বিজয়ের আনন্দে প্রাণের উৎসবে

মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা। স্মরণে ছিল সেসব বীর সেনানী, যাঁরা নিজেদের প্রাণ বিলিয়ে দিয়েছেন অকাতরে দেশমাতৃকার জন্য। কণ্ঠে দাবি, ‘সব যুদ্ধাপরাধীর বিচারের রায় দ্রুত বাস্তবায়ন হোক।’ এককাতারে শামিল সব শ্রেণী-পেশার মানুষ।

খাগড়াছড়ি স্টেডিয়ামে বিজয় দিবসের অনুষ্ঠানে দলীয় নৃত্য পরিবেশন করে শিক্ষার্থীরা প্রথম আলো
খাগড়াছড়ি স্টেডিয়ামে বিজয় দিবসের অনুষ্ঠানে দলীয় নৃত্য পরিবেশন করে শিক্ষার্থীরা প্রথম আলো

মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে গত সোমবার উৎসবমুখর ছিল নগর। বিজয়ের আনন্দে মেতে ছিল সবাই। বিজয়ের প্রথম প্রহর থেকে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে ছিল মানুষের ভিড়। পাড়ায় পাড়ায় মাইকে বেজেছে দেশাত্মবোধক গান ও বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক সাতই মার্চের ভাষণ।
সকালে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে ফুল দেওয়া শেষে নগরের থিয়েটার ইনস্টিটিউট প্রাঙ্গণে সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট চট্টগ্রাম আয়োজন করে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের। শুরুতে সাংস্কৃতিক জোটের আহ্বায়ক অনুপম সেনের সভাপতিত্বে ছিল আলোচনা সভা। এরপর বিভিন্ন সংগঠনের দলীয় গান, আবৃত্তি, নৃত্য ও নাটকের পরিবেশনায় জমে ওঠে এ আয়োজন।
বাংলাদেশ উদীচী শিল্পীগোষ্ঠী চট্টগ্রাম জেলা সংসদ নগরের চেরাগী পাহাড় মোড়ের খোলা চত্বরে আয়োজন করে আলোকচিত্র প্রদর্শনীর। সন্ধ্যায় এখানে উদীচীর আয়োজনে ছিল জাগরণের গান। ডিসি হিলে মুক্তিযুদ্ধের বিজয় উৎসব উদ্যাপন পরিষদ চট্টগ্রামের আয়োজনে ছিল আনন্দ আয়োজন। সকাল ১০টায় অনুষ্ঠান উদ্বোধন করেন শহীদজায়া বেগম মুশতারী শফী। সন্ধ্যায় নাসিমুল কামালের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন অনুপম সেন। আলোচনা সভায় মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মাননা জানানো হয়। নাচ, গান, নাটক ও আবৃত্তির পরিবেশনায় সারা দিন মেতে ছিল ডিসি হিল চত্বর। রাতে মরমি শিল্পী শিমুল শীলের সংগীত পরিবেশনার মধ্য দিয়ে শেষ হয় এ আয়োজন। নগরের শিল্পকলা একাডেমীতে জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে অনুষ্ঠিত হয় বিজয় দিবসের আলোচনা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। জেলা প্রশাসক মো. আবদুল মান্নানের সভাপতিত্বে এতে প্রধান অতিথি ছিলেন চট্টগ্রামের বিভাগীয় কমিশনার মোহাম্মদ আবদুল্লাহ। আলোচনা সভা শেষে শিল্পকলা একাডেমীর শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। মুক্তিযুদ্ধের বিজয় মেলা পরিষদ চট্টগ্রামের আয়োজনে নগরের আউটার স্টেডিয়ামের বিজয় মঞ্চে ছিল আলোচনা, স্মৃতিচারণা, নাচ, গান ও পথনাটক। পাড়ায় পাড়ায় যে সব আয়োজন ছিল, তার মধ্যে ব্যতিক্রমী ছিল ‘ফুটন্ত ফুল’ শিরোনামের সামাজিক সংগঠনের বিজয় দিবসের আয়োজন। তাদের আয়োজনে ছিল বিজয় শোভাযাত্রা, ক্রিকেট টুর্নামেন্ট, কাবাডি ও বলীখেলা। বাকলিয়া ডিসি সড়কের ক্রিস্টাল ভিউ স্কুল মাঠে আয়োজিত বলীখেলায় বিজয়ী হয় বোয়ালখালীর সুমন বলী।

