মনির হোসেন বাংলাদেশিদের পাশে থাকতেন

মনির হোসেনকে স্মরণ করেন তাঁর দীর্ঘদিনের সহযাত্রী, বন্ধু ও সহকর্মীরা
ছবি: প্রথম আলো

কুয়েতে বসবাসরত বাংলাদেশি কারও বিপদ–আপদে তাঁকে সবার আগে পাওয়া যেত। নিজের অবস্থান থেকে সব সময় সবার পাশে ছিলেন। সৎ, সুন্দর ও সাহসী জীবনযাপনেই তিনি অভ্যস্ত ছিলেন। তিনি ছিলেন দৃঢ়চেতা—কখনো অন্যায়–অনিয়মের সঙ্গে আপস করেননি।

মধ্যপ্রাচ্যের দেশ কুয়েতে বাংলাদেশি সংগঠক, সংস্কৃতির পৃষ্ঠপোষক ও ক্রীড়ানুরাগী মনির হোসেনের স্মরণসভায় এসে এমনটাই বললেন তাঁর দীর্ঘদিনের সহযাত্রী, বন্ধু ও সহকর্মীরা। জাতীয় প্রেসক্লাবে কুয়েতপ্রত্যাগত বাংলাদেশিরা এই স্মরণসভার আয়োজন করেন।

মনির হোসেন করোনায় আক্রান্ত হয়ে গত বছরের ১০ সেপ্টেম্বর  মারা যান।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে কুয়েতের বাংলাদেশ দূতাবাসের সাবেক ফার্স্ট সেক্রেটারি ও বর্তমানে রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সচিব সেলিম রেজা বলেন, ‘আমরা যাঁরা সরকারি চাকরিজীবী, তাঁদের নানা প্রশিক্ষণের মধ্য দিয়ে যেতে হয়। অনেক কিছু শিখতে হয়। ১৯৯৯ সালে কুয়েতে চাকরি করতে গিয়ে মনির ভাইয়ের সঙ্গে পরিচয়।

পরিচয়ের পরই তাঁর সাংগঠনিক ক্ষমতা সম্পর্কে জানতে পারি। তাঁর প্রতিষ্ঠিত সাংস্কৃতিক সংগঠন ঋতুরঙা শিল্পগোষ্ঠী দিয়ে কুয়েতের বাংলাদেশিদের সবাইকে একত্র করেছেন। তাঁর সততাও শিক্ষণীয়। নিঃস্বার্থভাবে মানুষের জন্য কাজ করে যাওয়াটা ছিল তাঁর জীবনের অন্যতম সৌন্দর্য। সব দিক দিয়ে তিনি সফল মানুষ ছিলেন।’

অনুষ্ঠানে বাবাকে স্মরণ করে মেয়ে সংগীতশিল্পী সোমনুর কোনাল বললেন, ‘আমার বাবা রাজনীতি, সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও খেলাধুলার সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। তিনি ভীষণ সাহসী ছিলেন, নীতির সঙ্গে কখনোই আপস করেননি। এই জীবনে তিনি হারেননি কোনো কাজে, হেরেছেন মহামারি করোনার কাছে। আমার বাবা বলতেন, মানুষকে ভালোবাসা, সম্মান দেবে কোনো শর্ত ছাড়া। ভালোবাসার দুয়ার খোলা রাখতে হবে আজীবন, তবেই তুমি পাবে তোমার জন্য ভালোবাসা ও সম্মান।’

স্মরণসভা ও দোয়া মাহফিলে সভাপতিত্ব করেন হাবিবুর রহমান। সঞ্চালনা করেন মঞ্জুর মোল্লা। অনুষ্ঠানে কুয়েতে কর্মরত বাংলাদেশিরা মনির হোসেনের জীবনের নানা দিক তুলে ধরেন। মনির হোসেন কুয়েতের মিনিস্ট্র অব ইন্টেরিয়রে কর্মরত ছিলেন।