বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের বড় অংশ টিকার আওতায়

কোনো কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ে ৮০% পর্যন্ত শিক্ষার্থী টিকা পেয়েছেন। তবে সব শিক্ষার্থীর তথ্য নেই বেশির ভাগ বিশ্ববিদ্যালয়ের কাছে।

করোনার টিকা
ফাইল ছবি: রয়টার্স

দেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর একটি বড় অংশের শিক্ষার্থী করোনাভাইরাসের টিকার আওতায় এসেছেন। কোনো কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ে অন্তত এক ডোজ টিকা নেওয়া শিক্ষার্থীর হার ৭০ থেকে ৮০ শতাংশ। যদিও কোনো কোনো বিশ্ববিদ্যালয় এ ক্ষেত্রে পিছিয়ে রয়েছে।

২২টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে খোঁজ নিয়ে টিকাদানের এ চিত্র পাওয়া গেছে। শিক্ষার্থী সংখ্যার দিক দিয়ে বড় বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তত ৬০ শতাংশ শিক্ষার্থী টিকার প্রথম ডোজ পেয়েছেন। প্রথম ও দ্বিতীয় ডোজ মিলিয়ে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫৭ শতাংশ শিক্ষার্থী টিকার আওতায় এসেছেন। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় একটি জরিপ করে দেখেছে, তাদের প্রায় ৭১ শতাংশ শিক্ষার্থী টিকা নিয়েছেন, সেটা এক ডোজ অথবা দুই ডোজ হোক।

যেসব বিশ্ববিদ্যালয়ের ৭০ থেকে ৮০ শতাংশ শিক্ষার্থী টিকার আওতায় এসেছেন, তার মধ্যে একটি বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট)। তাদের স্নাতক পর্যায়ের অন্তত ৮০ শতাংশ শিক্ষার্থী দুই ডোজ টিকা নিয়েছেন বলে দাবি করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (চুয়েট) রেজিস্ট্রার দপ্তর সূত্রে জানা গেছে, তাদের প্রায় সাড়ে ৪ হাজার শিক্ষার্থীর ৮০ শতাংশ অন্তত এক ডোজ টিকা নিয়েছেন। গত ১৪ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত হিসাবে, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রায় ৭০ শতাংশ শিক্ষার্থী দুই ডোজ টিকা নিয়েছেন। বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ৬৯ শতাংশ শিক্ষার্থী দুই ডোজ টিকা পেয়েছেন। এগিয়ে আছে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ও।

বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর কাছ থেকে টিকা নেওয়া ও না নেওয়া শিক্ষার্থীর পূর্ণাঙ্গ তথ্য পাওয়া যায়নি। সব শিক্ষার্থীর তথ্য তাদের হাতেও নেই। সংশ্লিষ্ট শিক্ষকেরা বলছেন, সব শিক্ষার্থীকে হিসাবের আওতায় আনাই কঠিন। শিক্ষার্থীদের সবার মুঠোফোন নম্বরসহ কেন্দ্রীয় তথ্যভান্ডার তাঁদের কাছে নেই। সব শিক্ষার্থী তথ্য দিচ্ছেন না।

এদিকে ৩৯টি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনকে (ইউজিসি) জানিয়েছে, মোট ১৭ হাজার ১১৫ জন শিক্ষার্থীর জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) নেই। ফলে তাঁরা টিকার নিবন্ধন করতে পারেননি।

করোনার সংক্রমণ পরিস্থিতির কারণে দেড় বছর বন্ধ থাকার পর বিশ্ববিদ্যালয়গুলো এখন পর্যায়ক্রমে খুলছে। এর আগে গত ফেব্রুয়ারি মাসে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছিল, ২৪ মে বিশ্ববিদ্যালয়গুলো খুলবে। খোলার আগে শিক্ষার্থীদের টিকা দেওয়া হবে। যদিও খোলার বিষয়টি পিছিয়ে যায়। গত সেপ্টেম্বর মাসে শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে জানানো হয়, ২৭ সেপ্টেম্বরের পর বিশ্ববিদ্যালয় খোলা যাবে।

