বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণ পাঠ্যপুস্তকে অন্তর্ভুক্তির নির্দেশ

হাইকোর্ট
ফাইল ছবি

জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৭ মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণ পাঠ্যপুস্তকে অন্তর্ভুক্ত করতে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
বিভিন্ন পর্যায়ের পাঠ্যবইয়ে ৭ মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণ অন্তর্ভুক্ত করতে বলা হয়েছে। পাঠ্যসূচিতে ভাষণ অন্তর্ভূক্তি বিষয়ে বিশেষজ্ঞদের নিয়ে একটি কমিটি গঠন করতে শিক্ষা মন্ত্রণালয়কে বলা হয়েছে।

চার বছর আগে করা এক রিটের চূড়ান্ত শুনানি শেষে আজ বুধবার বিচারপতি এফ আর এম নাজমুল আহাসান ও বিচারপতি শাহেদ নূর উদ্দিনের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় দেন।

সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী বশির আহমেদ ৭ মার্চকে ঐতিহাসিক দিবস ঘোষণা ও যে মঞ্চে বঙ্গবন্ধু ৭ মার্চের ভাষণ দিয়েছিলেন, সেই মঞ্চে তাঁর ওই আবক্ষ ভাস্কর্য নির্মাণ করাসহ প্রয়োজনীয় নির্দেশনা চেয়ে ২০১৭ সালে হাইকোর্টে একটি রিট করেন। এ রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে ওই বছরের ২০ নভেম্বর আদালত রুল দেন। রুলে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের যে মঞ্চে ৭ মার্চের ভাষণ দিয়েছিলেন, সেটি পুনর্নির্মাণে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না এবং ৭ মার্চকে জাতীয় ঐতিহাসিক দিবস হিসেবে কেন ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চাওয়া হয়।
পরবর্তী সময়ে রিট আবেদনকারীর করা সম্পূরক আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে হাইকোর্ট অন্তর্বর্তীকালীন আদেশ দেন।

এর ধারাবাহিকতায় গত বছরের ২৫ ফেব্রুয়ারি শুনানিতে আদালত অভিমত দেন যে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৭ মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণ পাঠ্যপুস্তকে নিয়ে আসা উচিত। এখনকার প্রজন্মকে এ ভাষণ শোনানোর পাশাপাশি ঐতিহাসিক এ ভাষণের আধেয় জানানো উচিত।

রুলের চূড়ান্ত শুনানি শেষে ওই নির্দেশ দিয়ে আজ রিট নিষ্পত্তি করে রায় দেওয়া হয়। বিষয়টি চলমান তদারকিতে থাকবে জানিয়ে তিন মাসের মধ্যে নির্দেশনা বাস্তবায়ন বিষয়ে বিবাদীদের সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেলের কাছে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।

আদালতে রিটের পক্ষে আবেদনকারী আইনজীবী বশির আহমেদ নিজেই শুনানি করেন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন, ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল আবদুল্লাহ আল মাহমুদ ও তাহিরুল ইসলাম।