বোমারু মিজান ও তাঁর স্ত্রীর কারাদণ্ড

জাহিদুল ইসলাম ওরফে বোমারু মিজান
জাহিদুল ইসলাম ওরফে বোমারু মিজান

রাজধানীর মিরপুর থানায় দায়ের হওয়া একটি মামলায় নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন জামাআতুল মুজাহিদীন বাংলাদেশের (জেএমবি) বোমা বিস্ফোরক বিশেষজ্ঞ জাহিদুল ইসলাম ওরফে বোমারু মিজান ও তাঁর স্ত্রী হালিমা বেগমকে দুই বছর করে কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
আজ রোববার ঢাকার অতিরিক্ত মহানগর হাকিম মো. লুৎফর রহমান শিশির এ রায় দেন। বোমারু মিজান পলাতক রয়েছেন। রায় ঘোষণার সময় তাঁর স্ত্রী হালিমা বেগম আদালতে উপস্থিত ছিলেন। ২০১৪ সালের ২৩ ফেব্রুয়ারি ময়মনসিংহের ত্রিশাল এলাকায় প্রিজন ভ্যানে হামলা চালিয়ে বোমারু মিজানসহ অন্যদের ছিনিয়ে নেয় জঙ্গিরা।

আদালতের পেশকার মো. সালাউদ্দিন প্রথম আলোকে বলেন, ২০০৯ সালে সরকারি কাজে বাধা এবং হামলা করার অভিযোগে র‍্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‍্যাব) ওই দুজনের বিরুদ্ধে মামলা করে। অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় দণ্ডবিধির ১৮৬ এবং ৩৫৩ ধারায় প্রত্যেককে এক বছর করে মোট দুই বছর করে কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।

আদালত-সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ২০০৯ সালের ১৫ মে কাফরুলের তালতলা বাসস্ট্যান্ড থেকে বোমারু মিজানকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে র‍্যাব বোমা মিজানকে সঙ্গে নিয়ে মিরপুর থানাধীন এলাকায় তাঁর বাসায় যায়। এ সময় বাসার ভেতরে থাকা বোমারু মিজানের স্ত্রী হালিমা র‍্যাবকে লক্ষ্য করে বোমা বিস্ফোরণ ঘটান। পরে ওই বাসা থেকে বোমা ও বিস্ফোরকসহ হালিমাকে গ্রেপ্তার করে র‍্যাব। এ ঘটনায় র‍্যাব-৪–এর উপপরিচালক হান্নান হাওলাদার বাদী হয়ে মিরপুর থানায় মামলা করেন। তদন্ত শেষে ২০১০ সালের ৮ মার্চ মিরপুর থানার তৎকালীন উপপরিদর্শক (এসআই) অনিমেষ সরকার ওই দুজনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেন। ওই বছরের ৩ জুন আদালত মামলার বিচার শুরু করেন। মামলার ২৫ জন সাক্ষীর মধ্যে সাতজনের সাক্ষ্য নেওয়া হয়। অভিযোগ স্বীকার করে বোমারু মিজান আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছিলেন।