রাষ্ট্রপতি পরামর্শ দিয়ে বলেন, স্বাধীনতা ও জাতির পিতার অমূল্য স্মৃতি অবশ্যই সংরক্ষণ করতে হবে, যাতে আগামী প্রজন্ম বাঙালি জাতির গৌরবময় ইতিহাস এবং পূর্বপুরুষদের অসীম সাহসিকতা ও দেশপ্রেম সম্পর্কে জানতে পারে। বঙ্গবন্ধু তাঁর স্কুলজীবন থেকেই মানুষের কল্যাণে কাজ করেছেন। এমনকি ব্যক্তিগত ও পারিবারিক জীবনের আনন্দ বা খুশির চেয়েও জনসেবামূলক কাজের প্রতি তাঁর আগ্রহ ছিল বেশি।

জাতির জনকের স্বপ্নের সঙ্গে সংগতিপূর্ণ সরকারের উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের কথা তুলে ধরে রাষ্ট্রপতি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন বর্তমান সরকার বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন বাস্তবায়নে অক্লান্তভাবে কাজ করে যাচ্ছে। বঙ্গবন্ধু একটি সুখী, সমৃদ্ধ ও রাজনৈতিকভাবে স্বনির্ভর দেশ গড়ার স্বপ্ন দেখেছিলেন। বাংলাদেশ অদম্য গতিতে উন্নয়নের মহাসড়ক দিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে। বিশ্বের দরবারে বাংলাদেশ উন্নয়নশীল দেশের স্বীকৃতি পেয়েছে।

আবদুল হামিদ বলেন, ‘যদি এই টেকসই উন্নয়নের অগ্রগতি অব্যাহত থাকে, তবে বাংলাদেশ ২০৪১ সালের মধ্যে একটি উন্নত ও সমৃদ্ধ দেশে পরিণত হবে, ইনশা আল্লাহ।’

বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী ও জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে ভিডিও বার্তা পাঠানোর জন্য রাষ্ট্রপতি তাঁর বক্তৃতায় চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং, কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো ও জাপানের প্রধানমন্ত্রী ইয়োশিহিদে সুগার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি আশা করেন যে আগামী দিনগুলোতে এই উন্নয়ন সহযোগীদের সঙ্গে বাংলাদেশের যোগাযোগ ও সম্পর্ক আরও ঘনিষ্ঠ ও জোরদার হবে। এ সময় চীন, জাপান ও কানাডার সরকার ও জনগণের অব্যাহত শান্তি, অগ্রগতি ও সমৃদ্ধি কামনা করেন রাষ্ট্রপতি।

বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর ঐতিহাসিক এই উদ্‌যাপন অনুষ্ঠানে অংশ নেওয়ার জন্য মালদ্বীপের প্রেসিডেন্ট ইবরাহিম মোহাম্মদ সলিহকে আন্তরিকভাবে অভ্যর্থনা জানিয়ে রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘মালদ্বীপ ও বাংলাদেশের মধ্যে চমৎকার বন্ধুত্বপূর্ণ ও সমঝোতার বন্ধন রয়েছে, যা সাম্প্রতিক বছরগুলোতে উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। আমাদের দুই দেশের মধ্যে এই সম্পর্ক অভিন্ন ধর্ম, সংস্কৃতি ও মূল্যবোধের পাশাপাশি আমাদের পারস্পরিক স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিভিন্ন ইস্যুর কারণে আরও জোরদার হয়েছে।’