এর আগেই গত ১২ সেপ্টেম্বর স্কুল-কলেজ খুলে দেওয়া হয়। শিক্ষার্থীদের টিকার আওতায় এনে খুলেছে মেডিকেল কলেজগুলোও। সরকার বলছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের করোনার অন্তত এক ডোজ টিকা অথবা নিবন্ধন সাপেক্ষে বিশ্ববিদ্যালয়গুলো এ মাসেই খোলা হবে।

অবশ্য সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, আগেভাগে কার্যকর উদ্যোগ নেওয়া হলে শিক্ষার্থীদের টিকাদান আরও এগিয়ে নেওয়া যেত। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ইউজিসির একজন কর্মকর্তা প্রথম আলোকে বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় খুলতে টিকা দেওয়ার আলোচনা শুরু হয় গত ফেব্রুয়ারি মাসে। আট মাসের মাথায় এসে এখন শিক্ষার্থীদের তথ্য না পাওয়া, জাতীয় পরিচয়পত্র না থাকার মতো সমস্যাগুলোর কথা বলা হচ্ছে।

বিশ্ববিদ্যালয়ভেদে টিকাদানের চিত্র

ইউজিসির তথ্য অনুযায়ী, দেশে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে ৫১টি। এর নতুন ৪টি এখনো শিক্ষা কার্যক্রম শুরু করেনি। পাঁচটি মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়। তিনটিতে সরাসরি শিক্ষার্থী নেই, অধিভুক্ত কলেজ ও মাদ্রাসা রয়েছে; বিশ্ববিদ্যালয়গুলো হলো জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়, উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় ও ইসলামী আরবি বিশ্ববিদ্যালয়। বাকি ৩৯টি বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী প্রায় ৩ লাখ। প্রথম আলোর পক্ষ থেকে ৩৯টির মধ্যে ২২টির তথ্য সংগ্রহ করা হয়।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মোট শিক্ষার্থী প্রায় ৩৮ হাজার। কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, এর মধ্যে প্রায় ২৩ হাজার শিক্ষার্থী অন্তত এক ডোজ টিকা নিয়েছেন। ৬ হাজারের মতো শিক্ষার্থী নিবন্ধন করে টিকার অপেক্ষায় রয়েছেন। তবে অনেকেই এখনো তথ্য দেননি।

বিশ্ববিদ্যালয়টি ইউজিসিকে জানিয়েছে, তাদের ২ হাজার ৫৩৮ জন শিক্ষার্থীর জাতীয় পরিচয়পত্র নেই। এদিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ শিক্ষার্থীদের সহজে জাতীয় পরিচয়পত্র করার ব্যবস্থা করতে গত বৃহস্পতিবার ক্যাম্পাসে আলাদা বুথ খুলেছে।

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীর সংখ্যা ২৪ হাজারের বেশি। এর মধ্যে দুই ডোজ টিকা নিয়েছেন ১০ হাজার ৬৫০ জন। টিকার এক ডোজ পেয়েছেন প্রায় ৩ হাজার। নিবন্ধন করেও টিকা পাননি ২ হাজার ৩৬০ জন। নিবন্ধন করেননি বা করতে পারেননি ১ হাজার ৩২৫ জন।

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার মনিরুল হাসান প্রথম আলোকে বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়টিতে শিক্ষার্থী মোট প্রায় ২৭ হাজার। গত মাস পর্যন্ত তাঁরা ১৩ হাজারের মতো শিক্ষার্থীর তথ্য পেয়েছেন। এর মধ্যে দুই ডোজ টিকা নিয়েছেন ৩১ শতাংশ এবং এক ডোজ নিয়েছেন ১৭ শতাংশ।

