মাটি ছাড়া ঘাস উৎপাদনে আগ্রহী অনেক খামারি

বাংলাদেশ বিজ্ঞান ও শিল্প গবেষণা পরিষদে গতকাল মাটিবিহীন (হাইড্রোপোনিক) ঘাস উৎপাদন প্রকল্প ঘুরে দেখেন একজন খামারি l ছবি: প্রথম আলো
বাংলাদেশ বিজ্ঞান ও শিল্প গবেষণা পরিষদে গতকাল মাটিবিহীন (হাইড্রোপোনিক) ঘাস উৎপাদন প্রকল্প ঘুরে দেখেন একজন খামারি l ছবি: প্রথম আলো

ঠান্ডা একটি ঘর। সাদা রঙের প্লাস্টিকের সারি সারি ট্রেতে সাজানো সবুজ ঘাস। কিন্তু ঘাসের গোড়ায় নেই কোনো মাটি। মাটির সংস্পর্শ ছাড়াই এখন উৎপাদিত হচ্ছে সবুজ ঘাস। কীটনাশক, কৃমি এবং অন্যান্য পরজীবীমুক্ত অবস্থায় এই ঘাস উৎপাদিত হয় বলে এতে পুষ্টিমানও থাকে বেশি।
গতকাল বৃহস্পতিবার ধানমন্ডির সায়েন্স ল্যাবে জাতীয় বিজ্ঞান ও শিল্প গবেষণা পরিষদের (বিসিএসআইআর) ‘সেন্টার ফর টেকনোলজি ট্রান্সফার অ্যান্ড ইনোভেশন’ আয়োজিত সেমিনারে মাটি ছাড়া (হাইড্রোপনিক) ঘাস উৎপাদন প্রযুক্তির আদ্যোপান্ত তুলে ধরা হয়। মাটি ছাড়াই ঘাস উৎপাদন দেখে অনেক খামারি এই প্রযুক্তি ব্যবহারে তাঁদের আগ্রহের কথা জানান।
অনুষ্ঠানে বিসিএসআইআরের মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ও হাইড্রোপনিক প্রকল্প পরিচালক রেজাউল করিম বলেন, গম, বার্লি, ভুট্টা বা গিয়েনা বীজ থেকে এই ঘাস উৎপন্ন করা হয়। এটি প্রোটিন, খনিজ লবণ, এনজাইম, ভিটামিন এ এবং ই-সমৃদ্ধ। তিনি বলেন, এক কেজি বীজ থেকে মাত্র সাত অথবা আট দিনে সাত কেজি তাজা ঘাস উৎপাদন সম্ভব।
তিনি আরও বলেন, ঘাস উৎপাদনের মূল মেশিন বাংলাদেশে পাওয়া যায় না, বিদেশ থেকে আমদানি করতে হবে। এ জন্য খরচ পড়বে আট লাখ টাকা। তিনি বলেন, সরকারি, বেসরকারি ও ব্যক্তি উদ্যোগে খামারিদের কেউ যদি এই প্রযুক্তি গ্রহণ করতে চান, তবে বিসিএসআইআর কারিগরি সহযোগিতা দেবে।
এরপর প্রযুক্তিটি ঘুরে দেখেন ঢাকা মহানগরের সবুজবাগ, খিলগাঁও, বাড্ডা ও নারায়ণগঞ্জের ৪০ জন খামারি।
অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিমন্ত্রী ইয়াফেস ওসমান খামারিদের উদ্দেশে বলেন, ‘এখন না পারলেও ভবিষ্যতে আমাদের নিজেদের প্রয়োজনে এ ধরনের প্রযুক্তিতে যেতেই হবে। কারণ, মানুষের সময় ও কষ্ট বাঁচাতে এই প্রযুক্তি খুবই কার্যকর।’