ভারতের মর্যাদাপূর্ণ পদ্মশ্রী পুরস্কার পেলেন কাজী সাজ্জাদ জহির

ভারতের রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দর কাছ থেকে পদ্মশ্রী পুরস্কার গ্রহণ করেন বাংলাদেশের বীর মুক্তিযোদ্ধা লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অব.) কাজী সাজ্জাদ আলী জহির
ছবি: সংগৃহীত

ভারতের মর্যাদাপূর্ণ পদ্মশ্রী পুরস্কার পেয়েছেন বাংলাদেশের বীর মুক্তিযোদ্ধা লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অব.) কাজী সাজ্জাদ আলী জহির (বীর প্রতীক)। গতকাল মঙ্গলবার রাষ্ট্রপতি ভবনে এক অনুষ্ঠানে ভারতের রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দর কাছ থেকে তিনি এই পুরস্কার গ্রহণ করেন। খবর বাসসের।

ভারতের সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মাননা ভারতরত্ন। এরপর রয়েছে পদ্মবিভূষণ, পদ্মভূষণ ও পদ্মশ্রী। বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিশেষ অবদানের জন্য এই পুরস্কার দেওয়া হয়।

ভারতের রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের কাছ থেকে প্রয়াত সৈয়দ মোয়াজ্জেম আলীর পদ্মভূষণ সম্মাননা গ্রহণ করেন তাঁর স্ত্রী তুহফা জামান আলী
ছবি: সংগৃহীত

কাজী সাজ্জাদ আলী জহিরের পাশাপাশি বিশিষ্ট রবীন্দ্রসংগীত বিশারদ সন্‌জিদা খাতুনও ‘পদ্মশ্রী পুরস্কার-২০২১’–এর জন্য মনোনীত হয়েছেন।

ভারতের রাষ্ট্রপতি ভবনে আয়োজিত এই পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর।

এনামুল হক ভারতের রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের কাছ থেকে পদ্মশ্রী সম্মাননা গ্রহণ করেন
ছবি: সংগৃহীত

এদিকে আমাদের নয়াদিল্লি প্রতিনিধি জানান, ভারতে নিযুক্ত বাংলাদেশের সাবেক হাইকমিশনার সৈয়দ মোয়াজ্জেম আলীকে জনসেবার (পাবলিক অ্যাফেয়ার্স) জন্য ২০২০ সালে মরণোত্তর পদ্মভূষণ সম্মাননা দেওয়া হয়। নয়াদিল্লিতে রাষ্ট্রপতি ভবনে গত সোমবার মোয়াজ্জেম আলীর স্ত্রী তুহফা জামান আলী রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দর কাছ থেকে সম্মাননা গ্রহণ করেন।

একই দিনে বাংলাদেশের জাতীয় জাদুঘরের প্রতিষ্ঠাতা মহাপরিচালক এনামুল হক ভারতের রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দর হাত থেকে পদ্মশ্রী পুরস্কার গ্রহণ করেন।

মোয়াজ্জেম আলী ২০১৪ সালে বাংলাদেশের হাইকমিশনার হয়ে ভারতে আসেন। পাঁচ বছর পর ২০১৯ সালের ডিসেম্বর মাসে তিনি ঢাকায় ফিরে যাওয়ার অল্প কিছুদিনের মধ্যে মারা যান। তিনি ছিলেন প্রখ্যাত লেখক ও সাহিত্যিক সৈয়দ মুজতবা আলীর ভ্রাতুষ্পুত্র।