বাবুলের বান্ধবী সম্পর্কে জানতে চায় পিবিআই
সাবেক পুলিশ সুপার এসপি বাবুল আক্তারের স্ত্রী মাহমুদা খানম মিতু হত্যা মামলার তদন্তে জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থা ইউএনএইচসিআরকে কর্মরত এক নারী কর্মকর্তার সম্পর্কে জানাতে চিঠি দেওয়া হয়েছে।
মামলাটির তদন্তকারী সংস্থা পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) ইউএনএইচসিআর বাংলাদেশ কার্যালয়ে প্রতিষ্ঠানটির প্রধান বরাবর চিঠিটি দেন।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পিবিআই চট্টগ্রাম মেট্রো পরিদর্শক সন্তোষ কুমার চাকমা আজ মঙ্গলবার প্রথম আলোকে বলেন, ২০১৩ সালে বাবুল আক্তার যখন কক্সবাজারে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার হিসেবে কর্মরত ছিলেন, তখন ইউএনএইচসিআর বাংলাদেশে কর্মরত এক নারী কর্মকর্তার সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক ছিল, যা মামলার এজাহারে মিতুর বাবা মোশারফ হোসেন উল্লেখ করেছেন। তাঁর সম্পর্কে জানতে চিঠি দেওয়া হয়েছে।
এদিকে সাবেক পুলিশ সুপার বাবুল আক্তারকে ওই নারীর দেওয়া দুটি বইয়ের ফরেনসিক পরীক্ষার সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে জানান তদন্ত কর্মকর্তা।
সন্তোষ কুমার চাকমা বলেন, ফরেনসিক পরীক্ষার জন্য শিগগিরই আদালতে আবেদন করা হবে।
বাবুল আক্তারের শ্বশুর মোশারফ হোসেন প্রথম আলোকে অভিযোগ করে বলেন, ওই নারী কর্মকর্তার সঙ্গে সম্পর্কের জেরে তাঁর মেয়েকে খুন করা হয়েছে। তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে অনেক তথ্য বেরিয়ে আসবে।
১২ মে চট্টগ্রাম নগরের পাঁচলাইশ থানায় বাবুল আক্তারসহ আটজনকে আসামি করে হত্যা মামলা করেন মিতুর বাবা মোশারফ হোসেন। এর আগে ২০১৬ সালের ৫ জুন নগরের জিইসি মোড় এলাকায় ছেলেকে স্কুল বাসে তুলে দিতে গিয়ে মিতু খুনের ঘটনায় বাবুলের করা মামলায় চূড়ান্ত প্রতিবেদন দেয় পিবিআই।
মিতুর বাবার করা মামলায় ওই দিনই বাবুলকে গ্রেপ্তার করে পিবিআই। পরে তাঁকে এই মামলায় পাঁচ দিনের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। আদালতে হাজির করা হলে প্রথমে জবানবন্দি দেওয়ার জন্য রাজি হন বাবুল। কিন্তু বিচারকের খাসকামরা থেকে জবানবন্দি না দিয়ে ফিরে আসেন। পরে তাঁকে কারাগারে পাঠান আদালত।