বিজিসি ট্রাস্ট মেডিকেল কলেজ :
মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে বিজিসি ট্রাস্ট মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থীদের উদ্যোগে চার শতাধিক দরিদ্র মানুষকে বিনা মূল্যে চিকিৎসাসেবা দেওয়া হয়েছে। এ সময় প্রায় ৩০০ লোকের ব্লাড গ্রুপিং পরীক্ষা ও ওষুধ বিতরণ করা হয়।
১৬ ডিসেম্বর ম্যান ফর সোসাইটি প্রাঙ্গণে দিনব্যাপী চিকিৎসাসেবা প্রদানে অংশ নেন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক মোহাম্মদ নূর, মোহাম্মদ আসলাম, ইয়াসমিন আকতার ও তানজিনা আকতার।
ব্লাড গ্রুপিং কাজ পরিচালনা করেন বিজিসি ট্রাস্ট মেডিকেল কলেজের শেষ বর্ষের শিক্ষার্থী মোহাম্মদ মিজানুর রশিদ আলমদার, মোহাম্মদ ইফতেখারুল আলম, মোহাম্মদ হোসেন মুরাদ, ইজাজুর রহমান, মোহাম্মদ ইসহাক, মোহাম্মদ শোয়েব, ফয়সাল খন্দকার, এনামুল কবির, ফরহাদ আহমেদ প্রমুখ।
দিনব্যাপী এ আয়োজনে সহযোগিতা করে চন্দনাইশ-বৈলতলী জাফরাবাদ ম্যান ফর সোসাইটি। সংগঠনের পক্ষে উপস্থিত ছিলেন সভাপতি মোহাম্মদ ফারুক, সাধারণ সম্পাদক শাহেদ হোসেন, মোহাম্মদ আমিন প্রমুখ।

রাঙ্গুনিয়া:
বিজয় দিবস উপলক্ষে রাঙ্গুনিয়া উপজেলার দক্ষিণ রাজানগর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের উদ্যোগে বিজয় শোভাযাত্রা ও আলোচনা সভা ১৬ ডিসেম্বের রাজারহাট চত্বরে অনুষ্ঠিত হয়। সংগঠনের সভাপতি আবদুস ছালাম সিকদারের সভাপতিত্বে সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন উপজেলা আওয়ামী লীগ নেতা মীর তৌহিদুল ইসলাম। আরও বক্তব্য দেন উপজেলা কৃষক লীগের সভাপতি আবদুল মান্নান তালুকদার, আওয়ামী লীগ নেতা জামাল উদ্দীন, যুবলীগ নেতা জমির উদ্দীন তালুকদার, নাসির উদ্দীন চৌধুরী, ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য মো. আজিজ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা মো. কাঞ্চন, ছাত্রলীগ নেতা মো. রিয়াদ প্রমুখ।
সীতাকুণ্ড উপজেলা প্রশাসন: নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে ৪২তম বিজয় উদ্যাপন করেছে সীতাকুণ্ড উপজেলা প্রশাসন। কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে কুচকাওয়াজ, ক্রিড়া ও চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা।
দিনের শুরুতে শহীদ বেদিতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুহম্মদ শাহীন ইমরানের নেতৃত্বে উপজেলা প্রশাসনের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান। সকাল ১০টায় স্থানীয় সাংসদ এ বি এম আবুল কাসেমের নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ ও বেলা ১১টায় যুগ্ম আহ্বায়ক দিদারুল ইসলাম মাহমুদের নেতৃত্বে বিএনপির নেতা-কর্মীরা ফুল দিয়ে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান।
চট্টগ্রাম রেসিডেন্সিয়াল স্কুল ও কলেজ: নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে মহান বিজয় দিবস উদ্যাপিত হয়েছে চট্টগ্রাম রেসিডেন্সিয়াল স্কুল ও কলেজে। কর্মসূচির অংশ হিসেবে দিবসের তাৎপর্য নিয়ে অনুষ্ঠিত হয় মুক্ত আলোচনা। এতে সমাপনী বক্তব্য দেন অধ্যক্ষ রাখালচন্দ্র ধর। তিনি স্বাধীনতার মাহেন্দ্রক্ষণে বীর শহীদের চিরঞ্জীব চেতনার আলোকে নিজেদের আলোকিত করে জাতি গঠনের আহ্বান জানান।

