প্রিয়াঙ্কার মৃত্যু: পরিবারও ধোঁয়াশায়

রাজধানীতে প্রিয়াঙ্কা দত্ত প্রিয়া নামের ছাত্রীর মৃত্যুর কারণ সম্পর্কে তাঁর পরিবার কিছু বুঝে উঠতে পারছে না। তারা ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত দাবি করেছে।

গতকাল শনিবার সকালে কাঁটাবন মোড় থেকে অজ্ঞাতপরিচয়ের এক তরুণীর নিথর দেহ উদ্ধার করা হয়। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তাঁকে মৃত ঘোষণা করা হয়। বিকেলে স্বজনেরা হাসপাতালে এসে তাঁর লাশ শনাক্ত করেন। তবে তাঁর মৃত্যুর কারণ নিয়ে রহস্য থেকে যায়।

পরিবার জানায়, প্রিয়াঙ্কা (২২) রাজধানীর ধানমন্ডির ভূঁইয়া একাডেমির বিবিএ তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন। এ ছাড়া তিনি ধানমন্ডিতে ল্যাবএইড হাসপাতালের কলসেন্টারে খণ্ডকালীন কাজ করতেন।

প্রিয়াঙ্কার বাবা নারায়ণ দত্ত আজ রোববার প্রথম আলোকে বলেন, তাঁরা বিকেলে খবর পেয়ে হাসপাতালে গিয়ে লাশ শনাক্ত করেন। প্রিয়াঙ্কার মৃত্যুর কারণ সম্পর্কে তাঁরা কিছুই বুঝতে পারছেন না।

প্রিয়াঙ্কার বাবা বলেন, পত্রিকায় প্রকাশিত খবর থেকে তাঁরা জেনেছেন, প্রিয়াঙ্কার কাছে থাকা ভ্যানিটি ব্যাগ ধরে দুই যুবক টান দেয়। এতে সড়কে পড়ে গিয়ে তাঁর মৃত্যু হয়।

ভ্যানিটি ব্যাগের জন্য এই ধরনের ঘটনা ঘটতে পারে বলে মনে করেন না প্রিয়াঙ্কার বাবা। তিনি ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত দাবি করেছেন।

হাসপাতাল ও পুলিশ সূত্র জানায়, সড়কে নিথর অবস্থায় পড়ে ছিলেন প্রিয়াঙ্কা। তিনি রক্তাক্ত ছিলেন। তাঁকে কেউ উদ্ধার করছিলেন না। কর্মস্থলে যাওয়ার পথে এক নারী চিকিৎসক প্রিয়াঙ্কাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যান।

পরিবার জানায়, প্রিয়াঙ্কার কাছে ভ্যানিটি ব্যাগ ও মোবাইল ফোন ছিল।

হাসপাতাল সূত্র জানায়, প্রিয়াঙ্কাকে উদ্ধারের সময় তাঁর কাছে ভ্যানিটি ব্যাগ বা মোবাইল ফোন পাওয়া যায়নি।

বিভিন্ন গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়, উদ্ধারকারী চিকিৎসককে রিকশাচালকেরা জানিয়েছেন, ওই তরুণী (প্রিয়াঙ্কা) রিকশায় ছিলেন। এ সময় তাঁর কাছে থাকা ভ্যানিটি ব্যাগ ধরে টান দেয় মোটরসাইকেলে থাকা সন্দেহভাজন ছিনতাইকারীরা। এতে সড়কে পড়ে গিয়ে তাঁর মৃত্যু হয়।

শাহবাগ থানার পুলিশ বলছে, ঘটনার কোনো প্রত্যক্ষদর্শী পাওয়া যায়নি। তাই কেন ও কীভাবে প্রিয়াঙ্কার মৃত্যু হয়েছে, তা এখনই নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না। তবে প্রাথমিক আলামত দেখে ঘটনাটিকে সড়ক দুর্ঘটনা মনে হচ্ছে।

শাহবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু বকর সিদ্দিক বলেন, এ ঘটনায় আজ রোববার বেলা ১১টা পর্যন্ত কোনো মামলা হয়নি।