বাগানে আম নেই, আছে বাজারে

বাগানে আম নেই, কিন্তু রাজধানীর অনেক স্থানে এখনো চলছে আমের মেলা। আশ্বিনা জাতের আম বিভিন্ন নামে বিক্রি হচ্ছে এসব দোকানে। ছবিটি মঙ্গলবার ধানমন্ডি এলাকা থেকে তোলা l প্রথম আলো
বাগানে আম নেই, কিন্তু রাজধানীর অনেক স্থানে এখনো চলছে আমের মেলা। আশ্বিনা জাতের আম বিভিন্ন নামে বিক্রি হচ্ছে এসব দোকানে। ছবিটি মঙ্গলবার ধানমন্ডি এলাকা থেকে তোলা l প্রথম আলো

রাজশাহী অঞ্চলের প্রসিদ্ধ আমবাগানগুলোতে আম নেই, তবে ঢাকার বাজারে তা পাওয়া যাচ্ছে এখনো। ঝিনুক ফজলি, হাঁড়িভাঙা, চোষা—এসব নামে যেসব আম এখন ঢাকায় বিকোচ্ছে, আদতে সেগুলো আশ্বিনা জাতের।
গতকাল মঙ্গলবার খোঁজ নিয়ে দেখা গেল, রাজধানীর পাড়া-মহল্লার মোড়ে বা কাঁচাবাজারের সামনের ফলের দোকানগুলোতে বর্ষার পেয়ারা, আনারসের মতো মৌসুমি ফলের পাশে গ্রীষ্মের আমের উপস্থিতিও যথেষ্ট। পুরানা পল্টনের হাউস বিল্ডিং ফাইন্যান্স করপোরেশন ভবনের পাশের ফলের বাজারের বিক্রেতা মনির হোসেন জানালেন, হিমসাগর, ল্যাংড়ার মতো রাজশাহী অঞ্চলের প্রসিদ্ধ আম উঠে গেছে আষাঢ়ের শেষ নাগাদ। শেষে এসেছিল ফজলি। তাও প্রায় ২০ দিন আগে উঠে গেছে। এখন বাজারে আছে আশ্বিনা জাতের আম। এসব আমই অনেকে ঝিনুক ফজলি, হাঁড়িভাঙা বা চোষা—এসব নামে বিক্রি করছেন। স্বাদের দিক থেকে এসব আম একটু কম মিষ্টি এবং টক। দামে ৮০ থেকে ১২০ টাকা কেজি। এ ছাড়া ভারত ও পাকিস্তানের কিছু চোষা আম আছে বাজারে। বিদেশি আমের দাম হাঁকা হচ্ছে চার শ থেকে সাড়ে চার শ টাকা কেজি।
আমের রাজধানী বলে খ্যাত রাজশাহী এবং চাঁপাইনবাবগঞ্জের আমচাষি ও ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেল, সেখানে আমের বাগানগুলোতে এখন আম নেই। আমের সবচেয়ে বড় পাইকারি বাজার কানসাটে। আমচাষি ও কানসাট আম ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি আবু তালেব প্রথম আলোকে জানান, বিচ্ছিন্নভাবে কোথাও কোথাও হয়তো দু-একটি গাছে আশ্বিনা আম আছে। ফজলি আম মাস খানেক আগেই শেষ হয়েছে। ঢাকায় হয়তো এসব আমই বিভিন্ন নামে বিক্রি হচ্ছে। তবে ক্রেতাদের ক্ষোভ, মৌসুমি ফলের মেলা বলে শুরু হওয়া অস্থায়ী আমমেলা এখন রীতিমতো ফলের দোকানে পরিণত হয়েছে। কিছুদিন পর সবার চোখের সামনে এসব স্থায়ী দোকানে পরিণত হবে।