব তোমার?

দুটি পরামর্শ

গোপন করবেন না 

কারও সন্তান বা প্রিয়জন মাদক নিলে সেটা গোপন করা যা​েব না। মনে করতে হবে, অন্য রোগের মতো মাদকাস​িক্তও একটা রোগ। সবাই মিলে রোগীর পাশে দঁাড়াতে হবে।

ধৈর্য হারাবেন না

দ্রুত আরোগ্য লাভের সুযোগ নেই। দেশ–বিদেশে কোথাও দ্রুত কোনো চিকিত্সার পদ্ধতি নেই। সুস্থ হয়ে আবার সে মাদক নেবে না, এই নিশ্চয়তা কেউ দিতে পারবে না।

রিকভারিং এডিক্ট ডে-নাইট ক্রিকেট টুর্নামেন্ট

রিকভারি প্রিমিয়ার লীগ এর দ্বিতীয় আসর

অংশগ্রহনকারী দল: ছয়টি, খেলা চলে: ২৬–২৯ এপ্রিল ২০১৭, স্থান: সোনালী সংঘ মাঠ, নুরজাহান রোড, মোহাম্মদপুর, ঢাকা  দর্শক: প্রতিদিন  প্রায় ১ হাজার। ৬০০ এর বেশি রিকভারিং এডিক্ট ও এলাকা বাসীর উপস্থিতি। সহায়তা: বিকন পয়েন্ট, ঢাকা আহছানিয়া মিশন, বিওয়াইএফসি, দ্যা নিউ হোপ, ক্রিয়া,ঢাকার নেতৃস্থানীয় মাদকাসক্তি চিকিৎসাকেন্দ্র। বিশেষ অতিথি:সাবেক তারকা মেহরাব হোসেইন অপি, সানোয়ার হোসাইন, জাভেদ ওমর বেলিম গোল্লা প্রমুখ। আয়োজনে: টিপু স্মৃতি সংসদ

যাঁরা পরামর্শ দিয়েছেন

* ডা. মোহিত কামাল

অধ্যাপক, জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউট, ঢাকা

* ডা. ফারজানা রহমান

সহকারী অধ্যাপক, জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউট, ঢাকা

* ডা. িজল্লুর রহমান খান

সহকারী অধ্যাপক, জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউট, ঢাকা

* ডা. ফারজানা রাবিন

সহযোগী অধ্যাপক, হলিফ্যামিলি রেডক্রিসেন্ট মেডিকেল কলেজ, ঢাকা

* ডা. মো. জোবায়ের মিয়া

 সহকারী অধ্যাপক, শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ, গাজীপুর

* ব্রাদার রোনাল্ড ড্রাহোজাল

নির্বাহীপরিচালক, আপন, আসক্তি পুনর্বাসননিবাস

সঞ্চালনা ও গ্রন্থনা: ফেরদৌস ফয়সাল

কর্মসূচি ব্যবস্থাপক, প্রথম আলো ট্রাস্ট

টেলিফোনে পরামর্শ–সহায়তা 

প্রতি মাসে একজন মনোরোগ বিশেষজ্ঞ প্রথম আলো কার্যালয়ে বসে ৯১২১২২৩ নম্বরে টেলিফোনে পরামর্শ–সহায়তা দেন। ১৮ মে বৃহস্পতিবার ৩৫ তম আয়োজনে ২৩ জন মাদকাসক্ত ব্যক্তি ডা. ফারজানা রহমানের কাছ থেকে পরামর্শ নেন।

পরবর্তী আয়োজন

তারিখ    : ৩ জুন,শনিবার

সময়        :  বেলা ৩টা                           

স্থান         : ডব্লিউভিএ মিলনায়তন, বাড়ি–২০ 

সড়ক  ২৭ (পু​েরানো), ধানমন্ডি, ঢাকা।

যোগাযোগ    :           ০১৭১৬২৪২২১৫

বেলা ১১ টা থেকে িবকেল ৫টার মধ্যে ফোন করবেন