ভারতের সাউথ এশিয়া স্যাটেলাইটে যোগ দিল বাংলাদেশ

ভারতের উদ্যোগে তৈরি সাউথ এশিয়া স্যাটেলাইটে যোগ দিয়েছে বাংলাদেশ। বাংলাদেশের নিজস্ব স্যাটেলাইট বঙ্গবন্ধু-১–এর আগেই সাউথ এশিয়া স্যাটেলাইট মহাকাশে যাবে। এই স্যাটেলাইট তৈরির যাবতীয় কার্যক্রমও ইতিমধ্যেই শেষ হয়েছে।

আজ বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি) কার্যালয়ে সাউথ এশিয়া স্যাটেলাইটে বাংলাদেশের যোগদানের চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠিত হয়েছে। এই চুক্তির নাম হলো ‘অরবিট ফ্রিকোয়েন্সি কো-অর্ডিনেশন অব সাউথ এশিয়া স্যাটেলাইট প্রোপোজড অ্যাট ফোর্টি এইট ডিগ্রি ইস্ট’। বাংলাদেশের পক্ষে বিটিআরসি চেয়ারম্যান শাহজাহান মাহমুদ ও ভারত সরকারের পক্ষে বাংলাদেশে নিযুক্ত দেশটির হাইকমিশনার হর্ষ বর্ধন শ্রিংলা চুক্তিতে সই করেন। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম।

চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে জানানো হয়, সাউথ এশিয়া স্যাটেলাইটের ১২টি ট্রান্সপন্ডারের মধ্যে একটি বিনা মূল্যে বাংলাদেশ ব্যবহার করতে পারবে। কৃত্রিম উপগ্রহটি উৎক্ষেপণের সব ব্যয় বহন করছে ভারত সরকার। এটি তৈরিতে খরচ হয়েছে ৪০ কোটি ডলার বা ৩ হাজার ২০০ কোটি টাকা।

হাইকমিশনার হর্ষ বর্ধন শ্রিংলা বলেন, সাউথ এশিয়া স্যাটেলাইট প্রায় প্রস্তুত রয়েছে, শিগগিরই উৎক্ষেপণ সম্ভব হবে।

বাংলাদেশের প্রথম স্যাটেলাইট চলতি বছরের ১৬ ডিসেম্বর মহাকাশে পাঠানোর জন্য এখন কাজ চলছে। স্যাটেলাইটটির নির্মাণ, মহাকাশে উৎক্ষেপণ, গ্রাউন্ড স্টেশন তৈরির বেশির ভাগ কাজ ইতিমধ্যেই শেষ হয়েছে। এ স্যাটেলাইটে ৪০টি ট্রান্সপন্ডার থাকবে। এর মধ্যে ২০টি বাংলাদেশের ব্যবহারের জন্য রাখা হবে, বাকিগুলো অন্য দেশের কাছে ভাড়া দেওয়া হবে।

পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম বলেন, এই চুক্তির ফলে সার্ক অঞ্চলের দেশগুলো স্যাটেলাইটের মতো উচ্চপ্রযুক্তির সহযোগিতায় যুক্ত হলো। এটি এ অঞ্চলের বিষয়ে বাইরের বিশ্বে একটি ইতিবাচক বার্তা পৌঁছে দেবে।

এই স্যাটেলাইটে বাংলাদেশের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে গত সোমবার একটি প্রস্তাব অনুমোদন করে মন্ত্রিসভা। বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইটের কার্যক্রমে এই স্যাটেলাইট বাধাগ্রস্ত করতে পারবে না, অনুমোদনে এমন শর্ত দেওয়া হয়েছে।

চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে পররাষ্ট্রসচিব শহীদুল হক, ডাক ও টেলিযোগাযোগসচিব শ্যাম সুন্দর শিকদার, বিটিআরসি ভাইস চেয়ারম্যান আহসান হাবিব খানসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।