ফেনীতে শিক্ষকের ৪৮১টি পদ শূন্য

ফেনীর সোনাগাজী উপজেলার পাঁচটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় চলছে মাত্র দুজন করে শিক্ষক দিয়ে। এ ছাড়া জেলায় ৪৮১টি শিক্ষকের পদ শূন্য। এতে শিক্ষার্থীদের পাঠদান ব্যাহত হচ্ছে।
জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কার্যালয় সূত্র জানায়, জেলায় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ৫৩৮টি। এর মধ্যে ১৬৮টি বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক নেই। এ ছাড়া জেলায় ৩১৩টি সহকারী শিক্ষকের পদও শূন্য।
ফেনী সদরের ৪৪টি, সোনাগাজীর ৪৩টি, দাগনভূঞার ২৮টি, ছাগলনাইয়ার ২০টি, ফুলগাজীর ২০টি ও পরশুরামের ১৩টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক নেই।
এ ছাড়া সোনাগাজীতে ৯৮টি, দাগনভূঞায় ৬৯টি, ফেনী সদরে ৫৬টি, ফুলগাজীতে ৩৪টি, ছাগলনাইয়ায় ২৪টি ও পরশুরামে ৩২টি সহকারী শিক্ষকের পদ খালি।
সোনাগাজীর চর চান্দিয়া ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান সামছুদ্দিন আহম্মদ জানান, তাঁর ইউনিয়নের ১৬টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মধ্যে ১০টিতেই প্রধান শিক্ষক নেই। এ ছাড়া চারটি বিদ্যালয়ে শিক্ষক আছেন মাত্র দুজন করে।
সূত্র জানায়, সোনাগাজীর চর দরবেশ ইউনিয়নের পশ্চিম চর দরবেশ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষক আছেন মাত্র দুজন।
সোনাগাজীর দক্ষিণ-পশ্চিম চর চান্দিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি আবু সুফিয়ান প্রথম আলোকে বলেন, তাঁদের বিদ্যালয়ে দীর্ঘদিন ধরে শিক্ষক মাত্র দুজন। তিনি জানান, অনেক আবেদনের পর একজন সহকারী শিক্ষককে প্রেষণে দেওয়া হয়। কিন্তু কিছুদিন পর তিনি প্রশিক্ষণে চলে যান।
আবু সুফিয়ান জানান, বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির ব্যবস্থাপনায় অস্থায়ী ভিত্তিতে একজন শিক্ষক নিয়োগ দিয়ে কোনোমতে পাঠদান করা হচ্ছে।
বিদ্যালয় সূত্র জানায়, কোনো শিক্ষক সরকারি কাজে কিংবা প্রশিক্ষণে গেলে পাঠদান খুবই কঠিন হয়ে পড়ে।
সোনাগাজী উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মেরাজ উদ্দিন বলেন, শিক্ষক বদলি করা কিংবা প্রেষণে দেওয়ার দায়িত্ব জেলা শিক্ষা কর্মকর্তার। তিনি শুধু সুপারিশ করতে পারেন।
জানতে চাইলে জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা বিলকিস আরা বেগম প্রথম আলোকে জানান, এসব বিষয় তাঁর জানা নেই। তিনি সোনাগাজীতে খোঁজ নিয়ে জেনে নেবেন ওই সব বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীর সংখ্যা কত। এরপর কী করা যায় তিনি সেটা দেখবেন।