বীরাঙ্গনা ও বাল্যবিবাহ শব্দের সঙ্গে পরিচিত ওরা

রাজধানীর লালমাটিয়া ডি ব্লকের খেলার মাঠের ফটক দিয়ে ভেতরে ঢুকছিল এক পথশিশু। গায়ে ছেঁড়া গেঞ্জি। পিঠে বস্তা। গেটে দাঁড়ানো অরণি বিদ্যালয়ের দারোয়ান কিছুতেই পথশিশুকে ঢুকতে দেবেন না। মাঠে বিদ্যালয়ের বাচ্চাদের বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা হচ্ছে। তবে খানিক পরেই দারোয়ান মামা ভুল বুঝতে পারলেন। এ টোকাই তো স্কুলেরই মুস্তবা! যেমন খুশি তেমন সাজোর প্রতিযোগিতায় ও টোকাই সেজেছে।
গতকাল বুধবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত শুধু মুস্তবা নয়, বিভিন্ন সাজে সেজে এ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা শিক্ষকদেরও তাক লাগিয়ে দেয়। বিদ্যালয়ের পাশেই অবস্থিত মাঠটিতে নুহা সাদা শাড়ি পরে কালো মোটা ফ্রেমের চশমা লাগিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে। নিজেই বলল, ‘আমি নারী জাগরণের অগ্রদূত বেগম রোকেয়া।’
বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক নীনা ভূঁইয়া প্রথম আলোকে জানালেন, ধানমন্ডি ও লালমাটিয়া—দুই শাখা মিলিয়ে বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীর সংখ্যা ৪৫০। শিক্ষক আছেন ৩৬ জন। এখানে বয়স অনুযায়ী বিচি কুড়ানো, চামচে মার্বেল নিয়ে দৌড়, দৌড়ে গিয়ে খাতায় অঙ্ক করে আবার দৌড়ে সবার আগে খাতা জমা দেওয়ার অঙ্ক দৌড়, হাতের লেখা, বানান প্রতিযোগিতাসহ বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় বাচ্চাদের মেডেল ও ট্রফি দেওয়া হবে। কেউ যদি তিনটি বিষয়ে প্রথম হয়, সে পাবে চ্যাম্পিয়ন ট্রফি।