ভাওয়াল রাজশ্মশানেশ্বরী

গাজীপুরের জয়দেবপুরে অবস্থিত ভাওয়াল রাজবাড়ি থেকে প্রায় এক কিলোমিটার উত্তরে মৃতপ্রায় চিলাই নদের দক্ষিণ তীরে অবস্থিত ভাওয়াল রাজশ্মশানেশ্বরী। এটি ছিল ভাওয়াল রাজপরিবারের সদস্যদের শবদাহের স্থান। এখানে পরিবারের মৃত সদস্যদের নামে সৌধ নির্মাণ ও নামফলক স্থাপন করা হতো। শ্মশান চত্বরে একটি শিবমন্দির রয়েছে। বর্তমানে এটি বাংলাদেশের প্রত্ন ঐতিহ্যের অংশ। 

সাহাবউদ্দিন আহম্মেদ ‘কিংবদন্তির সন্ন্যাসী রাজা ও ভাওয়াল রাজবাড়ি’ নিবন্ধে উল্লেখ করেছেন, ভাওয়ালের জমিদার জয়দেব নারায়ণের দৌহিত্র লোক নারায়ণ রায় বাংলা ১২৫০ থেকে ১২৬০ সালের মধ্যে গড়ে তোলেন এই ভাওয়াল রাজশ্মশান। তবে ঐতিহাসিকদের মতে, মূল শ্মশানের কাজে হাত দিয়েছিলেন রাজা কীর্তি নারায়ণ রায়। ছবিগুলো সম্প্রতি তোলা।

পাঁচ একর জমির ওপর গড়ে ওঠে সমাধিসৌধ চত্বরটি।
পাঁচ একর জমির ওপর গড়ে ওঠে সমাধিসৌধ চত্বরটি।
জানা যায়, লোক নারায়ণ রায় ভারতের পুরীর বিখ্যাত স্থপতি কামাখ্যা রায়কে দিয়ে ভাওয়াল রাজশ্মশানেশ্বরী নির্মাণ করান।
জানা যায়, লোক নারায়ণ রায় ভারতের পুরীর বিখ্যাত স্থপতি কামাখ্যা রায়কে দিয়ে ভাওয়াল রাজশ্মশানেশ্বরী নির্মাণ করান।
ভাওয়াল রাজ শ্মশানেশ্বরীর গায়ের অনিন্দ্য নকশাগুলো এখনো দর্শনার্থীদের মুগ্ধ করে।
ভাওয়াল রাজ শ্মশানেশ্বরীর গায়ের অনিন্দ্য নকশাগুলো এখনো দর্শনার্থীদের মুগ্ধ করে।
ছয়টি স্তম্ভবিশিষ্ট শিবমন্দিরটি নির্মাণে মোগল স্থাপত্যশৈলী অনুসরণ করা হয়েছে।
ছয়টি স্তম্ভবিশিষ্ট শিবমন্দিরটি নির্মাণে মোগল স্থাপত্যশৈলী অনুসরণ করা হয়েছে।
আগে অনেক দূর থেকেও মন্দিরের স্তম্ভগুলো দেখা যেত। কিন্তু শ্মশান চত্বরের আশপাশে অপরিকল্পিতভাবে বিভিন্ন স্থাপনা গড়ে ওঠায় চোখের আড়ালে পড়ে যাচ্ছে মন্দিরটি।
আগে অনেক দূর থেকেও মন্দিরের স্তম্ভগুলো দেখা যেত। কিন্তু শ্মশান চত্বরের আশপাশে অপরিকল্পিতভাবে বিভিন্ন স্থাপনা গড়ে ওঠায় চোখের আড়ালে পড়ে যাচ্ছে মন্দিরটি।
সংরক্ষণের কার্যকর উদ্যোগ না নেওয়ায় খসে পড়ছে স্তম্ভগুলোর গায়ের অনবদ্য সব কারুকাজ।
সংরক্ষণের কার্যকর উদ্যোগ না নেওয়ায় খসে পড়ছে স্তম্ভগুলোর গায়ের অনবদ্য সব কারুকাজ।