বাংলাদেশে রাজনৈতিক ও নাগরিক স্বাধীনতা আংশিক

ওয়াশিংটনভিত্তিক গবেষণা সংস্থা ফ্রিডম হাউসের প্রতিবেদন অনুযায়ী, বাংলাদেশে রাজনৈতিক অধিকার চর্চা ও নাগরিক স্বাধীনতা আগের দুই বছরের মতো ‘আংশিক স্বাধীন’ রয়েছে। ২০১৯ ও ২০২০ সালের মতো ২০২১ সালেও বাংলাদেশে রাজনৈতিক অধিকার চর্চা ও নাগরিক স্বাধীনতার ক্ষেত্রে স্কোর ৩৯ রয়েছে। অর্থাৎ গত দুই বছরে রাজনৈতিক ও নাগরিক অধিকারের ক্ষেত্রে বাংলাদেশের পরিস্থিতির কোনো হেরফের হয়নি।

ফ্রিডম হাউসের ‘স্বৈরতান্ত্রিক শাসনের বৈশ্বিক বিস্তৃতি’ শীর্ষক বৈশ্বিক স্বাধীনতা প্রতিবদনে এটি উল্লেখ করা হয়েছে। গণতান্ত্রিক, রাজনৈতিক ও নাগরিক অধিকারবিষয়ক গবেষণায় যুক্ত সংস্থাটি গত বৃহস্পতিবার তাদের এবারের বৈশ্বিক প্রতিবেদনটি প্রকাশ করে।

ফ্রিডম হাউসের এবারের প্রতিবেদনে গত ১০ বছরে অবনতি হয়েছে এমন দেশের একটি তালিকা করেছে। ওই তালিকায় বাংলাদেশের নাম রয়েছে।

ফ্রিডম হাউসের প্রতিবেদনে ‘মোটেও স্বাধীন নয়’, ‘আংশিক স্বাধীন’ ও ‘স্বাধীন’ এই তিনটি শ্রেণিতে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ ও অঞ্চলের রাজনৈতিক অধিকার চর্চা ও নাগরিক স্বাধীনতা মানদণ্ড নির্ধারণ করে থাকে। যেসব দেশ ও অঞ্চলের স্কোর ১ থেকে ৩৪–এর মধ্যে, তাদের ‘মোটেও স্বাধীন নয়’, ৩৫ থেকে ৭১ হলে তাদের ‘আংশিক স্বাধীন’ এবং ৭২–এর বেশি হলে তাদের ‘স্বাধীন’ হিসেবে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।

২১০টি দেশ ও অঞ্চলের অবস্থান ফ্রিডম হাউসের প্রতিবেদনে উঠে এসেছে। এর মধ্যে ৮৪টি দেশ ও অঞ্চলে রাজনৈতিক অধিকার চর্চা ও নাগরিক স্বাধীনতা রয়েছে। ৬০টি দেশ ও অঞ্চলে এই স্বাধীনতার অবস্থা ‘আংশিক স্বাধীন’ এবং ৬৬টি দেশ ও অঞ্চল ‘মোটেও স্বাধীন নয়’ বলা হয়েছে।

২০২১ সালে বাংলাদেশের মোট স্কোর দাঁড়িয়েছে ১০০–এর মধ্যে ৩৯। এর মধ্যে রাজনৈতিক অধিকারের ৪০ নম্বরের মধ্যে বাংলাদেশ ১৫ এবং নাগরিক স্বাধীনতায় ৬০–এর মধ্যে ২৪ পেয়েছে বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়।

ফ্রিডম হাউস বৈশ্বিক স্বাধীনতা মূল্যায়নের ক্ষেত্রে রাজনৈতিক অধিকার এবং নাগরিক স্বাধীনতাকে বিবেচনায় নেয়। রাজনৈতিক অধিকারের মধ্যে রয়েছে নির্বাচনী ব্যবস্থা ও স্বচ্ছতা, রাজনৈতিক বহুত্ববাদ ও রাজনীতিতে অংশগ্রহণের সুযোগ, সরকারের কার্যকারিতা, নীতিনির্ধারণী ব্যবস্থা, ক্ষমতার ব্যবহার ও স্বচ্ছতা–সম্পর্কিত নানা বিষয়।
অন্যদিকে নাগরিক স্বাধীনতার মধ্যে রয়েছে মতপ্রকাশের স্বাধীনতা ও বিশ্বাস, মানবাধিকার সংস্থাসহ সরকারি ও বেসরকারি সংস্থাগুলোর ভূমিকা, আইনের শাসন ও বিচারব্যবস্থা, ব্যক্তিস্বাধীনতা।