
ঈদ সমাগত। শেষ মুহূর্তের কেনাকাটার ব্যস্ততা বাড়ছে রাজধানীর বিপণিবিতানগুলোতে। নতুন পোশাকের পাশাপাশি ঈদে রয়েছে গয়নার চাহিদা। শাড়ি, থ্রিপিসের সঙ্গে মিলিয়ে গয়না কেনা চলছে এখন। গয়নার দোকানে বেড়েছে ক্রেতার ভিড়।
কয়েক বছর ধরে সোনা-রুপার পাশাপাশি মেটাল, অক্সিডাইজ, সিরামিক, পাথরের গয়নার জনপ্রিয়তা বেড়েছে। তবে এবার ঈদে ক্রেতারা সোনার গয়নাও কিনছেন বেশ।
বায়তুল মোকাররম মার্কেটের আমিন জুয়েলার্সের ব্যবস্থাপক মিত্তাফুর রহমান বলেন, ঈদের পরপর বিয়েসহ মানুষের বেশ কিছু অনুষ্ঠান থাকে। এ জন্য সোনার গয়নার চাহিদা বেড়ে যায়। ক্রেতাদের চাহিদার কথা বিবেচনায় রেখে সোনার গয়নার ডিজাইনে এসেছে নানা পরিবর্তন। কুন্দন সেটিং, অ্যান্টিক রং, মিনার কারুকাজ করা সোনার গয়না দেখা গেল প্রায় সব দোকানেই। আপন জুয়েলার্সের ব্যবস্থাপক সুজিত কর্মকার বলেন, ‘এবার ঈদে লকেট সেট ও ড্যাশিং চুড়িই বেশি চলছে।’ মাদারটেক থেকে মুক্তা বায়তুল মোকাররম মার্কেটে এসেছেন গয়না কিনতে। ঈদের পর অনুষ্ঠানের জন্য দুই ভরি সাড়ে ছয় আনা ওজনের চুর ও মানতাসা পছন্দ করেছেন তিনি। দাম এক লাখ ২২ হাজার টাকা।
সোনার দোকানের চেয়ে রুপার দোকানে ভিড় কম থাকলেও ঈদে রুপার গয়নার চাহিদাও একেবারে কম নয়। রুপার গয়নায় সোনার প্রলেপ দিয়ে তৈরি গোল্ডপ্লেটেড গয়না বেশ চলছে। এ ছাড়াও রুপার সঙ্গে অ্যান্টিক, কপারের রং মিশিয়ে এর সঙ্গে পান্না, এডি পাথর, পুঁতি, ক্রিস্টাল পাথর বসিয়ে তৈরি করা হয়েছে নানা রকম গয়না। সোনার দাম বেশি হওয়ায় এবং রুপার ডিজাইনের বৈচিত্র্য থাকায় অনেকে রুপার গয়নার প্রতি আগ্রহী হচ্ছেন। তৈয়বা এরাবিয়ান ডিজাইন, ভারতের জয়পুরি ডিজাইন এবং দেশীয় ডিজাইনের ঝুমকা, কানপাশা, ছোট টপ, গোল রিং এবং চুড়ির মধ্যে স্টিক চুড়ি, নিরেট, তারের চুড়ি, সাত দানা চুড়ি এবার ঈদে বেশি চলছে। চাঁদনী চক, বসুন্ধরা সিটি, জেনেটিক প্লাজাতে রয়েছে বিভিন্ন ধরনের গোল্ডপ্লেটেড গয়নার সমারোহ। তরুণীদের চেয়ে বিবাহিত নারীরা শাড়ি, থ্রিপিসের সঙ্গে মিলিয়ে এসব গয়না কিনছেন। মিরপুর থেকে সাবিনা ইয়াসমিন চাঁদনী চকে এসেছেন গোল্ডপ্লেটেডের গয়না কিনতে। ঈদের জন্য শাড়ির সঙ্গে মিলিয়ে চার হাজার টাকায় এক জোড়া চুড়ি ও ৮০০ টাকায় কানের দুল কিনেছেন।
বিবাহিত নারীরা সোনা ও রুপার গয়না কিনলেও তরুণীরা কিনছেন মেটাল, পাথরের তৈরি কানের দুল, চুড়ি, ব্রেসলেট, গলার সেট, আংটি ও পায়েল। বিভিন্ন বিপণিবিতান ঘুরে দেখা গেল কানের দুল আর চুড়ি সবচেয়ে বেশি কিনছেন তরুণীরা। অন্য বিপণিবিতানের চেয়ে দাম একটু কম হওয়ায় গাউছিয়া মার্কেটে ছিল তরুণীদের উপচে পড়া ভিড়। কোরিয়া, চীন, থাইল্যান্ড থেকে আসা এসব কানের দুলের দাম ১৫০ থেকে ৫৫০ টাকা, পুরো সেটের দাম এক হাজার ৬৫০ থেকে চার হাজার ৫৫০ টাকা পর্যন্ত।