ব্র্যাক ইউনিভার্সিটিতে বাজেট–পরবর্তী আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত

বাজেট-পরবর্তী আলোচনা সভায় বক্তব্য দেন ড. এ বি মির্জ্জা আজিজুল ইসলাম।

সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা ও ব্র্যাক বিজনেস স্কুলের অধ্যাপক ড. এ বি মির্জ্জা আজিজুল ইসলাম বলেছেন, ‘সার্বিকভাবে বাজেটে যেসব টার্গেট নির্ধারণ করা হয়েছে, সেগুলোকে আমি গ্রহণযোগ্য বলে মনে করি, কিন্তু এর বাস্তবায়ন নিয়ে সমস্যা রয়েছে। বাজেটে জিডিপি প্রবৃদ্ধি ৭ দশমিক ৫ শতাংশ হবে বলে অনুমান করা হয়েছে, আমার কাছে এটা বস্তুনিষ্ঠ বলে মনে হয় না।’

২০২২-২৩ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটের ওপর বাজেট-পরবর্তী এক আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন এ বি মির্জ্জা আজিজুল ইসলাম। ব্র্যাক ইউনিভার্সিটির ব্র্যাক বিজনেস অ্যান্ড ইকোনমিকস ফোরাম আলোচনা সভার আয়োজন করে। এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়।

বাজেট ঘাটতি নিয়ে মির্জ্জা আজিজুল ইসলাম বলেন, ‘এবার বাজেট ঘাটতি ধরা হয়েছে ৫ দশমিক ৫ শতাংশ, এটা গ্রহণযোগ্য। বর্তমান পরিপ্রেক্ষিতে বাজেট ঘাটতি ৬ শতাংশ ধরলেও আমার তাতে আপত্তি থাকত না।’

বাংলাদেশে আয় বৈষম্য ও আঞ্চলিক বৈষম্য বেড়েছে বলে জানান মির্জ্জা আজিজুল ইসলাম। তিনি বলেন, রংপুর ও বরিশাল অঞ্চলের ৪০ শতাংশ মানুষ দারিদ্র্যসীমার নিচে বাস করে, যেটা ঢাকা, নারায়ণগঞ্জে এবং চট্টগ্রামে এটা অনেক কম। আঞ্চলিক বৈষম্য না কমাতে পারলে জাতিসংঘের এসডিজি বাস্তবায়ন সম্ভব হবে না।

‘পোস্ট বাজেট ডায়ালগ ফিসকাল ইয়ার ২০২২-২৩’ শীর্ষক আলোচনা সভায় অংশ নেন আইপিডিসি ফিন্যান্সের ম্যানেজিং ডিরেক্টর ও সিইও মোমিনুল ইসলাম।

এ সময় ল্যাপটপ ও প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর ওপর ট্যাক্স প্রত্যাহারে বিষয়ে সরকারের প্রতি অনুরোধ জানান ব্র্যাক ইউনিভার্সিটির ডিপার্টমেন্ট অব ম্যাথমেটিকস অ্যান্ড ন্যাচারাল সায়েন্সের চেয়ারপারসন এ এফ এম ইউসুফ হায়দার। আলোচনা সভাটি সঞ্চালনা করেন ব্র্যাক বিজনেস স্কুলের সহকারী অধ্যাপক শামীম এহসানুল হক।