ভারতের কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী কিরেন রিজিজু বলেছেন, সে দেশে দুই কোটি বাংলাদেশি অবৈধভাবে রয়েছেন। বুধবার পার্লামেন্টের উচ্চকক্ষ রাজ্যসভায় এক লিখিত প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন তিনি।
ভারতের বার্তা সংস্থা পিটিআই এ তথ্য জানিয়ে লিখেছে, কিরেন রিজিজু বলেছেন, বাংলাদেশি নাগরিকেরা ভ্রমণের জন্য কোনো বৈধ কাগজপত্র ছাড়াই ভারতে প্রবেশ করেছেন বলে খবর আছে। বাংলাদেশিদের এভাবে প্রবেশ গোপনে হয় বলে ভারতের বিভিন্ন জায়গায় ঠিক কতজন বাংলাদেশি অবৈধভাবে আছেন, সে ব্যাপারে নিখুঁত তথ্য পাওয়া সম্ভব নয় বলে তিনি মন্তব্য করেন।
রিজিজু আরও বলেন, ভারতে অবৈধভাবে থাকা বিদেশি নাগরিকদের ফেরত পাঠানো একটি ধারাবাহিক প্রক্রিয়া। ২০১৪ সালে লোকসভা নির্বাচনের সময় নরেন্দ্র মোদি বলেছিলেন, তিনি ক্ষমতায় এলে ‘বাংলাদেশি’দের ফেরত পাঠাবেন। ওই নির্বাচনের ইশতেহারে সীমান্ত ব্যবস্থাপনা পর্যালোচনা করে উন্নত করার কথাও বলেছিল বর্তমানে ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক দল বিজেপি। এতে আরও বলা হয়, অবৈধ অভিবাসন ঠেকাতে ‘শাস্তিমূলক’ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল প্রথম আলোকে বলেন, ‘এত বিপুলসংখ্যক অবৈধ বাংলাদেশি সম্পর্কে যেটা বলা হচ্ছে, সে সম্পর্কে আমাদের কিছু জানা নেই। গত জুলাইয়ে ভারতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিংয়ের সঙ্গে বৈঠকেও এ ধরনের কোনো বিষয় তারা তোলেনি। কাজেই কিসের ভিত্তিতে ও কেন এ প্রসঙ্গ এসেছে, তা আমাদের বোধগম্য নয়।’
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, ভারতের পক্ষ থেকে সে দেশে অবৈধ বাংলাদেশিদের উপস্থিতির বিষয়টি তোলা হলে বাংলাদেশ ওই লোকজনের তালিকা চেয়ে থাকে। এরপর ভারতের পাঠানো তালিকার লোকজনের বাংলাদেশের নাগরিকত্ব নিশ্চিত হলে তাদের দেশে ফিরিয়ে আনা হয়। বর্তমানে ভারতের দেওয়া তালিকা অনুযায়ী ৪০ জনের ব্যাপারে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় কাজ করছে।