খুলশী বন্ধুসভার সদস্যদের পুষ্পস্তবক অর্পণ
খুলশী বন্ধুসভার সদস্যদের পুষ্পস্তবক অর্পণ

খুলশী বন্ধুসভা: মহান বিজয় দিবসে নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে বিনম্র শ্রদ্ধা ও ভালোবাসায় জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের স্মরণ করেছেন প্রথম আলো খুলশী বন্ধুসভার বন্ধুরা। ভোরে পাহাড়তলীর শহীদ বেদিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানানোর মধ্য দিয়ে শুরু হয় দিনের কর্মসূচি। পরে খুলশী বন্ধুসভার সমন্বয়ক হারুন অর রশিদের সঞ্চালনায় মুক্তিসেনাদের স্মরণে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে বক্তব্য দেন বর্ণের হাতেখড়ি স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা সাবরিনা তাবাসসুম, খুলশী বন্ধুসভার প্রতিষ্ঠাতা আহ্বায়ক এম এইচ স্বপন, সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক দিদারুল ইসলাম, নারীবিষয়ক সম্পাদিকা মমতাজ, শফিকুল ইসলাম, এম এইচ সাইমুন প্রমুখ। এর আগে অসহায় পথশিশুদের জন্য ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়। পরে প্রতিযোগীদের পুরস্কার ও শুকনো খাবার বিতরণ করা হয়। অনুষ্ঠানে সার্বিক সহযোগিতায় ছিল বর্ণের হাতেখড়ি স্কুল।

কক্সবাজারে শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন বন্ধুসভার সদস্যরা
কক্সবাজারে শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন বন্ধুসভার সদস্যরা

কক্সবাজার: জামায়াত-শিবিরের রাজনীতি নিষিদ্ধ এবং অন্যান্য যুদ্ধাপরাধীর বিচার দ্রুত নিষ্পত্তির মাধ্যমে রায় কার্যকরের দাবির মধ্য দিয়ে কক্সবাজারে মহান বিজয় দিবস পালিত হয়েছে।
দিবসের শুরুতে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে ফুল দিয়ে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সদস্যরা। এরপর একে একে শ্রদ্ধা জানায় জেলা ও পুলিশ প্রশাসন, জেলা আওয়ামী লীগ, বিএনপি, জাসদ, জাতীয় পার্টি, জেলা সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট, কক্সবাজার প্রেসক্লাব, সাংবাদিক ইউনিয়ন, প্রথম আলো বন্ধুসভা, ছাত্র ইউনিয়ন, পৌরসভা, কক্সবাজার সরকারি কলেজ, কক্সবাজার সরকারি মহিলা কলেজ, কক্সবাজার সিটি কলেজ, উদীচীসহ বিভিন্ন সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠন।
সকালে বীরশ্রেষ্ঠ রুহুল আমিন স্টেডিয়ামে বিজয় দিবসের কুচকাওয়াজে অংশ নেন বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা। সালাম গ্রহণ করেন জেলা প্রশাসক মো. রুহুল আমিন। দুপুরে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
বিকেলে জামায়াত-শিবিরের রাজনীতি নিষিদ্ধ করার দাবিতে লালদীঘির পাড়ে জেলা জাসদ সভাপতি নঈমুল হক চৌধুরীর সভাপতিত্বে মানববন্ধন ও সমাবেশে জেলা নেতারা বক্তব্য দেন।
কক্সবাজার সরকারি কলেজ ক্যাম্পাসে অধ্যাপক শামছুল ইসলামের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় স্মৃতিচারণা করেন কলেজের অধ্যক্ষ এ কে এম ফজলুল করিম চৌধুরী, উপাধ্যক্ষ ছলিমুর রহমান, অধ্যাপক গিয়াস উদ্দিন প্রমুখ।

