ফরিদপুরে বাস মালিক সমিতির সভাপতির বাড়ি থেকে নয়টি অস্ত্র উদ্ধার

ফরিদপুর বাস মালিক সমিতির সভাপতি গোলাম রব্বানী খান ওরফে মুনের (৪৫) বাড়ি থেকে নয়টি আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)। গতকাল বৃহস্পতিবার ফরিদপুর শহরের আলীপুরের মুজিব সড়কে গোলাম রব্বানীর পৈতৃক বাড়িতে তিন ঘণ্টা তল্লাশি চালিয়ে এসব অস্ত্র উদ্ধার করা হয়। গোলাম রব্বানী এ সময় বাড়িতে ছিলেন না। র্যাব ওই বাড়ি থেকে তিনজনকে আটক করে থানায় সোপর্দ করেছে। র্যাব সূত্র জানায়, ফরিদপুরে র্যাব-৮-এর একটি দল গতকাল ভোর সাড়ে চারটা থেকে সকাল সাড়ে সাতটা পর্যন্ত ওই বাড়িতে তল্লাশি চালায়। এ সময় বাড়ির শয়নকক্ষের আলমারি ও বিছানার নিচ থেকে দুটি, মুরগির ঘর থেকে কাপড়ে মোড়ানো একটি ও জ্বালানি কাঠের স্তূপের ভেতরে রাখা পলিথিন ব্যাগ থেকে ছয়টি অস্ত্র উদ্ধার করা হয়। এসব অস্ত্রের মধ্যে রয়েছে ম্যাগাজিন ও দুটি গুলিসহ দুটি বিদেশি পিস্তল, একটি বিদেশি রিভলবার, দুটি এলজি, একটি শাটারগান ও তিনটি বন্দুক।র্যাবের এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, গোলাম রব্বানীর ছত্রচ্ছায়ায় পালিত একদল সন্ত্রাসী তাঁর বাড়িতে অস্ত্র রেখে যাবে—এই গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ওই বাড়িতে এ অভিযান চালানো হয়। এ সময় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এ এম ফেরদৌস উপস্থিত ছিলেন। অস্ত্র উদ্ধারের পর গোলাম রব্বানীর বাড়িটি সিলগালা করে দেওয়া হয়। বাড়ির তত্ত্বাবধায়ক শহরের গোয়ালচামট মহল্লার খোদা বক্স রোড এলাকার শেখ ফরিদ (৬৫), নৈশপ্রহরী ফরিদপুর সদর উপজেলার আকনভাটপাড়া গ্রামের মো. আকমত (৩৮) ও গোলাম রব্বানীর ফুপাতো ভাই গোপালগঞ্জের মুকসুদপুর উপজেলার শালিনাবক্স গ্রামের মো. নাসির লস্করকে (৩০) আটক করা হয়। আটক তিনজন এসব অস্ত্র সম্পর্কে কিছু জানেন না বলে র্যাবকে জানিয়েছেন। ফরিদপুর র্যাবের অধিনায়ক মেজর সাব্বির বলেন, ‘গোলাম রব্বানী একজন গডফাদার। তিনি অস্ত্রের লেনদেন করেন। তিন মাস ধরে সহযোগীসহ তাঁর গতিবিধির ওপর নজরদারি করে এই অস্ত্র উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে। এই অস্ত্র উদ্ধার অভিযান চলবে।’ ফরিদপুর কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নূরে আলম সিদ্দিকী জানান, আটক তিনজনকে র্যাব থানায় সোপর্দ করেছে। উদ্ধার করা অস্ত্রগুলো থানায় রাখা হয়েছে। পুলিশ জানায়, আততায়ীর গুলিতে নিহত বিএনপির নেতা মো. লিয়াকত হোসেন হত্যা মামলার অভিযোগপত্রভুক্ত আসামি গোলাম রব্বানী। কোতোয়ালি থানায় তাঁর বিরুদ্ধে দুটি চাঁদাবাজি ও একটি অস্ত্র মামলা রয়েছে। ফরিদপুর বাস মালিক সমিতি সূত্রে জানা গেছে, গত বছর তিনি ২০০৮-১০ মেয়াদের জন্য জেলা বাস মালিক সমিতির সভাপতি নির্বাচিত হন।