ব্যবসায়ীদের টাকায় ঢাকা নিউমার্কেট সংস্কার

প্রবেশফটক ও দেয়ালে ইতিমধ্যে বসানো হয়েছে পাথরের টাইলস। নতুন করে সাজানো হচ্ছে ঢাকা নিউমার্কেট। মার্কেটের ব্যবসায়ী সমিতি বলছে, মোগল স্থাপত্যরীতির অনুসরণে মার্কেটের সৌন্দর্যবর্ধনের কাজ করছে তারা।
আজিমপুর ও ধানমন্ডির নতুন জনবসতির চাহিদা পূরণের জন্য ১৯৫২ থেকে ১৯৫৪ সালে ঢাকা নিউমার্কেট নির্মিত হয়। ঢাকা নিউমার্কেট ব্যবসায়ী সমিতির সূত্রে জানা যায়, ব্রিটিশ স্থপতি হে ঢাকা নিউমার্কেটের নকশা করেন।
গতকাল গিয়ে দেখা যায়, নিউমার্কেট ১ নম্বর ফটকের দেয়ালে মেটে রঙের পাথরের টাইলস বসানো হয়েছে। খিলানে চড়েছে নতুন রং। ফটকের দুপাশে যোগ হয়েছে দুটি করে মোট চারটি বুরুজ। জানালার ওপর টালি বসানো হয়েছে। ফটকের কাজ শেষ করে এখন পাশের দেয়ালে টাইলস বসানোর কাজ চলছে। মার্কেট মসজিদের গম্বুজে নীল-সাদা সিরামিক বসানো হচ্ছে। মিনারেও সংস্কারকাজ চলছে।
ঢাকা নিউমার্কেট ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি আমিনুল ইসলাম বলেন, ‘গেটগুলো মোগল স্থাপত্যরীতি অনুসারেই তৈরি। পুরো সংস্কারকাজে আমরা সেই ধারা ধরে রাখার চেষ্টা করেছি। লাইম স্টোন, স্যান্ড স্টোন, মার্বেল—এসব প্রাকৃতিক পাথরের টাইলস মূল দরজা আর দেয়ালে ব্যবহার করা হচ্ছে।’ নিউমার্কেটের দোকানমালিকদের অর্থায়নে এই সংস্কারকাজ চলছে বলে জানান তিনি।
সহসভাপতি আশরাফ উদ্দিন আহমেদ বলেন, ১ নম্বর ফটকের কাজ প্রায় শেষ। আগামী ছয় মাস থেকে এক বছরের মধ্যে পুরো মার্কেটের সংস্কার ও সৌন্দর্যবর্ধনের কাজ শেষ হবে।
মার্কেটের তিনটি জোনের টয়লেটগুলোও সম্প্রতি সংস্কার করা হয়েছে। বাড়ানো হয়েছে অগ্নিনির্বাপক যন্ত্রের সংখ্যা।
নিউমার্কেটে কেনাকাটা করতে আসা কলেজছাত্রী শারমিন সুলতানা বলেন, প্রবেশ ফটকটি দেখে এখন ঐতিহাসিক স্থাপনার অংশ বলে মনে হচ্ছে। পুরো কাজ শেষ হলে নিশ্চয়ই দেখতে আরও ভালো লাগবে।
নিউমার্কেট ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের অধীন। সংস্কারের বিষয়ে জানতে চাইলে সিটি করপোরেশনের ১৮ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর জসীম উদ্দিন আহমেদ বলেন, মার্কেটের ফটকের অংশের সংস্কারের ব্যাপারে মালিক সমিতির সভাপতি তাঁকে মৌখিকভাবে জানিয়েছেন। তাঁদের খরচেই কাজ চলছে। তবে পুরো মার্কেট সংস্কারের পরিকল্পনা সম্পর্কে তিনি কিছু জানেন না।