বছরে ৩৬০০ কোটি টাকার আম নষ্ট হয়

আম
ফাইল ছবি

দেশে উৎপাদিত আমের প্রায় ২৫ ভাগ গাছ থেকে সংগ্রহ করার পর নষ্ট হয়ে যায়। মূলত পরিবহন ও সংরক্ষণের সময়ে নষ্ট হয় এসব আম। সবচেয়ে বেশি নষ্ট হয় ক্ষীরশাপাতি আম। এরপর নষ্ট হয় ফজলি আম। সবধরনের আমের ক্ষতির আর্থিক পরিমাণ বছরে ৩ হাজার ৬০০ কোটি টাকা।

ক্ষীরশাপাতি আমের ৩৭ শতাংশ ও ফজলির ২৯ শতাংশ নষ্ট হয়।
আজ সোমবার রাজধানীর ফার্মগেটে কৃষি গবেষণা কাউন্সিল (বিএআরসি) মিলনায়তনে হর্টেক্স ফাউন্ডেশন আয়োজিত এক কর্মশালায় এসব তথ্য জানানো হয়। ‘আম রপ্তানি বৃদ্ধির জন্য আমের উন্নত ব্যবস্থাপনা’ শীর্ষক ওই জাতীয় কর্মশালায়  প্রধান অতিথি ছিলেন কৃষিমন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাক। এ ছাড়া দেশের আম উৎপাদন, গবেষণা ও প্রক্রিয়াজাতকরণের সঙ্গে যুক্ত সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরা এতে অংশ নেন।

কর্মশালায় জানানো হয়, দেশে প্রতিবছর আমের উৎপাদন বৃদ্ধি পাচ্ছে। কিন্তু উৎপাদনের তুলনায় রপ্তানির পরিমাণ অনেক কম। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের হিসাবে, ২০১৯-২০ সালে দেশে প্রায় ২৫ লাখ টন আম উৎপাদিত হয়েছে, বিপরীতে আম রপ্তানি হয়েছে ২৮৩ মেট্রিক টন। তবে কৃষি মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগের ফলে চলতি বছর (২০২০-২১) ১৬২৩ মেট্রিক টন আম রপ্তানি হয়েছে, যা গত বছরের তুলনায় পাঁচ গুণের বেশি।

কৃষিমন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাক বলেন, দেশে বছরে ২৫ লাখ টন আম উৎপাদিত হয়। অথচ রপ্তানি হয় মাত্র কয়েক শ টন আম। বছরে ১ লাখ টন আম রপ্তানির লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে আমাদের কাজ করতে হবে। সে লক্ষ্যে বিভিন্ন কর্মকর্তার সমন্বয়ে কমিটি গঠন, রোডম্যাপ প্রণয়ন ও আমের নতুন বাজার খুঁজে বের করতে বিভিন্ন দেশে বাংলাদেশের দূতাবাসের সঙ্গে যোগাযোগ করা হবে।

মন্ত্রী আরও বলেন, আমের রপ্তানি বৃদ্ধির জন্য ব্যাপক কর্মসূচি নেওয়া হচ্ছে। রপ্তানির বাধাগুলো চিহ্নিত করে তা নিরসনে কাজ চলছে। ইতিমধ্যে নিরাপদ আমের নিশ্চয়তা দিতে তিনটি ভ্যাকুয়াম হিট ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট স্থাপনের কাজ চলছে। উৎপাদন থেকে শিপমেন্ট পর্যন্ত আম নিরাপদ রাখতে উত্তম কৃষিচর্চা বাস্তবায়ন শুরু হয়েছে। ফাইটোস্যানিটারি সার্টিফিকেট দেওয়ার কাজ চলছে। এর ফলে চলতি বছর গত বছরের তুলনায় আম রপ্তানি পাঁচ গুণ বেড়েছে।

কর্মশালায় সভাপতিত্ব করেন কৃষি মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. মেসবাহুল ইসলাম। বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন বিএআরসির নির্বাহী চেয়ারম্যান শেখ মো. বখতিয়ার, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. আসাদুল্লাহ এবং এনএটিপি-২ প্রকল্পের পরিচালক মো. মতিয়ার রহমান।