ভোলা এখন 'কুইন আইল্যান্ড অব বাংলাদেশ'

ভোলার তেঁতুলিয়া নদীতে মাছ শিকারে ব্যস্ত জেলেরা। ছবি: নেয়ামত উল্লাহ, ভোলা
ভোলার তেঁতুলিয়া নদীতে মাছ শিকারে ব্যস্ত জেলেরা। ছবি: নেয়ামত উল্লাহ, ভোলা

‘কুইন আইল্যান্ড অব বাংলাদেশ’ নামে ডাকা হবে ভোলা জেলাকে। আজ বুধবার বেলা ১১টায় ভোলা জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে পর্যটন শিল্পের প্রচার ও বিপণনের ল‌ক্ষ্যে ভোলা জেলার নিজস্ব ব্র্যান্ডিংয়ের জন্য স্লোগানসহ লোগো তৈরি’ সংক্রান্ত সভায় জেলার বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গের উপস্থিতি ও মতামতের ভিত্তিতে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

বাংলাদেশের একমাত্র ব-দ্বীপ ভোলার আয়তন ৩৭৩৭.২১ বর্গ কিলোমিটার। সাতটি উপজেলার মধ্যে চর ফ্যাশন উপজেলা সর্ববৃহৎ (১৪৪০.০৪ বর্গ কিমি) এবং সবচেয়ে ছোট উপজেলা বোরহানউদ্দিন (২৮৪.৬৭ বর্গ কিমি)।

সুন্দরবন নামে খ্যাত ভোলার কুকরি মুকরি চর পাতিলা খালে জেলেরা। ছবি: নেয়ামত উল্লাহ, ভোলা
সুন্দরবন নামে খ্যাত ভোলার কুকরি মুকরি চর পাতিলা খালে জেলেরা। ছবি: নেয়ামত উল্লাহ, ভোলা

সভায় উপস্থিত থাকা এই প্রতিবেদক জানান, উপস্থিত বিশিষ্টজনরা এক একজন এক একটি নামের প্রস্তাব ও প্রস্তাবের সমর্থনে যুক্তি তুলে ধরেন। এর মধ্যে ছিল টক দধির ভূমি, ইলিশ রাজ্য, ইলিশ ভূমি, সুপারি ভূমি, নারকেল ভূমি, পাখির দ্বীপ, তরমুজ ভূমি, স্বর্গের দ্বীপ, প্রকৃতি দ্বীপ, সুপেয় জলের দ্বীপ ও নির্মল বায়ুর দ্বীপসহ বিভিন্ন প্রস্তাব। কিন্তু শেষে ‘কুইন আইল্যান্ড অব বাংলাদেশ’ যা বাংলা করলে ‘বাংলাদেশের দ্বীপের রাণী’ নামটি চূড়ান্ত হয়।
সভায় সঞ্চালকের দায়িত্বে ছিলেন জেলা প্রশাসক মো. সেলিম রেজা। তিনি বলেন, বাংলাদেশের একমাত্র ব-দ্বীপ হচ্ছে এই জেলা। এই দ্বীপ হলো বাংলাদেশের কপালে টিপের মতো।
ভোলা প্রেসক্লাবের সভাপতি এম হাবিবুর রহমান বলেন, ‘যে নামেই ডাকি না কেনো ভোলা সমৃদ্ধ নগরী ও পর্যটনকেন্দ্র তখনই হবে, যখন এ জেলাটি ভাঙন মুক্ত হবে।’
এই জেলার জনগোষ্ঠী ২১ লাখ। এখানকার লোকজনের প্রধান আয়ের উৎস কৃষি ও মৎস্য খাত।
জেলার দর্শনীয় স্থানগুলোর মধ্যে রয়েছে চর কুকরী-মুকরী, দেউলি, বীরশ্রেষ্ঠ মোস্তফা কামাল স্মৃতি জাদুঘর (আলীনগর ইউনিয়ন, ভোলা সদর), মনপুরা দ্বীপ, মনপুরা ফিশারিজ লিমিটেড, ঢাল চর, মনপুরা ল্যান্ডিং স্টেশন।

ভোলার কুকরি মুকরি এলাকায় উড়ছে সামুদ্রিক পাখিরা। ছবি: নেয়ামত উল্লাহ, ভোলা
ভোলার কুকরি মুকরি এলাকায় উড়ছে সামুদ্রিক পাখিরা। ছবি: নেয়ামত উল্লাহ, ভোলা

জেলায় আগত অতিথিদের জন্য জেলা সদরে একটি সার্কিট হাউজ ও বাকি ছয়টি উপজেলায় জেলা পরিষদের নিয়ন্ত্রণাধীন ছয়টি বাংলো রয়েছে। এ ছাড়াও রয়েছে ব্যক্তি মালিকানাধীন হোটেলসমূহ।
নোয়াখালী জেলার অধীনে ১৮৪৫ সালে ভোলা মহকুমা গঠিত হয়। দৌলতখানের আমানিয়া ছিল তখন এর প্রশাসনিক কেন্দ্র। ১৮৬৯ সালে মহকুমাটি বরিশালের সঙ্গে যুক্ত হয়। তখন দৌলতখান ও বোরহানউদ্দিন হাট নামক দুটি থানা এবং তালতলি, গাজীপুর ও তজমুদ্দিন নামক তিনটি আউটপোস্ট নিয়ে এই মহকুমা গঠিত হয়। ১৮৭৬ সালে দৌলতখান থেকে ভোলায় মহকুমা সদর স্থানান্তরিত হয়। ভোলা পৌরসভা গঠিত হয় ১৯২০ সালে। ১৯৮৪ সালের ১ ফেব্রুয়ারি এটিকে জেলায় রূপান্তর করা হয়।