বন নিধন ও দখল ঠেকাতে স্ট্রবেরি ও ক্যাপসিকাম চাষ

কক্সবাজার উত্তর বন বিভাগের চকরিয়া উপজেলার ফাঁসিয়াখালী ও মেধাকচ্ছপিয়া জাতীয় উদ্যানের সংরক্ষিত বনাঞ্চল নিধন ও জবরদখল ঠেকাতে স্ট্রবেরি ও ক্যাপসিকাম চাষের উদ্যোগ নিয়েছে ক্লাইমেট রেজিলিয়েন্ট ইকোসিস্টেমস অ্যান্ড লাইভলিহুডস (ক্রেল)। বনাঞ্চলের ওপর নির্ভরশীল এক হাজার ৯৫০ জন সুবিধাভোগী নিয়ে এ উদ্যোগ বাস্তবায়ন করা হবে।
প্রকল্প তদারকি কর্মকর্তা মো. আবদুল কাইয়ুম জানান, ফাঁসিয়াখালী বন্য প্রাণীর অভয়ারণ্য ও মেধাকচ্ছপিয়া জাতীয় উদ্যানের সংরক্ষিত বনাঞ্চল জবরদখল ও ধ্বংসযজ্ঞ চলছে। এতে জড়িত নারী-পুরুষের মধ্য থেকে এক হাজার ৯৫০ জনকে চিহ্নিত করে এ প্রকল্পের আওতায় আনা হয়েছে। তিনি বলেন, ‘সভা-সেমিনারের মাধ্যমে আমরা তাঁদের সচেতন করে বন নিধন ও জীববৈচিত্র্য ধ্বংস থেকে বিরত রাখার চেষ্টা করছি। এ লক্ষ্যে বিকল্প জীবিকায়ন প্রকল্পের আওতায় স্ট্রবেরি ও ক্যাপসিকাম চাষের উদ্যোগ নিয়েছি।’
সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা জানান, প্রাথমিকভাবে আগামী মার্চ পর্যন্ত স্ট্রবেরি ও ক্যাপসিকামের প্রদর্শনী চলবে। এরপর সুবিধাভোগী ব্যক্তিরা তাঁদের জন্য বরাদ্দ করা জায়গায় তা চাষ করবে। পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয়ের সহযোগী সংস্থা ক্রেল ইউএসএইডের সহায়তায় প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে।
১১ জানুয়ারি ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়নের চা-বাগান এলাকায় প্রদর্শনীর উদ্বোধন করা হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন, বন বিভাগের ফাঁসিয়াখালী রেঞ্জ কর্মকর্তা খান হাফিজুর রহমান, ফুলছড়ি রেঞ্জ কর্মকর্তা ভুপেশ চন্দ্র মুখার্জী, ফাঁসিয়াখালী বনায়ন কমিটির সভাপতি মোক্তার আহমদ চৌধুরী, জাতীয় উদ্যান কমিটির সভাপতি মীর আহমদ হেলালী, ক্রেল প্রকল্পের তদারকি কর্মকর্তা মো. আবদুল কাইয়ুম, মান্তাসা ইব্রাহিম ও অনিমেষ বিশ্বাস। স্ট্রবেরি ও ক্যাপসিকামের জন্য সাতটি করে প্রদর্শনী প্লট তৈরি করা হয়েছে। ২০ শতক জমির প্রতিটি প্লটে চারা লাগানো হয়েছে এক হাজার করে। বন বিভাগের ফাঁসিয়াখালী রেঞ্জ কর্মকর্তা খান হাফিজুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, ক্রেলের পরিবেশবান্ধব বিকল্প জীবিকায়ন প্রকল্পটি স্থানীয় জনগণের মধ্যে সচেতনতা সৃষ্টি করেছে। তারা এখন বনের ওপর নির্ভরশীল না হয়ে স্ট্রবেরি ও ক্যাপসিকাম চাষে উদ্যোগী হচ্ছে। ফলে, বনাঞ্চল নিধন ও জবরদখলের প্রবণতা কমবে বলে আশা করা যায়।