বন্দী ও কারাগারের অবস্থা জানতে চেয়েছেন হাইকোর্ট

ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার, কেরানীগঞ্জ

দেশের কারাগারগুলোতে কতটি সেল, কতজন বন্দী ও কতজন কনডেমড প্রিজনার আছেন এবং কারাগারের সুযোগ-সুবিধা—এসব তথ্যসহ কারাগারের বর্তমান অবস্থা জানতে চেয়েছেন হাইকোর্ট।

বিচারিক ও প্রশাসনিক ফোরামের মাধ্যমে মৃত্যুদণ্ডাদেশ চূড়ান্ত হওয়ার আগে দণ্ডিত আসামিকে কনডেমড সেলে রাখার বৈধতা নিয়ে করা রিটের শুনানিতে আদালত এসব তথ্য জানতে চান।

বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চে আজ সোমবার রিটের ওপর শুনানি হয়। রাষ্ট্রপক্ষকে এসব তথ্য জানাতে বলে আদালত ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত শুনানি মুলতবি করেছেন।

বিচারিক ও প্রশাসনিক ফোরামের মাধ্যমে মৃত্যুদণ্ডাদেশ চূড়ান্ত হওয়ার আগে দণ্ডিত আসামিকে কনডেমড সেলে রাখার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে বিচারিক আদালতে মৃত্যুদণ্ডাদেশপ্রাপ্ত ও কনডেমড সেলে থাকা তিন আসামি ২ সেপ্টেম্বর ওই রিট করেন।

আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন, সঙ্গে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বিপুল বাগমার।

শুনানিতে আইনজীবী শিশির মনির বলেন, বিচারিক আদালতের রায়ের পর মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিদের কনডেমড সেলে তথা নির্জন প্রকোষ্ঠে আটক রাখা হচ্ছে, যা আইন সমর্থন করে না।

অন্যদিকে অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন বলেন, কেরানীগঞ্জ ও কাশিমপুর কারাগারে আলাদা ব্লক আছে। ব্লকগুলোতে আলাদা কক্ষ আছে। এটি নির্জন প্রকোষ্ঠে আটক রাখা নয়। বন্দীরা চলাফেরা করতে ও কথা বলতে পারেন। নিরাপত্তার স্বার্থেই তাঁদের ওই ব্লকে রাখা হয়।

তিন রিট আবেদনকারী হলেন চট্টগ্রামের কেন্দ্রীয় কারাগারের ডেথ সেলে থাকা সাতকানিয়ার জিল্লুর রহমান, সিলেট কেন্দ্রীয় কারাগারে থাকা সুনামগঞ্জের আবদুর রশিদ ও কুমিল্লা কেন্দ্রীয় কারাগারে থাকা খাগড়াছড়ির মো. শাহ আলম।