ফেসবুকে টিপ পরা ছবি দিয়ে শিক্ষামন্ত্রীর প্রতিবাদ

নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্টে টিপ পরা কয়েকটি ছবি পোস্ট করেছেন

টিপ পরায় রাজধানীর এক কলেজ শিক্ষিকাকে পুলিশ সদস্যের হেনস্তা করার ঘটনার প্রতিবাদ অব্যাহত রয়েছে। বিভিন্ন পর্যায়ের নারীরা কপালে টিপ পরে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছবি পোস্ট করে প্রতিবাদ জানাচ্ছেন। জাতীয় সংসদেও ওই ঘটনা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের সঙ্গে শিক্ষামন্ত্রীও টিপ পরা ছবি ফেসবুকে পোস্ট করে প্রতিবাদ জানিয়েছেন।

শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি তাঁর ভেরিফায়েড ফেসবুক অ্যাকাউন্টে টিপ পরা কয়েকটি ছবি দিয়ে লিখেছেন ‘আমি মানুষ, আমি মুসলমান, আমি বাঙালি, আমি নারী।’

তাঁর এই স্ট্যাটাসের মন্তব্যের ঘরে অনেকেই ওই নারীকে হেনস্তা করার ঘটনায় শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে সুর মিলিয়ে প্রতিবাদ জানিয়েছেন। ময়মনসিংহের ত্রিশালে অবস্থিত জাতীয় কবি নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সৌমিত্র শেখর লিখেছেন ‘এভাবেই প্রতিবাদ হোক, তীক্ষ্ণতর হোক আমাদের ভাষা, এভাবেই এগিয়ে আসুক মুক্তিযুদ্ধস্নাত বাঙালির আশা।’

টিপ পরায় গত শনিবার ঢাকার ফার্মগেট এলাকায় হয়রানির শিকার হন তেজগাঁও কলেজের থিয়েটার অ্যান্ড মিডিয়া স্টাডিজ বিভাগের প্রভাষক লতা সমাদ্দার। এ বিষয়ে ওই দিনই শেরেবাংলা নগর থানায় লিখিত অভিযোগ দেন তিনি। এর ভিত্তিতে ঘটনাস্থলের আশপাশের সিসি ক্যামেরার ফুটেজ দেখে অভিযুক্ত কনস্টেবল নাজমুল তারেককে শনাক্ত করেছে পুলিশের তেজগাঁও বিভাগ। নাজমুল তারেক ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) প্রোটেকশন বিভাগে কর্মরত ছিলেন। তাঁকে সাময়িকভাবে চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হয়েছে।

ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারের উপকমিশনার ফারুক হোসেন বলেন, নারীকে হেনস্তার ঘটনাটি তদন্তে দুই সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে। তিন কর্মদিবসের মধ্যে তাদের প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।

আরও পড়ুন