ভারতের করোনা টিকা বাংলাদেশ দ্রুত পাবে

ভারতের নতুন হাইকমিশনার বিক্রম দোরাইস্বামী গতকাল রাষ্ট্রপতির কাছে পরিচয়পত্র পেশ করেন। এরপর সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন।

বিক্রম দোরাইস্বামী

ঢাকায় নিযুক্ত ভারতের নতুন হাইকমিশনার বিক্রম দোরাইস্বামী বলেছেন, ভারত যে টিকা তৈরি করছে, সেটা উৎপাদনের পর্যায়ে গেলে বাংলাদেশ দ্রুত পাবে। এ নিয়ে ভারত সরকার বাংলাদেশের কাছে অঙ্গীকারবদ্ধ।

গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়ের সময় তিনি এ কথা বলেন। ঢাকায় ইন্ডিয়ান হাউসে এ মত বিনিময়ের আয়োজন করা হয়। এর আগে বিকেলে তিনি রাষ্ট্রপতি মো. আব্দুল হামিদের কাছে ভারতের নতুন ১৭তম হাইকমিশনার হিসেবে পরিচয়পত্র পেশ করেন।

বিক্রম দোরাইস্বামী সাংবাদিকদের বলেন, বাংলাদেশের সঙ্গে সবগুলো বিষয়ে দুই পক্ষের সম্মতিতে সমাধানের বিষয়টিকে ভারত গুরুত্ব দিয়ে থাকে। তিনি বাংলাদেশে দায়িত্ব পালনের সময় দুই দেশের স্বার্থে অমীমাংসিত বিষয়গুলো যাতে প্রত্যাশা অনুযায়ী সমাধানের বিষয়ে সর্বাত্মক চেষ্টা চালাবেন।

দুই দেশের সম্পর্কের বিষয়কে ভারত বিশেষ গুরুত্ব দেয়, এ কথা উল্লেখ করে বিক্রম কুমার দোরাইস্বামী বলেন, ‘আমি মনে করি, সবচেয়ে ঘনিষ্ঠ সম্পর্কেরও যত্ন নিতে হয়। আমার সরকার ঠিক সেই কাজটি করার জন্যই আমাকে পাঠিয়েছেন। সব স্তরে দুই দেশের অংশীদারত্বের বিকাশে আমি এবং আমার সহকর্মীরা কোনো চেষ্টাই বাদ রাখব না।’

বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্কের ভবিষ্যৎ কেমন দেখেন— এমন এক প্রশ্নের জবাবে নতুন হাইকমিশনার বলেন, ‘করোনাভাইরাস সংক্রমণের আগে যে গতিতে সম্পর্কটা এগিয়ে চলছিল, আমরা আশা করি সে জায়গায় ফিরিয়ে নিতে পারব। উন্নয়ন ও সংযুক্তির যে প্রকল্পগুলো রয়েছে আমার দায়িত্ব পালনের সময় সেগুলোর শেষ দেখতে চাইব। দুই ঘনিষ্ঠ অংশীদারের মধ্যে যে সব অমীমাংসিত বিষয় আছে সেগুলোর সম্ভাব্য ন্যায়সংগত সমাধানের জন্য সর্বাত্মক চেষ্টা করব।’

বাংলাদেশ ও ভারতের সম্পর্কোন্নয়নে গণমাধ্যমের ভূমিকার ওপর গুরুত্ব দেন ভারতের নতুন হাইকমিশনার। তিনি বলেন, ‘আমি চাই গণমাধ্যম গঠনমূলক সমালোচনা করুক। ভাল কিছু করলে সমর্থন পাব, গণমাধ্যমের কাছে এটাও আশা করব।’

সীমান্ত হত্যা দুই দেশের অমীমাংসিত সমস্যা। এ বিষয়ে প্রশ্নের জবাবে বিক্রম দোরাইস্বামী বলেন, ‘আমাদের নেতৃত্বের সব স্তর থেকে শুনে আসছি একটা মৃত্যুও কাম্য নয়। সীমান্ত হত্যা নিয়ে বাংলাদেশের জনগণের আবেগের বিষয়টিও বুঝতে পারি। অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক ও বিয়োগান্তক মৃত্যুর ঘটনাগুলো ঘটে থাকে রাতের অন্ধকারে। সীমান্তরক্ষীদের ওপর একদল লোক যখন হামলা চালায়, এটি খুঁজে বের করা সম্ভব হয় না। এটা বলে কিন্তু হত্যার পক্ষে সাফাই গাওয়া হচ্ছে না। আমাদের লক্ষ্যই হচ্ছে সীমান্ত হত্যাটা পুরোপুরি বন্ধ করা।’

বিক্রম দোরাইস্বামীর মতে, সীমান্ত হত্যা একটি আইন-শৃঙ্খলাজনিত সমস্যা। কাজেই এটিকে আইন-শৃঙ্খলার দৃষ্টিকোণ থেকে দেখা উচিত। তিনি বলেন, ‘আমি অবশ্যই এই সমস্যার সমাধানে সংশ্লিষ্ট সব পক্ষকে নিয়ে সর্বাত্মক চেষ্টা চালাব।’