বাংলাদেশের অস্ত্র কেনার প্রস্তাব গুরুত্বের সঙ্গে দেখবে রাশিয়া

আলেকজান্ডার নিকোলায়েভ
আলেকজান্ডার নিকোলায়েভ

ঢাকায় নিযুক্ত রাশিয়ার বিদায়ী রাষ্ট্রদূত আলেকজান্ডার নিকোলায়েভ বলেছেন, ভবিষ্যতে রাশিয়া থেকে বাংলাদেশ উন্নততর প্রযুক্তির সমরাস্ত্র কেনার প্রস্তাব দিলে মস্কো তা গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করবে। গতকাল রোববার সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবের ভিআইপি লাউঞ্জে ডিকাব টক অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি এসব কথা বলেন।
রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত হিসেবে ঢাকায় চার বছরের দায়িত্ব পালন শেষে আগামী ১০ মার্চ আলেকজান্ডার নিকোলায়েভ বাংলাদেশ ছেড়ে যাচ্ছেন। ডিকাব টক অনুষ্ঠানে তিনি দুই দেশের সম্পর্কের বিভিন্ন বিষয়ের পাশাপাশি সিরিয়ায় অস্ত্র বিরতিতে তাঁর দেশের ভূমিকা নিয়ে কথা বলেন।
সামরিক ক্ষেত্রে দুই দেশের সম্পর্ক এখন কেমন এবং ভবিষ্যতে রাশিয়া থেকে কোনো সমরাস্ত্র কিনতে বাংলাদেশের মধ্যে চুক্তি হবে কি না—জানতে চাইলে আলেকজান্ডার নিকোলায়েভ বলেন, ‘সরকারি ব্যবস্থাপনায় রাশিয়া থেকে বিমানবিধ্বংসী ও ট্যাংকবিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্র ও অত্যন্ত উন্নত প্রযুক্তির ইয়াক-১৩০ জঙ্গি বিমান কিনেছে বাংলাদেশ। বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর উচ্চপদস্থ সেনা কর্মকর্তাদের মধ্যে রাশিয়ায় তৈরি সমরাস্ত্র কেনার আগ্রহ আছে বলে শুনেছি। এ ধরনের কোনো প্রস্তাব পেলে রাশিয়া অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে তা বিবেচনা করবে।’
প্রসঙ্গত, রাষ্ট্রীয় ঋণের আওতায় বাংলাদেশ ২০১৩ সালের জানুয়ারিতে রাশিয়া থেকে প্রায় ৮ হাজার কোটি টাকার (১০০ কোটি ডলার) সমরাস্ত্র কিনেছিল।
২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির নির্বাচনের পর বর্তমান সরকারকে সমর্থন জানায় রাশিয়া। ভবিষ্যতেও এই সমর্থন অব্যাহত থাকবে কি না, জানতে চাইলে আলেকজান্ডার নিকোলায়েভ বলেন, ‘বর্তমান সরকারের অধীনে বাংলাদেশের সঙ্গে রাশিয়ার চমৎকার সম্পর্ক রয়েছে। দুই দেশের স্বার্থে এবং আগামী ২০-৩০ কিংবা ১০০ বছরেও যেকোনো সরকারের অধীনে এই সম্পর্ক বজায় থাকবে।’ রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের বিষয়ে তিনি বলেন, এই প্রকল্পটি শুধু সরকারই নয়, বিএনপির প্রতিনিধিরাও সমর্থন করেছে।
সৌদি নেতৃত্বাধীন সামরিক জোটে বাংলাদেশের অংশ নেওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে আলেকজান্ডার নিকোলায়েভ বলেন, প্রাথমিকভাবে ঢাকার সিদ্ধান্ত মস্কোকে অবাক করেছিল। বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে স্পষ্ট বলা হয়েছিল, নিরাপত্তা পরিষদের অনুমোদন ছাড়া বাংলাদেশ কোনো শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে অংশ নেবে না।
ডিপ্লোমেটিক করেসপনডেন্ট অ্যাসোসিয়েশন বাংলাদেশ (ডিকাব) আয়োজিত ওই অনুষ্ঠানে সংগঠনের সভাপতি আঙুর নাহারের সঞ্চালনায় স্বাগত বক্তব্য দেন ডিকাবের সাধারণ সম্পাদক পান্থ রহমান।