প্রত্যয় ’৭১:
বিজয় দিবস উপলক্ষে প্রত্যয় ’৭১ চট্টগ্রাম শিল্পকলা একাডেমী প্রাঙ্গণে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন ও আলোচনা সভার আয়োজন করে। সংগঠনের সভাপতি সাইফুদ্দীন খালেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠান সঞ্চালন করেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক শামীমা হারুন। প্রধান অতিথি ছিলেন মুক্তিযোদ্ধা হারুন অর রশীদ। মুখ্য আলোচক ছিলেন মুক্তিযোদ্ধা কাজী গোলাম সরোয়ার।
সভায় বক্তব্য দেন প্রকৌশলী টি কে সিকদার, সুভাষ গুহ, আশুতোষ দাশ, সালমা জাহান, ঝর্ণা বড়ুয়া, অনিন্দ্য বড়ুয়া, মো. সাহাব উদ্দিন, রবিশংকর আচার্য্য, স্বপন সেন, শফিউর রহমান, ইরফান হোসেন, পরিতোষ দস্তিদার, অনিন্দম আচার্য্য, জাকির হোসেন প্রমুখ।
বক্তারা স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষার জন্য মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের সব শক্তিকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার আহ্বান জানান।

স্যার মরিস ব্রাউন বিদ্যালয়ে চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা
স্যার মরিস ব্রাউন বিদ্যালয়ে চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা

স্যার মরিস ব্রাউন বিদ্যালয়: নাসিরাবাদের স্যার মরিস ব্রাউন ইন্টারন্যাশনাল বিদ্যালয়ের উদ্যোগে শিশুদের চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা স্কুল প্রাঙ্গণে ১৬ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত হয়। এতে ৪০টি বিদ্যালয়ের ৩০০ ছাত্র-ছাত্রী অংশ নেয়। প্রতিযোগিতার বিচারক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চিত্রশিল্পী অধ্যাপক মনসুরুল করিম, শিল্পী লায়লা মনসুর ও ভাস্কর অলক রায়। অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন ফৌজিয়ান এন্টারপ্রাইজ লিমিটেডের চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলাম ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক স্থপতি তসলিমউদ্দিন চৌধুরী, দৈনিক পূর্বকোণ-এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক জসিম উদ্দিন চৌধুরী, ওল্ড ফৌজিয়ান ও প্রতিযোগীর অবিভাবকেরা। অনুষ্ঠানের সার্বিক তত্ত্বাবধানে ছিলেন বিদ্যালয়ের উপাধ্যক্ষ নুজহাত নাইম সিদ্দিক। অনুষ্ঠানটি যৌথভাবে আয়োজন করে স্যার মরিস ব্রাউন ইন্টারন্যাশনাল স্কুল, ওএফএ ও দৈনিক পূর্বকোণ।
প্রতিযোগিতার তিনটি বিভাগে পুরস্কার জিতেছে বাওয়া স্কুলের শিক্ষার্থী নাজিফা ফারুকী, একই বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী নাজিফা ইবনাত রুহি, বাংলাদেশ এলিমেন্টারি স্কুলের শিক্ষার্থী ওমায়ের সাদ, চট্টগ্রাম গ্রামার স্কুলের শিক্ষার্থী আলিজা চৌধুরী, আমিরুন্নেসা প্রাইমারি স্কুলের চৈতি দাশ, টেলেন্ট স্কুলের মাইশা তাবাসসুম, ডা. খাস্তগীর স্কুলের শিক্ষার্থী প্রযুক্তা চৌধুরী ও সালসাবিল, বিএন স্কুল অ্যান্ড কলেজের শাওন জাহান।