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীসংখ্যা প্রায় ১২ হাজার। বিশ্ববিদ্যালয়টির জনসংযোগ বিভাগের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক মোহাম্মদ মহিউদ্দিন জানান, তাঁরা প্রায় ৯০ শতাংশ শিক্ষার্থীর তথ্য পেয়েছেন। এর মধ্যে দুই ডোজ টিকা নিয়েছেন ৪৩ শতাংশ এবং এক ডোজ টিকা নিয়েছেন ১২ শতাংশ। আর ২১ শতাংশ নিবন্ধন করে অপেক্ষা করছেন।

সিলেটে অবস্থিত শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ৯ হাজারের কিছু বেশি। এর মধ্যে ৫ হাজার ৮২৩ জন দুই ডোজ টিকা নিয়েছেন। যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রায় ৪ হাজার শিক্ষার্থীর মধ্যে ৩ হাজার ২৮৮ জনের তথ্য পাওয়া গেছে। এর মধ্যে এক ডোজ টিকা নিয়েছেন ১ হাজার ৭০ জন এবং দুই ডোজ নিয়েছেন ৬৯৬ জন।

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার আবু তাহের জানান, বিশ্ববিদ্যালয়টিতে ৬ হাজারের মতো শিক্ষার্থী রয়েছে। কিছুদিন আগে করা হিসাবে ৫ হাজার ১৮৫ জনের তথ্য পাওয়া যায়। দেখা যায়, প্রথম ডোজ টিকা নিয়েছেন ১ হাজার ২৮৫ জন। দুই ডোজ নিয়েছেন ৪১৬ জন।

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী ১৩ হাজারের বেশি। বিশ্ববিদ্যালয়টির ছাত্র উপদেষ্টা আইনুল ইসলাম জানান, তাঁরা গত বৃহস্পতিবার পাঁচটি বিভাগের ৫০০ শিক্ষার্থীর ওপর একটি জরিপ করেন। এতে দেখা যায়, প্রথম ও দ্বিতীয় ডোজ মিলিয়ে প্রায় ৭১ শতাংশ শিক্ষার্থী টিকার আওতায় এসেছেন।

বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে ৭ হাজার ৭১৭ জন শিক্ষার্থীর মধ্যে গত ২৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত অন্তত প্রথম ডোজ দিয়েছেন ২ হাজার ৭০০ জনের কিছু বেশি। সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের আড়াই হাজার শিক্ষার্থীর মধ্যে গত বছর যাঁরা প্রথম বর্ষে ভর্তি হয়েছিলেন, তাঁদের অনেকের জাতীয় পরিচয়পত্র না থাকায় কিছুটা সমস্যা হয়েছিল। বাকি শিক্ষার্থীদের ৭৫ শতাংশের মতো দুই ডোজ টিকা নিয়েছেন বলে দাবি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের। ময়মনসিংহ অবস্থিত জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ৭ হাজার ২৩২ জন। এর মধ্যে প্রথম ডোজ টিকা নিয়েছেন ৮০ শতাংশ এবং দ্বিতীয় ডোজ নিয়েছেন ৫০ শতাংশ।

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত কলেজগুলোতে মোট শিক্ষার্থী ২৯ লাখ ৭৫ হাজারের কিছু বেশি। এর মধ্যে টিকার জন্য নিবন্ধন করেছেন ৮ লাখ ৩৪ হাজার ৮৪৫ শিক্ষার্থী। তবে কত শিক্ষার্থী টিকা নিয়েছেন, সেই তথ্য জানতে পারেনি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।

জামালপুরে অবস্থিত বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে মোট শিক্ষার্থী ৪৯৭ জন। প্রথম ও দ্বিতীয় ডোজ মিলিয়ে টিকা নিয়েছেন প্রায় ৮০ শতাংশ শিক্ষার্থী।

পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় খুলে দেওয়া হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়টির রেজিস্ট্রার মোহাম্মদ কামরুল ইসলাম জানিয়েছেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে মোট শিক্ষার্থী ৩ হাজার ৩৩২ জন। এর মধ্যে প্রথম ডোজ টিকা নিয়েছেন ৭১৮ জন এবং দুই ডোজ নিয়েছেন ১ হাজার ৯৫৬ জন।

