২০০৫ ও ২০০৬ সালে বিএনপি-জামায়াত সরকার ১০টি টিভি চ্যানেলের লাইসেন্স দিয়েছিল। এগুলো হচ্ছে বৈশাখী, আরটিভি, বাংলাভিশন, ইসলামিক টিভি, দেশ টিভি, দিগন্ত টিভি, সিএসবি, চ্যানেল ওয়ান, এসএ টিভি ও যমুনা টিভি।
বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার একান্ত রাজনৈতিক সচিব মোসাদ্দেক আলী এনটিভির লাইসেন্স কেনেন সাজ্জাত আলী নামের এক ব্যক্তির কাছ থেকে। ১৯৯৯ সালের ১৯ সেপ্টেম্বর ‘টেন টিভি’ নামে লাইসেন্স পেয়েছিলেন সাজ্জাত আলী। ২০০৩ সালের ৩০ জানুয়ারি মোসাদ্দেক আলী ও এনায়েতুর রহমান দুই কোটি টাকায় তা কিনে ‘এনটিভি’ নামে চালু করেন।
বিএনপির সাবেক মন্ত্রী মির্জা আব্বাসের স্ত্রী আফরোজা আব্বাসকে দেওয়া হয়েছিল বৈশাখী টিভির লাইসেন্স। এর শেয়ারধারী ছিলেন ব্যবসায়ী এম এন এইচ বুলু ও মির্জা আব্বাসের ব্যবসা দেখাশোনাকারী টিপু আলম। বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর টিপু আলমের ২৫ হাজার শেয়ার বাদে এর ৯৮ শতাংশ মালিকানা কিনে নেয় ডেসটিনি গ্রুপ।
আরটিভির লাইসেন্স দেওয়া হয় মোসাদ্দেক আলীকে। বিতর্কিত যুব কর্মসংস্থান সোসাইটির (যুবক) কাছে ৩০ কোটি টাকায় তিনি বিক্রি করেন মালিকানা। কিন্তু ১৮ কোটি টাকা মূল্যের ৫৭ শতাংশ শেয়ার দিয়ে দেওয়া হয় বলে প্রথম আলোকে জানান যুবকের নির্বাহী পরিচালক হোসাইন আল মাসুম। গত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় টাকা ছাড়াই যুবকের মালিকানা লিখে দেওয়া হয় বেঙ্গল গ্রুপের মোর্শেদ আলমের পরিবারের হাতে। হোসাইন আল মাসুম বলেন, ‘মাঝখানে মোর্শেদ আলম ১০ কোটি টাকার বিনিময়ে সমঝোতার প্রস্তাব দিলেও আমরা তা প্রত্যাখ্যান করি।’
বাংলাভিশনের মালিকানায় রয়েছেন স্টক ব্রোকার আবদুল হক। বাংলাভিশনে কর্মরত সংবাদকর্মীরা সবাই জানেন ঢাকার সাবেক মেয়র সাদেক হোসেন এর নেপথ্য মালিক। কিন্তু কাগজে তাঁর নাম নেই।
বিএনপির সাবেক সাংসদ মুশফিকুর রহমানকে দেওয়া হয়েছিল দেশ টিভির লাইসেন্স। পরে এর বেশির ভাগ শেয়ার কিনে নেন আওয়ামী লীগের সাংসদ সাবের হোসেন চৌধুরী।
একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধের কারণে ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর মেয়ের জামাই জাফর ইকবালকে দেওয়া হয়েছিল সিএসবির লাইসেন্স। গত তত্ত্বাবধায়ক সরকার এটি বন্ধ করে দেয়।