ভোলা খালের অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ শুরু

ভোলা খাল দখলমুক্ত করতে গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল থেকে উচ্ছেদ অভিযান শুরু হয়েছে। জেলা প্রশাসন এই অভিযান পরিচালনা করছে। এতে মোট ১৫০টি ছোট-বড় প্রতিষ্ঠান উচ্ছেদ হচ্ছে।
এর আগে গত ২ ফেব্রুয়ারি থেকে ভোলা খালের সীমানা নির্ধারণ শুরু হয়।
জেলা প্রশাসক মোহাং সেলিম উদ্দিন বলেন, ১৫০টি অবৈধ স্থাপনার মধ্যে ১২২টি ভোলা পৌরসভা নিজস্ব অর্থায়নে নির্মাণ করেছে। বাকি ২৮টি জনসাধারণের গড়া।
ভূমি কার্যালয় সূত্র আরও জানায়, ১৯৪৫ সালে খালটি বেতুয়া নদী নামে পরিচিত ছিল। পরে এটি ভোলা খাল নামে পরিচিতি লাভ করে। তখন খালটি ৬০-৭০ ফুট প্রশস্ত ছিল। এসএ জরিপ অনুযায়ী, খালটি প্রস্থে ৫০ ফুট।
গত বছরের ২৪ ডিসেম্বর প্রথম আলোয় ‘ভোলা খালের জন্য গোপন কান্না’ শিরোনামে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। এরপর প্রশাসন খালটির বিষয়ে তৎপর হয় ওঠে। বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ ৪ মার্চ প্রশাসনকে এক মাসের মধ্যে দখলকারী ব্যক্তিদের উচ্ছেদ করতে নির্দেশ দেন।
জেলা প্রশাসক আরও বলেন, খালের ১২ কিলোমিটারের মধ্যে ৮ কিলোমিটারই ব্যবহার অযোগ্য হয়ে পড়েছে। পুরো অংশটুকু মালবাহী নৌকা চলাচলের উপযোগী করতে এ উচ্ছেদ অভিযান।
ভোলা পৌরসভার নির্বাহী প্রকৌশলী জসিম উদ্দিন বলেন, পৌরসভার ১২২টি ঘর খালের মধ্যে পড়েছে। এসব স্থাপনার অবৈধ অংশ পৌরসভা গুঁড়িয়ে দিয়েছে।
ভোলা সদর উপজেলা ভূমি কার্যালয়ের সহকারী ভূমি কমিশনার (ল্যান্ড) মো. রুহুল আমিন বলেন, ‘অনেক অবৈধ স্থাপনা দখলদার নিজেই ভাঙতে শুরু করেছেন। বাকিগুলো আমরা ভাঙতে শুরু করেছি।’