বাবার ক্ষমা চাওয়া বিশ্বাস হয় না: সাকার ছেলে

একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধে ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর বড় ছেলে ফজলুল কাদের চৌধুরী বলেছেন, ‘হুম্মাম কাদের চৌধুরী (সাকার আরেক ছেলে) আজ শনিবার রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ে একটি আবেদন নিয়ে গিয়েছিলেন। কিন্তু রাষ্ট্রপতির কার্যালয় সেটি গ্রহণ করেনি। আমরা মিডিয়ার মাধ্যমে জানতে পেরেছি আমার বাবা মার্সি পিটিশন করেছেন। কিন্তু আমরা এ বিষয়ে অবগত নই। আমাদের এটি বিশ্বাস হয় না। আমরা যখন দুদিন আগে তাঁর সঙ্গে দেখা করেছিলাম তখন তিনি আমাদের জানিয়েছিলেন আইনজীবীদের সঙ্গে কথা বলে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেবেন। কিন্তু আইনজীবীদের তাঁর সঙ্গে দেখা করতে দেওয়া হয়নি। তাই আমরা তাঁর সঙ্গে দেখা করে তাঁর পরবর্তী সিদ্ধান্ত কী সেটি জানতে এসেছি।’
তবে দেখা করার অনুমতি না পেয়ে বেলা ৫টা ২২ মিনিটে ফিরে যান তাঁরা। ৫টা ১০ মিনিটের দিকে একটি গাড়িতে করে সাকা চৌধুরীর স্ত্রী, মেয়ে ও অন্যরা আসেন। আরেকটি গাড়িতে করে সাকার দুই ছেলে ও মেয়ের জামাই জাফর খান আসেন। তাঁরা গাড়ি থেকে নামলেও অন্যরা নামেননি।
এর আগে গত বৃহস্পতিবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে সাকার পরিবারের সদস্যরা কারাগারে গিয়ে তাঁর সঙ্গে দেখা করেন। ওই দিন সাকা চৌধুরীর স্ত্রী ফারহাত কাদের চৌধুরী, বড় ছেলে ফজলুল কাদের চৌধুরী ফাইয়াজ, ছোট ছেলে হুম্মাম কাদের চৌধুরী, মেয়ে ফারজিন কাদের চৌধুরী, ভাই গিয়াসউদ্দিন কাদের চৌধুরী ও জামালউদ্দিন কাদের চৌধুরীসহ পরিবারের ২২ জন সদস্য কারাগারে যান। তাঁদের আবেদনে ১৫ জনের নাম থাকায় দেখা করতে আসা (২২ জনের মধ্যে) সাতজনকে সাক্ষাতের সুযোগ দেওয়া হয়নি।