ঢাকার শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হল খুলেছে। বিশ্ববিদ্যালয়টিতে শিক্ষার্থী ৪ হাজার ৭০০ জনের মতো। এর মধ্যে ৩ হাজার ৮৬১ জন আবাসিক। কিছুদিন আগের হিসাবে, আবাসিক ৩ হাজারের বেশি শিক্ষার্থী টিকা নিয়েছেন।

পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা শাখার নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন কর্মকর্তার দাবি, তাঁদের প্রায় ৭০ শতাংশ শিক্ষার্থী টিকা নিয়েছেন। নতুন প্রতিষ্ঠিত খুলনা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে ১৯৯ জন শিক্ষার্থীর মধ্যে প্রথম ডোজ টিকা নিয়েছেন ২৭ জন।

টিকা দিতে উদ্যোগ

ইউজিসি জানিয়েছে, জাতীয় পরিচয়পত্র না থাকা শিক্ষার্থীদের তালিকা স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ম্যানেজমেন্ট ইনফরমেশন সিস্টেমের (এমআইএস) কাছে পাঠানো হয়েছে। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় তাদের (ইউজিসি) জানিয়েছে, পাঁচ থেকে সাত দিনের মধ্যে জাতীয় পরিচয়পত্র না থাকা শিক্ষার্থীদের জন্মনিবন্ধন সনদের মাধ্যমে নিবন্ধনের ব্যবস্থা করা হবে।

যদিও এমআইএসের পরিচালক মিজানুর রহমান বৃহস্পতিবার প্রথম আলোকে বলেন, তাঁরা তখন পর্যন্ত জাতীয় পরিচয়পত্র ছাড়া নিবন্ধনের বিষয়ে কোনো নির্দেশনা পাননি।

এদিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের সব শিক্ষার্থীকে টিকা দিতে বিভিন্ন উদ্যোগের কথা জানান ইউজিসির সদস্য (পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়) অধ্যাপক দিল আফরোজা বেগম। তিনি বলেন, যেসব শিক্ষার্থী নিবন্ধন করেও টিকা নিতে পারছেন না, তাঁরা যাতে সংশ্লিষ্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিকেল কেন্দ্র থেকে অগ্রাধিকারভিত্তিতে টিকা নিতে পারেন, সেই ব্যবস্থা করার চিন্তা করা হচ্ছে।

জন্মনিবন্ধন সনদসংক্রান্ত জটিলতার কারণে যদি কোনো শিক্ষার্থী সমস্যায় পড়েন, তাহলে বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাস্থ্যকেন্দ্রে তাৎক্ষণিক নিবন্ধন করিয়ে টিকা দেওয়ার আলোচনা চলছে বলে জানায় ইউজিসি।

‘বিশ্ববিদ্যালয় খুলে দেওয়া উচিত’

দেশে করোনা পরিস্থিতির অনেকটাই উন্নতি হয়েছে। টানা ১৮ দিন পরীক্ষার বিপরীতে করোনা শনাক্তের হার ৫ শতাংশের নিচে। মৃত্যুও কমেছে। গতকাল শুক্রবার পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় মারা গেছেন ৭ জন, যা একসময় আড়াই শ ছাড়িয়েছিল।

সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (আইইডিসিআর) পরামর্শক মুশতাক হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, যেহেতু এখন করোনার সংক্রমণ কমে গেছে, তাই বিশ্ববিদ্যালয়গুলো এবং আবাসিক হলগুলো খুলে দেওয়া উচিত। তবে এ ক্ষেত্রে অবশ্যই পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা, সামাজিক দূরত্ব মেনে চলাসহ স্বাস্থ্যবিধি কঠোরভাবে মানতে হবে। কারও উপসর্গ দেখা দিলে আলাদা রাখা (আইসোলেশন) ও চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে হবে। পাশাপাশি টিকা কার্যক্রমও চলবে।