বনভূমি দখল ও পাহাড় কাটার সমালোচনায় বৌদ্ধ নেতারা

প্রতীকী ছবিপ্রথম আলো

চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়া উপজেলায় বৌদ্ধবিহার স্থাপনের নামে ভিক্ষু শরণংকর থেরো কর্তৃক অবৈধভাবে সংরক্ষিত বনভূমি দখল, পাহাড় ও গাছপালা কাটার সমালোচনা করে বিবৃতি দিয়েছেন দেশের বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের শীর্ষ সংগঠনগুলোর নেতারা।

বিবৃতিতে বলা হয়, চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়া উপজেলার ফলহারিয়া গ্রামের অনতিদূরে সংরক্ষিত বনাঞ্চলে বন বিভাগের অনুমতি ছাড়া ২০১২ সালে জ্ঞানশরণ মহারণ্য বৌদ্ধবিহার স্থাপন করেন ভিক্ষু শরণংকর থেরো। বন বিভাগের অনুমতি ছাড়া বছরের পর বছর বনের আরও জায়গা দখল করে বিহারের সঙ্গে যুক্ত করা হয়। কাটা হয় পাহাড় ও গাছপালা। এই অভিযোগে ২০১৮ সালে তাঁর বিরুদ্ধে বন বিভাগ মামলা করে।

বিবৃতিতে বলা হয়, গত ৯ জুলাই বন বিভাগ ও পুলিশের যৌথ অভিযানে সব ধরনের অবৈধ স্থাপনার কাজ বন্ধ রাখা হয়।

বিবৃতিতে স্বাক্ষর করেন বাংলাদেশ বৌদ্ধ কৃষ্টি প্রচার সংঘের সভাপতি ও ঢাকার কমলাপুর বৌদ্ধবিহারের অধ্যক্ষ বুদ্ধপ্রিয় মহাথেরো, বুড্ডিস্ট ফেডারেশনের সভাপতি দিব্যেন্দু বিকাশ চৌধুরী বড়ুয়া, সাধারণ সম্পাদক ও ঢাকার আন্তর্জাতিক বৌদ্ধবিহারের অধ্যক্ষ ভিক্ষু সুনন্দপ্রিয় এবং বৌদ্ধ কৃষ্টি প্রচার সংঘের মহাসচিব সাবেক ডিআইজি অমর বড়ুয়া।

বৌদ্ধধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টের ভাইস চেয়ারম্যান সুপ্ত ভূষণ বড়ুয়ার স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, বিবৃতিতে বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের নেতারা বলেন, শরণংকর থেরোর এ কর্মকাণ্ড বৌদ্ধধর্মীয় দৃষ্টিকোণ থেকে সমর্থনযোগ্য নয়। মহামতি গৌতম বুদ্ধের আদর্শ এবং বৌদ্ধ ধর্মের মর্মবাণী ‘অহিংসা পরম ধর্ম’। এ কারণে অবৈধভাবে বন ও অন্য ধর্মের উপাসনালয়, শ্মশান দখল ও কারও ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত হানা বৃহত্তর বৌদ্ধ সমাজ কখনোই সমর্থন করে না, বরং এসব কাজ মহামতি বুদ্ধের অহিংসা, করুণা ও মৈত্রীর বাণীকে খর্ব করে। বিজ্ঞপ্তি।