ফুলে ফুলে ভরে গেছে ফেনীর মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিস্তম্ভ
ফুলে ফুলে ভরে গেছে ফেনীর মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিস্তম্ভ

ফেনী: শহীদ স্মৃতিস্তম্ভে পুষ্পস্তবক অর্পণ, কুচকাওয়াজ, আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানসহ নানা আয়োজনে ফেনীতে বিজয় দিবস উদ্যাপিত হয়েছে। এতে যুদ্ধাপরাধী রাজাকারদের বিচার ত্বরান্বিত করার দাবি জানানো হয়েছে।
রাত ১২টা ১ মিনিটে ৩১ বার তোপধ্বনির মাধ্যমে দিবসের কর্মসূচি উদ্বোধন করা হয়। শহরের মুক্তিযুদ্ধের শহীদ স্মৃতিস্তম্ভে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন জেলা প্রশাসক মো. হুমায়ুর কবির খোন্দকার, পুলিশ সুপার পরিতোষ ঘোষ, স্থানীয় সাংসদ জয়নাল আবদীন (ভিপি জয়নাল) ও পৌর মেয়র নিজাম উদ্দিন হাজারী। এ ছাড়া জেলা আওয়ামী লীগ, জেলা বিএনপি, জাতীয় পার্টি, সিপিবি, জেলা পরিষদ, ফেনী প্রেসক্লাব, জেলা আইনজীবী সমিতি, জেলা শিক্ষক সমিতি, ছাত্রলীগ, ছাত্রদল, ছাত্র ইউনিয়ন, প্রথম আলো বন্ধুসভা, জেলা ক্রীড়া সংস্থা, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট, আর্য সাংস্কৃতিককেন্দ্র, লিও ক্লাব, ফেনী থিয়েটার, খেলাঘর, ফেনী সরকারি কলেজ, রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটিসহ বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনও পুষ্পস্তবক অর্পণ করে।
সকালে স্থানীয় ভাষাশহীদ সালাম স্টেডিয়ামে কুচকাওয়াজ, জেলা শিল্পকলা একাডেমীতে মুক্তিযোদ্ধা ও শহীদ পরিবারের সন্তানদের সংবর্ধনা প্রদান, সিনেমা হলগুলোতে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক চলচ্চিত্র প্রদর্শন, শিশুদের মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা, শিল্পকলা একাডেমীতে আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
অনির্বাণ সাংস্কৃতিক চর্চাকেন্দ্র: মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে অনির্বাণ সাংস্কৃতিক চর্চাকেন্দ্রের উদ্যোগে সংগঠনের বি এম সুপার মার্কেটের অস্থায়ী কার্যালয়ে আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।
সভায় সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের সভাপতি টিপু সুলতান। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন আইনজীবী আকতার কবির চৌধুরী। বক্তব্য দেন মো. জসিম উদ্দিন, জুনাইদুস সালাম, মাশফিকুর মাওলা, মিনহাজ উদ্দিন, শাফায়েত চৌধুরী, ভাস্কর রায় চৌধুরী, মোজাম্মেল আলী চৌধুরী, এ এন এম মাইনুল চৌধুরী প্রমুখ। আলোচনা সভা শেষে বিজয় দিবসের প্রকাশনা প্রত্যুষ-এর মোড়ক উন্মোচন করেন ওয়ার্ড কাউন্সিলর রেখা আলম চৌধুরী।