ফটোসাংবাদিক শফিকুলের বিরুদ্ধে করা তিন মামলার কার্যক্রম স্থগিত

হাইকোর্ট
ফাইল ছবি

ফটোসাংবাদিক শফিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে করা তিন মামলার কার্যক্রম স্থগিত করেছেন হাইকোর্ট। ওই তিন মামলায় অভিযোগ গঠনের আদেশের বিরুদ্ধে করা আপিল শুনানির জন্য গ্রহণ করে বিচারপতি এ এস এম আবদুল মোবিন ও বিচারপতি মো. আতোয়ার রহমানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ আজ বুধবার এ আদেশ দেন।

শফিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের পৃথক তিন মামলায় গত বছরের ৮ নভেম্বর অভিযোগ গঠনের মাধ্যমে বিচার শুরুর আদেশ দেন ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনাল। এ আদেশের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে পৃথক তিনটি আপিল করেন শফিকুল। আদালতে শফিকুলের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী জ্যোতির্ময় বড়ুয়া। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানিতে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সুজিত চ্যাটার্জি বাপ্পী।

পরে জ্যোতির্ময় বড়ুয়া প্রথম আলোকে বলেন, তিনটি আপিল শুনানির জন্য গ্রহণ করে হাইকোর্ট মামলার কার্যক্রমে স্থগিতাদেশ দিয়েছেন। সাইবার ট্রাইব্যুনালে থাকা মামলার নথিও তলব করে হাইকোর্ট তিনটি আপিল শুনানির জন্য ২৮ জুলাই দিন ধার্য করেছেন।

হাইকোর্টের আদেশের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে আবেদন করা হবে বলে জানিয়েছেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সুজিত চ্যাটার্জি বাপ্পী। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, আপিল শুনানির জন্য ২৮ জুলাই দিন নির্ধারণ করেছেন হাইকোর্ট। এ সময় পর্যন্ত মামলাগুলোর কার্যক্রম স্থগিত করা হয়েছে।

ফটোসাংবাদিক শফিকুল ইসলাম

২০২০ সালের ৯ মার্চ ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে শেরেবাংলা নগর থানায় শফিকুল ইসলামসহ ৩২ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন মাগুরা-১ আসনের সংসদ সদস্য মো. সাইফুজ্জামান। পরদিন শফিকুল নিখোঁজ হন। ৫৩ দিন পর একই বছরের ২ মে গভীর রাতে যশোরের বেনাপোলের সাদীপুর সীমান্তের একটি মাঠ থেকে তাঁকে উদ্ধারের কথা জানান বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) সদস্যরা। পরের দিন অনুপ্রবেশের অভিযোগে বিজিবির করা মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে যশোরের আদালতে হাজির করা হয় শফিকুল ইসলামকে। পরে তাঁকে কারাগারে পাঠানো হয়।

অন্যদিকে রাজধানী হাজারীবাগ ও কামরাঙ্গীরচর থানায় ওই বছরের ১০ ও ১১ মার্চ ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে শফিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে দুটি মামলা করেন যুব মহিলা লীগের দুই নেত্রী। এসব মামলায়ও তাঁকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়। গ্রেপ্তারের প্রায় আট মাস পর ২০২০ সালের ২৫ ডিসেম্বর জামিনে মুক্তি পান তিনি।