ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ট্রেনের আসন কমানোর প্রতিবাদে অবরোধ
ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে ছয়টি আন্তনগর ট্রেনে যাত্রীদের আসন কমানোর প্রতিবাদে এবং তা বাড়ানোর দাবিতে মানববন্ধন ও রেলপথ অবরোধ করেছেন শিক্ষার্থীরা। গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল সোয়া ১০টার দিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলস্টেশন প্ল্যাটফর্মে সর্বস্তরের সচেতন ছাত্রসমাজ ও ব্যবসায়ীদের ব্যানারে এই মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হয়।
এ সময় আন্দোলনকারীরা স্টেশনের ২ নম্বর লাইনে অবস্থান নিয়ে চট্টগ্রাম থেকে ছেড়ে আসা ঢাকাগামী আন্তনগর সুবর্ণ এক্সপ্রেস ট্রেনটি প্রায় আধা ঘণ্টা অবরোধ করে রাখেন।
মানববন্ধনে চলাকালে বক্তব্য দেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া চেম্বার অব কমার্সের সভাপতি আজিজুল হক, ছাত্রলীগের নেতা সামসুজ্জামান চৌধুরী, মিনহাজ উদ্দিন, মমিন মিয়া, সেলিম মোল্লা, মেহেদী হাসান, শাহাদৎ হোসেন প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, কাউন্টারে টিকিট বিক্রির দিক থেকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলস্টেশনের অবস্থান সারা দেশে দ্বিতীয়। প্রতিদিন দেড় হাজারের বেশি যাত্রী এই স্টেশন থেকে ঢাকা, চট্টগ্রাম, সিলেটসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে যাতায়াত করেন।এই স্টেশন থেকে বিভিন্ন স্থানে যাওয়ার জন্য ট্রেনের আসন বরাদ্দ ছিল ৬৮৪টি। এই সংখ্যা কমিয়ে প্রায় ৪৫০টি করা হয়েছে।
রেলস্টেশন সূত্রে জানা গেছে, এই রেলস্টেশনে যাত্রাবিরতি করে এমন চারটি আন্তনগর ট্রেনের বরাদ্দ করা আসনসংখ্যা ১৪ জানুয়ারি কমানো হয়। এ ছাড়া ২১ ফেব্রুয়ারি থেকে ঢাকাগামী মহানগর এক্সপ্রেস ও চট্টগ্রামগামী মহানগর এক্সপ্রেসের আসনসংখ্যা কমানো হয়। এর মধ্যে ঢাকাগামী মহানগর গোধূলীর শোভন শ্রেণিতে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার যাত্রীদের জন্য আসন বরাদ্দ ছিল ১৬৫টি। পরে তা কমিয়ে ১০০টি করা হয়েছে। এই ট্রেনের প্রথম শ্রেণির ১০টি আসনও বাতিল করা হয়েছে।
রেলস্টেশন সূত্রে জানা গেছে, ঢাকাগামী তূর্ণা-নিশীথার শোভন চেয়ারের আসনসংখ্যা ৬০টির স্থলে ৪০টি, চট্টগ্রামগামী মহানগর প্রভাতীতে প্রথম শ্রেণির আসন ১৬ থেকে কমিয়ে ৬টি, শোভন শ্রেণির আসন ১০০ থেকে কমিয়ে ৫০টি করা হয়েছে। একই ট্রেনে ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে কুমিল্লার যাত্রীদের আসন ২৫ থেকে কমিয়ে ১৫টি করা হয়েছে। আর লাকসাম যাতায়াতের জন্য কোনো আসনই দেওয়া হয়নি। ব্রাহ্মণবাড়িয়া-ফেনী আসন দেওয়া হয়েছে মাত্র ১০টি। চট্টগ্রামগামী তূর্ণা-নিশীথার শোভন শ্রেণির আসন ১১০ থেকে কমিয়ে ৫০টি করা হয়েছে।