মহীসোপানের সীমা নির্ধারণ চূড়ান্ত হলে বাংলাদেশ তার সীমানার সমুদ্রসম্পদ ও সমুদ্রতলদেশের খনিজ সম্পদ আহরণ-ব্যবহারের সুযোগ পাবে বলে উল্লেখ করেন রাষ্ট্রদূত রাবাব ফাতিমা।

এর আগে ২০১১ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি জাতিসংঘের মহীসোপানসীমা–বিষয়ক কমিশনে বঙ্গোপসাগরের মহীসোপানসীমা–সংক্রান্ত মূল তথ্যগুলো জমা দিয়েছিল বাংলাদেশ।

নিউইয়র্কে বাংলাদেশের স্থায়ী মিশনের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, মিয়ানমার ও ভারতের সঙ্গে সমুদ্রসীমা নির্ধারণবিষয়ক আন্তর্জাতিক মামলায় যথাক্রমে ২০১২ ও ২০১৪ সালের ঐতিহাসিক রায়ে বাংলাদেশ জয়লাভ করে। এতে বঙ্গোপসাগরে প্রতিবেশী দেশ মিয়ানমার ও ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের সমুদ্রসীমা নির্ধারণ চূড়ান্ত হয়। আন্তর্জাতিক প্রক্রিয়ার মাধ্যমে অর্জিত এই সাফল্যের বাস্তবায়নের জন্য বঙ্গোপসাগরে মহীসোপানসীমা–সংক্রান্ত তথ্য সংশোধন করা হলো।

বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, নিয়মানুযায়ী জাতিসংঘের মহীসোপানসীমা–বিষয়ক কমিশন বাংলাদেশের দাখিল করা এসব তথ্য পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য একটি উপকমিটি গঠন করবে। পরবর্তী সময়ে সন্তুটি সাপেক্ষে বঙ্গোপসাগরে বাংলাদেশের মহীসোপানসীমা নির্ধারণে চূড়ান্ত সুপারিশ তুলে ধরবে।

বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সমুদ্রবিষয়ক বিভাগের তত্ত্বাবধানে দেশি-বিদেশি বিশেষজ্ঞদের নিয়ে গঠিত একটি শক্তিশালী দল মহীসোপানসীমা সংশোধনীবিষয়ক এসব দলিল তৈরি করেছে বলে বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়।