বাল্যবিবাহ বন্ধ, 'বরে'র পলায়ন

টাঙ্গাইলের সখীপুরে প্রধান শিক্ষকের হস্তক্ষেপে উপজেলা প্রশাসনের সহযোগিতায় গতকাল বৃহস্পতিবার নবম শ্রেণির এক ছাত্রীর বাল্যবিবাহ বন্ধ হয়েছে। এ ঘটনায় ভ্রাম্যমাণ আদালত মেয়েটির মাকে অর্থদণ্ড করে বাল্যবিবাহ না দেওয়ার শর্তে মুচলেকা নেন। এ সময় বরযাত্রী পালিয়ে যায়।

স্থানীয় বাসিন্দা সূত্র জানায়, সখীপুর পৌরসভার এক ছেলের সঙ্গে গতকাল ওই মেয়ের বিয়ের আয়োজন চলছিল। দুপুরে ছেলেপক্ষ মেয়ের বাড়িতে আসে। এ সময় সহকারী কমিশনার (ভূমি) আরিফা সিদ্দিকাকে সঙ্গে নিয়ে মেয়েটির বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকসহ সাত শিক্ষক সেখানে যান। প্রশাসনের উপস্থিতি টের পেয়ে মেয়ের বাবা ও বরসহ বরযাত্রীরা পালিয়ে যান।

প্রধান শিক্ষক বলেন, ‘এক সপ্তাহ আগে আমাদের বিদ্যালয়ে বাল্যবিবাহ বন্ধে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও সহকারী কমিশনারসহ (ভূমি) সভা করেছি। আমার বিদ্যালয়ের ছাত্রীর বিবাহ হচ্ছে খবর পেয়ে প্রশাসনকে জানাই। তাঁদেরসহ আমার বিদ্যালয়ের সাত শিক্ষককে নিয়ে মেয়েটির বাড়িতে গিয়ে বিয়ে বন্ধ করি। আগামীকাল শনিবার থেকে মেয়েটি নিয়মিত বিদ্যালয়ে আসবে বলে মেয়েটির মা আমাদের আশ্বস্ত করেছেন।’

সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী হাকিম আরিফা সিদ্দিকা প্রথম আলোকে বলেন, ‘বাল্যবিবাহের সঙ্গে আপস নেই। আমাদের উপস্থিতি টের পেয়ে মেয়ের বাবা ও বরের পক্ষের লোকজন সরে পড়ে। বিয়ের প্রস্তুতির বিষয়টি প্রমাণিত হওয়ায় মেয়ের মাকে জরিমানা করা হয়েছে।’